০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`


বুড়িচংয়ে খাসজমিতে অটোরাইস মিল : পরিবেশ বিপর্যয়ের শঙ্কা

-

কুমিল্লার বুড়িচংয়ের খাড়াতাইয়া ফাযিল মাদরাসার পার্শ্ববর্তী আবাসিক এলাকায় খাসজমি দখল করে অটোরাইস মিল স্থাপনের অভিযোগ উঠেছে। এতে পরিবেশ বিপর্যয়সহ নানা সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, খাড়াতাইয়া গ্রামের আবদুল মান্নান মেম্বারের ছেলে কামাল উদ্দিন গাজীপুর মৌজার সাবেক ২৭৪, ২৭৫, ২৭৮ হালে ৯৫৮, ৯৫৯, ৯৭৫ দাগের ১০ শতক সরকারি ভূমি অবৈধভাবে দখল করে মেসার্স জাহানারা অটো রাইস মিল স্থাপনের কাজ শুরু করেছে। এখানে গ্রামের চলাচলের রাস্তা ছিল। রাইস মিল স্থাপনের জন্য সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কুমিল্লা মীরপুর সড়কের পাশ দিয়ে পানি নিষ্কাশনের খালের বেশির ভাগ ভরাট করে পানি নিষ্কাশনেরও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সহকারী কমিশনার ভূমি তাহমিদা আক্তার পরিদর্শন শেষে সরকারি জায়গায় স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ রাখার নোটিশ দেন। অন্য দিকে গাজীপুর গ্রামের আবদুর রেজ্জাকের ছেলে আবদুর রশীদ পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালকের কাছে মেসার্স জাহানারা অটো রাইস মিল স্থাপনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। স্থানীয় অভিভাবক মাহফুজুর রহমান শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় বিঘœ সৃষ্টিকারী ও পরিবেশ ধ্বংসকারী অটো রাইস মিলটিকে মাদরাসাসংলগ্ন আবাসিক এলাকা থেকে অন্যত্র স্থানান্তরে পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালকের কাছে আবেদন করেছেন।
পরিবেশ অধিদফত চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মোয়াজ্জম হোসেন জানান, এ বিষয়ে পরে কথা বলবেন।
পরিবেশ অধিদফতর কুমিল্লার উপপরিচালক শওকত আরা কলি বলেন, আমরা দুই ধাপে পরিবেশ ছাড়পত্র দেই। প্রাথমিক ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে সরেজমিন রিপোর্ট আঞ্চলিক পরিচালকের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক ব্যবস্থা নেবেন।
বুড়িচং উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি তাহমিদা আক্তার বলেন, মেসার্স জাহানার অটো রাইস মিলটি ব্যক্তি মালিকানা ও সরকারি খাসজমিতে নির্মাণ হচ্ছিল। আমরা নোটিশ দিয়ে কার্যক্রম বন্ধ রেখেছি। পরবর্তীতে সার্ভেয়ারের মাধ্যমে খাস ভূমি নির্ণয় করে উদ্ধারের ব্যবস্থা করব।
মেসার্স জাহানারা অটো রাইস মিলের মালিক কামাল হোসেন বলেন, আমরা মিল স্থাপনের জন্য যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে যাবতীয় বৈধ কাগজপত্র ও অনুমতি নিয়েই কার্যক্রম শুরু করেছি। আমাদের নিজস্ব ৫৫ শতক জমির ওপর সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেছি। বর্তমানে নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement