০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫
`


লকডাউনে সাড়ে ৪ হাজার চিনিকল শ্রমিকের মানবেতর জীবন

-

লকডাউনে রাষ্ট্রায়ত্ত ১৫টি চিনিকলসহ ১৭টি ইউনিটের প্রায় সাড়ে চার হাজার শ্রমিক-কর্মচারীর মানবেতর জীবন কাটছে। এ সময় মিলগুলো বন্ধ থাকায় দৈনিক হাজিরায় কর্মরত এসব শ্রমিক-কর্মচারী মজুরি ও কোনো সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না।
চিনিকল সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, করোনার কারণে ১৪ দিনের লকডাউন চলাকালে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের নির্দেশনায় চিনিকলগুলোকে লকডাউনের আওতায় রাখা হয়েছে। অথচ সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গত ১৯ জুলাই এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে খাদ্য ও খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন/প্রক্রিয়াজাতকরণের মিল কারখানা বিধি-নিষেধের আওতা বহির্ভূত রাখতে নির্দেশ দিয়েছে। চিনি একটি খাদ্যপণ্য যা শিশু খাদ্য ও ওষুধ শিল্পে ব্যবহার করা হয়। উৎপাদিত চিনি ও চিটাগুড় (পশু খাদ্য ও ডিস্টিলারির কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত) বিক্রির জন্য চিনিকলগুলো চালু রাখা প্রয়োজন। অন্য দিকে আগামী ২০২১-২২ মাড়াই মৌসুমের প্রস্তুতির জন্য চাষিদের আখ পরিচর্যার প্রয়োজন রয়েছে। এছাড়াও মিলের কারখানাসহ পরিবহন শাখায় পূর্ব প্রস্তুতির জন্য মেইন্টেনেন্সের প্রয়োজন আছে।
নর্থ বেঙ্গল সুগার মিেেল দৈনিক হাজিরায় কর্মরত বুলবুল ইসলাম জানান, তারা কাজ থাকলে দৈনিক ২৬০ টাকা হারে মজুরি পান। লকডাউনে মিল বন্ধ থাকায় সেটাও পাচ্ছেন না। কঠোর লকডাউনের সময় এভাবে তাদের জীবন চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
এ ব্যাপারে নর্থ বেঙ্গল সুগার মিল শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি গোলাম কাউসার বলেন, চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন কর্তৃপক্ষ সরকারি প্রজ্ঞাপন না মেনে দাফতরিক কোনো প্রজ্ঞাপন ছাড়াই ছাড়াই মিলগুলোর কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে। মিল কারখানা চালু না রেখে খেয়ালখুশি মতো কার্যক্রম চালাচ্ছেন, যা সরকারের নির্দেশনা বহির্ভূত। তিনি আরো বলেন, লকডাউন চলাকালীন সুগার মিলসহ সদর দফতরে নিয়োগপ্রাপ্ত শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতাসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয়ে থাকে কিন্তু মিল বন্ধ থাকায় একই প্রতিষ্ঠানে শূন্য পদের বিপরীতে কর্মরত দৈনিক হাজিরার জনবলকে মজুরি তো দূরের কথা, কিছুই দেয়া হচ্ছে না। তিনি বলেন, দেশের অন্যান্য বিভাগের মতো চিনিকলের দৈনিক হাজিরার শ্রমিক-কর্মচারীরা দৈনিক মাত্র ২৬০ টাকা হারে মজুরি পান। মিল বন্ধ থাকায় এই সামান্য মজুরি থেকেও তারা বঞ্চিত হচ্ছেন। শ্রমিক নেতৃবৃন্দ দাবি জানিয়ে বলেন, লকডাউন চলাকালীন মিল কর্তৃপক্ষকে মজুরি দিতে হবে। সম্ভব না হলে সরকারের মাধ্যমে প্রণোদনার ব্যবস্থা করতে হবে।
এ ব্যাপারে নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কৃষিবিদ হুমায়ুন কবির জানান, সরকারি প্রজ্ঞাপনের পাশাপাশি করপোরেশনের মৌখিক নির্দেশে লকডাউন চলাকালীন আপাতত মিলের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। করোনার সংক্রমণ কমলে যেকোনো সময় কার্যক্রম চালু করা হতে পারে। তিনি বলেন, দৈনিক হাজিরায় কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের ব্যাপারে সরকারি নীতিনির্ধারকরা কোনো প্রণোদনা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলে আমরা অবশ্যই সহযোগিতা করব।


আরো সংবাদ



premium cement
বাংলাদেশ-সৌদি আরবের যৌথ উদ্যোগে ইউরিয়া সার কারখানার সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পন্ন আগামী ২ বছর উন্নয়নশীল এশীয় অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ৪.৯ শতাংশ থাকার আশা এডিবি প্রেসিডেন্টের চুয়াডাঙ্গায় আগুনে পুড়ে পানবরজ ছাই মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ, রিমান্ডে নেয়া হবে : ডিবি বৃহস্পতিবার সারা দেশের স্কুল-কলেজ বন্ধ ভূরুঙ্গামারীতে চিকিৎসকের কপাল ফাটিয়ে দিলেন ইউপি সদস্য ‘পঞ্চপল্লীর ঘটনা পাশবিক, এমন যেন আর না ঘটে’ টি২০ বিশ্বকাপের পিচ পৌঁছেছে নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া কমলাপুর স্টেশনে ট্রেন থেকে লাশ উদ্ধার মোরেলগঞ্জে বৃদ্ধের ফাঁস লাগানো লাশ উদ্ধার

সকল