২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ভূরুঙ্গামারীতে ভারতীয় গরুর কারণে ছড়াতে পারে করোনা

-

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে উপজেলাজুড়ে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। করোনার বিস্তার রোধে ইতোমধ্যে ভূরুঙ্গামারীর সোনাহাট স্থলবন্দরের কার্যক্রম আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে; যাতে ভারত থেকে করোনাভাইরাসের জীবাণু বাংলাদেশে আসতে না পারে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের পক্ষ থেকে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রচারণার পাশাপাশি বাজার মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে।
তবে উপজেলার সীমান্তগুলোতে ভিন্ন চিত্র দেখা যায়। প্রায় প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত গলিয়ে রাতের আঁধারে শত শত ভারতীয় গরু ভারত থেকে ভূরুঙ্গামারীতে ঢুকছে। এসব ভারতীয় গরু বিট খাটাল হয়ে পৌঁছে যাচ্ছে ভূরুঙ্গামারী হাটে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত গরু ব্যবসায়ীরা ভূরুঙ্গামারীতে আসছেন গরু কিনতে। এতে গরু পাচারকারীদের মাধ্যমে ভারত থেকে করোনাভাইরাস ভূরুঙ্গামারীতে ছড়িয়ে পড়ার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। অন্য দিকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা গরু ব্যবসায়ীদের মাধ্যমেও করোনাভাইরাস ভূরুঙ্গামারীতে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন অনেকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ক্ষোভের সাথে জানান, প্রশাসন কি জানে না পাচারকারীদের মাধ্যমে করোনাভাইরাস ভূরুঙ্গামারীতে আসতে পারে, কেন গরু আসা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না. তা বোধগম্য নয়! নিশ্চয়ই কোনো স্বার্থের কারণে প্রশাসন গরু আসা বন্ধ করছে না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরুজুল ইসলাম বলেন, করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সবাইকে সচেতন থাকতে সচেতন করা হচ্ছে। তবে সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু আসা বন্ধ করার বিষয়ে কোনোরূপ নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। নির্দেশনা পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement