মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার চান্দহর ইউনিয়নের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া কালীগঙ্গা নদীতে আবারো ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে বিলীন হতে চলেছে বার্তা গ্রাম। কয়েক বছরের অব্যাহত ভাঙনে ওই গ্রামের প্রায় ৫০টি পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। সেই সাথে শতাধিক বিঘা ফসলি জমি বিলীন হয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে নতুন করে ভাঙন শুরু হওয়ায় আতঙ্ক বিরাজ করছে ওই এলাকার গ্রামবাসীর মধ্যে।
গতকাল সরেজমিন দেখা গেছে, ওই গ্রামের আব্দুল হালিম, মগর আলী, সমেজ আলী, কোরবান আলী, জুনাব আলী ও আলীরাজের বসতবাড়ি ভাঙনের কবলে পড়েছে। এদের মধ্যে আব্দুল আলীমের বাড়ির পুরোটাই নদীতে চলে গেছে। এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০১৭ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড এক কোটি ৫৩ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রায় অর্ধ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করে। চলতি বর্ষায় দ্বিতীয় দফায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে বাঁধটির বেশির ভাগ অংশ ধসে পড়ে নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে। সমেজ আলীর স্ত্রী বেদানা খাতুন বলেন, আগে জমি গেছে, এবার বাড়ি ভাঙছে। রাতে আমরা আতঙ্কে ঘুমাতে পারি না। কখন যেন বসতঘরটিও নদীতে বিলীন হয়ে যায়। সাবেক মেম্বার আব্দুল লতিফ জানান, একটি মসজিদ, দুইটি মাদরাসা ও পাকা সড়কসহ প্রায় ৬০টি বাড়ি ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা পেতে স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছে আবেদন করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
চান্দহর ইউপি চেয়ারম্যান মো: শওকত হোসেন বাদল বলেন, ভাঙনের হাত থেকে বার্তা গ্রামটিকে রক্ষা করতে এক কিলোমিটার স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য পানিসম্পদমন্ত্রী বরাবর এমপির পক্ষ থেকে ডিও লেটার দেয়া হয়েছে। মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, ভাঙনকবলিত এলাকায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য বরাদ্দ পেলে নদী ভাঙনরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা