২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সাপাহারে জমেছে আমের বাজার, দামে অসন্তোষ

নওগাঁর সাপাহার বাজারে আম বেচাকেনা: নয়া দিগন্ত -

উত্তরাঞ্চলের সর্ববৃহৎ আমবাজার নওগাঁ জেলার সীমান্তবর্তী সাপাহার। পুরোদমে বিক্রি হচ্ছে নানান জাতের আম। বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বসেছে আমের হাট। এ দিকে মৌসুমের শুরু থেকে আমের দাম তুলনামূলক কম হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন চাষিরা। আমের উৎপাদন বৃদ্ধির কারণেই দাম কমেছে বলে জানান স্থানীয়রা।
চলতি বছরে এই উপজেলায় ৯ হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ মেট্রিকটন। প্রায় ১৫ শ’ কোটি টাকার আম বাণিজ্য হতে পারে এই উপজেলার আমবাজার থেকে। কিন্তু চলমান সময়ে আমের বাজারদর নিম্নমুখী হওয়ায় বাণিজ্যের পরিমাণ কিছুটা কম হবে।
আমবাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে সারি সারি ভ্যানের ওপর নানা জাতের আমের পসরা নিয়ে বসে আছেন আম বিক্রেতারা। এর মধ্যে ল্যাংড়া, নাগফজলি, হিমসাগর, আম্রপালি অন্যতম। আম কেনার জন্য বাইরের ব্যাপারি থাকলেও ক্রেতারা পাছেন না কাক্সিক্ষত। প্রতি মণ ল্যাংড়া বিক্রয় হচ্ছে ৮০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকায়। নাগফজলি এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০, হিমসাগর এক হাজার ৫০০ থেকে এক হাজার ৭০০, আম্রপালি দুই হাজার থেকে দুই হাজার ৪০০ টাকা।
নওগাঁ জেলার বিখ্যাত আম ‘আম্রপালি’। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কতৃক নির্ধারিত সময় ২২ জুন আম্রপালি জাতের আম বাজারজাত করার নির্দেশনা রয়েছে। তবে উপজেলা কৃষি অধিদফতরের অনুমতিক্রমে পরিপক্ব আম বাজারজাত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি অফিস। গত বছরে আম্রপালি জাতের আম সন্তোষজনক মূল্যে বিক্রয় হয়েছে।
আমচাষি সিহাব উদ্দীন জানান, প্রায় ১০ মণ ল্যাংড়া আম বিক্রয় করতে এসেছি। আমার আমের কালার একটু খারাপ থাকার জন্য প্রতি মণ আম বিক্রয় করলাম ৭৫০ টাকা। অথচ এই জাতের আম গত বছরে দুই হাজার ৪০০ থেকে দুই হাজার ৫০০ টাকা দরে বিক্রয় করেছি। এভাবে বাজারদর কম থাকলে আমরা সার বিষের দোকানের বাকি পরিশোধ কিভাবে করব আর সংসার চালাব কিভাবে?
আম বিক্রেতা হাবিবুর রহমান বলেন, এ বছরে আমের দাম নেই। কম আম বিক্রি করতে এলে অনেক সময় ভ্যান ভাড়া দিতেই সমস্যা হয়ে যাচ্ছে। চলতি বছরে আমের বাজার না বাড়লে কৃষকরা অনেকটা ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন।


আরো সংবাদ



premium cement