২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

চিরিরবন্দরে ব্রোকলি চাষে লাভবান কৃষক

-

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে দ্বিতীয়বারের মতো ব্রোকলির চাষ হয়েছে। রঙ ভিন্ন হলেও দেখতে ফুলকপির মতো সবুজ রঙের এই সবজির পুষ্টিগুণ ফুলকপির চেয়েও বেশি। ব্রোকলি অন্যান্য সবজি অপেক্ষা বেশি পুষ্টি সমৃদ্ধ। উপজেলার নশরতপুর গ্রামের মতিয়ার রহমান দ্বিতীয় বারের মতো এ সবজির আবাদ করেছেন। এ বছর ফলনও হয়েছে ভালো। নতুন জাতের এ সবজির কদরও রয়েছে।
ফলন ও বাজার দর ভালো পাওয়ায় ব্রোকলি চাষে হাসি ফুটেছে কৃষক মতিয়ার রহমানের মুখে। অল্প খরচে ও কম সময়ে অধিক লাভ পাওয়ায় অন্য কৃষকরাও এর চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। প্রথমবার লাভবান হওয়ায় আবারো তিনি ব্রোকলির চাষ করছেন। তাকে অনুকরণ করে এবার এ অঞ্চলে অনেক কৃষক ব্রোকলি চাষ করছেন।
ব্রোকলি রোপণের ৬০-৭০ দিনের মধ্যে পুষ্পমঞ্জুরি সংগ্রহের উপযুক্ত সময়। ধারালো ছুরি বা ব্লেড দিয়ে তিন ইঞ্চি কাণ্ডসহ পুষ্পমঞ্জুরি কেটে সংগ্রহ করতে হয়। এভাবে একই জমি থেকে মাসব্যাপী কয়েকবার ব্রোকলি সংগ্রহ করা যায়। পুষ্পমঞ্জুরি মোটামুটি জমাট বাঁধা অবস্থায় সংগ্রহ করা উচিত। সঠিকভাবে পরিচর্যা করলে হেক্টরপ্রতি ফলন ১২-১৩ টন পাওয়া যায় বলে কৃষি বিভাগ জানায়।
দেশের সব অঞ্চলেই ব্রোকলি চাষ করা যেতে পারে। উঁচু জমিতে বাম্পার ফলন হয়। সাধারণত যে ধরনের জলবায়ুতে ফুলকপির চাষ হয় সেখানে ব্রোকলি ভালো জন্মে। তবে পানি জমে না এরূপ উঁচু জমি, উর্বর দোআঁশ মাটি হলে ফলন ভালো পাওয়া যায়। ব্রোকলি গাছ ১৫-২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সবচেয়ে ভালো জন্মে। সেচ ও পানি নিষ্কাশনের সুবিধা আছে এমন জমি ব্রোকলি চাষের জন্য নির্বাচন করতে হয়।
উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, এই উপজেলার মাটি সুস্বাদু সবজি ব্রোকলি আবাদের উপযোগী। তবে চাষিরা পরামর্শগুলো কাজে লাগাতে পারলে ব্রোকলি চাষ করে লাভবান হতে পারবেন। ইউরোপের রুচিশীল সবজি হিসেবে পরিচিত ব্রোকলি বাংলাদেশের ফুলকপির মতো। তাই এটিকে অনেকেই বলেন ‘সবুজ পুলকপি।


আরো সংবাদ



premium cement