০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫
`


জরাজীর্ণ লালন আবাসন প্রকল্প আতঙ্কে বাসিন্দারা

-

ভালো নেই কুষ্টিয়ার কুমারখালীর আবাসন প্রকল্পের অধিবাসীরা। নির্মাণের একযুগ পেরিয়ে গেলেও সংস্কারের অভাবে অধিকাংশ ঘরই এখন জরাজীর্ণ, বসবাসের একেবারে অযোগ্য। এসব ঘরের টিনের চালা মরিচা পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। টিনগুলো ছিদ্র, দেখা যায় আকাশ। আর বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানিতে ভিজে যায় ঘরের সবকিছু। কনকনে শীতে ভাঙা বেড়া দিয়ে হু হু করে প্রবেশ করে ঠাণ্ডা বাতাস। এছাড়া আবাসনের বেশির ভাগ টয়লেট ও গোসলখানা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যারা এখনো এখানে বসবাস করছে তারা পড়েছে চরম ভোগান্তিতে।
কুমারখালীতে ২০০৭ সালে নির্মিত লালন আবাসন-১ ও ২, পৌর আবাসন ও নন্দলালপুর আবাসন মিলে চারটি আবাসন তৈরি করা হয়। লালন আবাসনে ৬০টি, পৌর আবাসনে ৬০টি ও নন্দলালপুর আবাসনে ৬০টি অর্থাৎ মোট ১৮০ টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছিল। বসবাসের উপযোগী না থাকায় আবাসন ঘরে বর্তমানে বসবাস করছে মাত্র ৪০টি পরিবার। ঘরগুলো ভেঙে পড়েছে, নেই যাতায়াতের ব্যবস্থা। আবাসনের চারপাশে জঙ্গল। বহিরাগতদের আনাগোনায় আবাসনে থাকা পরিবারগুলো সন্ধ্যার পর থাকে ভয়ে। এর মধ্যে যদুবয়রা আবাসন-১ নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে পাঁচ বছর আগেই। এদিকে পানির অভাবে বাসিন্দারা নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা রবি হোসেন বলেন, বৃষ্টির দিনে মাঠের চেয়ে আমার ঘরে পানি বেশি ওঠে। পলিথিন টাঙিয়েও বৃষ্টি ঠেকানো যায় না।
মুদি দোকানি শরিফুল ইসলাম ৩ নম্বর ব্যারাকের ২০/৫ নম্বর ঘরে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। তিনি বলেন, ঘর প্রতি তিন বান টিনের প্রয়োজন। এখানকার চা বিক্রেতা নার্গিস ২০/৫ নম্বর ঘরে থাকেন। তিনি বলেন, শীত মৌসুমে চালার টিন বদল করা না হলে আগামী বর্ষা মৌসুমে যত জায়গা থেকে পানি পড়বে সেই পানি ধরার জন্য ততটি হাঁড়ি পাতিলও ঘরে নেই।
২১/৫ নম্বর ঘরে থাকেন নূপুর বেগম। তিনি শহর থেকে শাড়ি কাপড় কিনে এনে আবাসনে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করে সংসার চালান। তার ঘরের চালা দিয়ে আকাশ দেখা যায়। তিনি বলেন, গত বর্ষায় অন্য জায়গায় গিয়ে থেকেছি। টিনের যে অবস্থা, তার চেয়ে ঘরের বেড়ার অবস্থা আরো খারাপ। যখন তখন ঘরের ভেতর সাপ ঢুকে পড়ে।
বাসিন্দাদের দুর্দশা নিয়ে আবাসন প্রকল্প-২ এর সভাপতি ওহাব বলেন, আমরা বিভিন্ন সময় আবাসনের এসব সমস্যার কথা কর্তৃপক্ষকে জানালেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি। অনেক সময় বিভিন্ন কর্মকর্তা এখানে পরিদর্শনে এসে সংস্কারের কথা বলে চলে যান। জরাজীর্ণ ঘরতো আছেই, এছাড়া এই আশ্রয়ণ প্রকল্পে নেই ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র, নেই কবরস্থান। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় আমাদের শহরে গিয়ে উঠতে হয়। এখানে বসবাসরত পরিবারের কোনো সদস্য মারা গেলে দাফনের জন্য নিয়ে যেতে হয় দূরে অন্য কোনো কবরস্থানে সব মিলিয়ে খুব দুর্দশায় আমরা বাস করছি। এখানকার বসবাসকারীদের একটাই দাবি, যেন প্রতিটি ঘরের চালের টিন পরিবর্তন করে নতুন করে চালা তৈরি এবং টয়লেট ও গোসলখানাগুলো সংস্কার করে ব্যারাকগুলো বসবাসের উপযোগী করা হয়।
কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিতানকুমার মণ্ডল জানান, বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হবে। যত দ্রুত সম্ভব আবাসনের ঘরগুলো মেরামতের ব্যবস্থা করা হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
বাংলাদেশ-সৌদি আরবের যৌথ উদ্যোগে ইউরিয়া সার কারখানার সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পন্ন আগামী ২ বছর উন্নয়নশীল এশীয় অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ৪.৯ শতাংশ থাকার আশা এডিবি প্রেসিডেন্টের চুয়াডাঙ্গায় আগুনে পুড়ে পানবরজ ছাই মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ, রিমান্ডে নেয়া হবে : ডিবি বৃহস্পতিবার সারা দেশের স্কুল-কলেজ বন্ধ ভূরুঙ্গামারীতে চিকিৎসকের কপাল ফাটিয়ে দিলেন ইউপি সদস্য ‘পঞ্চপল্লীর ঘটনা পাশবিক, এমন যেন আর না ঘটে’ টি২০ বিশ্বকাপের পিচ পৌঁছেছে নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া কমলাপুর স্টেশনে ট্রেন থেকে লাশ উদ্ধার মোরেলগঞ্জে বৃদ্ধের ফাঁস লাগানো লাশ উদ্ধার

সকল