কুমিল্লার তিতাস উপজেলার বাতাকান্দি এবং এর আশপাশের গ্রাহকদের মাঝে করোনা সম্পর্কে সচেতনা সৃষ্টি করতে রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক নিয়েছে অনুকরণীয় উদ্যোগ। ব্যাংকটির শাখায় গিয়ে দেখা গেছে, প্রথমে তারা গ্রাহকের পোশাকে জীবাণুনাশক স্প্রে করছেন। এরপর থার্মোমিটারের মাধ্যমে গ্রাহকের তাপমাত্রা দেখে নিয়ে তারপর হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে দুই হাত জীবাণুমুক্ত করার পর ব্যাংকে প্রবেশ করানো হচ্ছে। শাখার প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মচারী সাদা অ্যাপ্রোন, হ্যান্ড গ্লাভস, মাস্ক পরে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
কয়েকজন গ্রাহকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এই পদক্ষেপের কারণে তারা এই শাখায় নিশ্চিন্তে সেবা নিতে পারছেন। পাশাপাশি তারা সচেতনও হচ্ছেন। তাপসী রাবেয়া নামের এক গ্রাহক জানান, ব্যাংকে আসার আগে তিনি এই করোনাভাইরাসকে অতটা গুরুত্ব দেননি। এখন তিনি এ ব্যাপারে খুব সচেতন এবং অন্যদেরকেও সচেতন করছেন। শাখার ক্যাশ কর্মকর্তা আজাদ হোসেন জানান, এই সময়ে ক্যাশে কাজ করাটা খুবই রিস্ক। কিন্তু তার ম্যানেজারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে তারা কিছুটা হলেও স্বস্তিতে আছেন।
ব্যবস্থাপক জনাব জসীম উদ্দীন জানালেন, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী করোনা একটি আতঙ্কের নাম। বহু দেশ প্রাথমিকভাবে খামখেয়ালি করে এখন ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে আছে। তাদের কাছ থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়া উচত। গ্রাম-গঞ্জে কেউ সচেতন হচ্ছে না। সদ্যবিদেশ ফেরত অজস্র লোক হোম কোয়ারেন্টিনে না থেকে হাটেবাজরে ঘুরছে, ব্যাংকে আসছে। এমন অবস্থায় কঠোর পদক্ষেপ না নিলে সবাই আমরা বিপদের মুখে পড়ব। তা ছাড়া সরকারি ব্যাংকার হিসেবে যত দুর্যোগই হোক জনগণকে ব্যাংকিং সেবা দিয়ে যেতে হবে। আমরা তো ডাক্তার না যে কে সুস্থ আর কে অসুস্থ তা বিচার করে তাকে সেবা দেবো।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা