৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


দৌলতদিয়ায় বেপরোয়া ছিনতাইকারী চক্র

-

রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে ছিনতাইকারী চক্র বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে। কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে ঘাটের যাত্রীদের মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে তারা। এ জন্য নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খা বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকেই দায়ী করছেন ভুক্তভোগীরা।
বিকেল গড়িয়ে রাত নামলেই গাড়ির সিরিয়াল বাড়তে থাকে। দৌলতদিয়ায় শত শত গাড়ি আটকা পড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার ৪০ হাজারের বেশি যাত্রী যাতায়াত করে এই ঘাট দিয়ে। নদী পার হওয়ার জন্য যানবাহনগুলোকে বেশির ভাগ সময়ই সিরিয়ালে অপেক্ষা করতে হয়। দূরের পথ পাড়ি দিয়ে দৌলতদিয়া ঘাটে আসতে রাত গভীর হয়ে যায়। ক্লান্ত যাত্রীরা তখন যানবাহনের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়ে। এ সুযোগে ছিনতাইকারীরা সুযোগ বুঝে গাড়ির জানালা দিয়ে অথবা যাত্রীবেশে গাড়িতে উঠে যাত্রীদের মোবাইল, স্বর্ণালঙ্কার, লাগেজপত্র, মানিব্যাগ ও ভেনিটি ব্যাগসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। যাত্রীরা চিৎকার করলেও কারো সাহায্য পান না।
এ দিকে গাড়ির চালক ও সহকারীরাও ছিনতাইকারীদের ভয় পায়। মাঝে মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ছিনতাইকারীদের সাজা দেয়া হলেও বেড়িয়ে আবারো তারা ছিনতাই শুরু করে।
যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এ রুটে আসা যাত্রীরা এখন প্রতিদিনই প্রতারক ও ছিনতাই চক্রের কবলে পড়ে মূল্যবান জিনিসপত্র খোয়াচ্ছেন। ভুক্তভোগী ঝিনাইদহের মমিনুল ইসলাম, মাগুরার ওহাব মিয়া, কুষ্টিয়ার মিলন খান, খুলনার আতিকুল ইসলামসহ বেশ ক’জন যাত্রী জানান, দৌলতদিয়ার পুলিশের সহায়তা চাইলে হয়রানি আরো বেড়ে যায়। তাই তারা পুলিশে অভিযোগ করেননি। পুলিশ ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ইচ্ছে করলেই এসব বন্ধ করা সম্ভব বলে দাবি করেন তারা।
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি আশিকুর রহমান বলেন, ওই যাত্রীর ছিনতাইয়ের ঘটনা আমি শুনেছি। কিন্তু তার মালামাল উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে এত টাকার জিনিস নিয়ে এ রুটে চলাচল করার সময় সতর্ক থাকা উচিত ছিল। তা ছাড়া দৌলতদিয়া ঘাট পার হওয়ার সময় সব যাত্রীদেরই সতর্ক থাকা দরকার।

 


আরো সংবাদ



premium cement