কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীর হাসনাবাদ ইউনিয়নের ন্যডারপাড় গ্রামের আবুল কালামের ৫০ শতক জমির ধান পুড়ে গেছে দোকানদারের ভুল ওষুধে। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে জানা যায় আবুল কালাম একজন দিন মজুর। অন্য মানুষের জমি বর্গা চাষ করেন। এ মৌসুমে ৫০ শতক জমিতে বর্গাচাষি হিসেবে তেজ গোল্ড ও ২৮ জাতের ধান চাষ করেছেন। ধানের ফলন ভালো হলেও জমিতে ছত্রাকজনিত রোগ দেখা দেয়। মুনিয়াহাট বাজারে কীটনাশক দোকানদার আব্দুস ছামাদের কাছে পরামর্শ নিতে গেলে তিনি প্যারাটক্স ও ফলিকুর নামক দুই ফাইল ওষুধ দেন। পরের দিন জমিতে ওষধ স্প্র্রে করেন আবুল কালাম। পরের দিন সকালে ধান ক্ষেত দেখতে গিয়ে দেখতে পান তার সব ধানগাছ পুড়ে গেছে। কৃষক হতাশ হয়ে দোকানি আব্দুস ছামাদের সাথে সাক্ষাৎ করলে তিনি কীটনাশক বিক্রির কথা অস্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে ন্যাডার পারের জসিজুল মণ্ডল বলেন, জমিতে ছত্রাক ধরেছে, দোকানদার ভুল করে ঘাস মারা ওষুধ দিয়ে সব ধান পুড়িয়ে দিয়েছেন। একই গ্রামের কৃষক গোলাম মওলা বলেন, এসব দোলা জমিতে বিঘায় ২৫ থেকে ৩০ মণ ধান হয়। আমরা কৃষক ও মূর্খ মানুষ আমাদের এভাবে ভুল ওষুধ দিয়ে জমির ধান নষ্ট করা মানে আমাদের বিরাট ক্ষতি করা। আমরা এর বিচার চাই। কৃষক কালাম বলেন, আমার নিজের কোনো জমি নেই অন্যের জমি বর্গাচাষ করে খাই। ভুল ওষুধের কারণে আমার সব ধান নষ্ট হয়ে গেছে।