স্কুলঘর আছে। নেই দরজা জানালা। বিভিন্ন স্থান দিয়ে ভেঙে পড়েছে ঘরের বেড়া। মাথার ওপর একাধিক ছিদ্রযুক্ত টিনের চালা। তাও রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ। এমনকি অতি জোয়ারের পানিতে ডুবে যায় বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ। হালকা বাতাস হলেই ভেঙে পড়ার আশঙ্কা থাকে যেকোনো সময়। এমনই নানা সমস্যা নিয়ে ক্লাস করছে ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। তবে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বলছেন স্কুলের ভবন নির্মাণের জন্য তালিকা পাঠানো হয়েছে। অচিরেই ভবন নির্মাণ করা হবে।
ভোলা শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে প্রত্যন্ত এলাকায় নির্মিত শ্যামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বছরের পর বছর পার হয়ে গেলেও জরাজীর্ণ ও ভাঙাচোরা টিনশেড ঘরে চলে বিদ্যালয়ের পাঠদান। প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে ২৩২ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। শ্রেণিকক্ষ রয়েছে চারটি। যার একটি অফিস হিসেবে ব্যবহার করা হয়। বাকি তিনটি শ্রেণিকক্ষে কোনো রকম জোড়াতালি দিয়ে সব শ্রেণীর পাঠ কার্যক্রম চালানো হয়। শ্রেণিকক্ষগুলোর টিনের চালায় ফুটো, বৃষ্টি হলেই পানি পড়ে, দরোজা-জানালা ভাঙাচোরা। বৃষ্টি হলে ঘরের ভেতর পানি চলে আসে। বৃষ্টির কারণে শিক্ষার্থীদের বই-খাতা ভিজে যায়। ফলে ছুটির ঘণ্টা বাজে প্রায় সময়। নেই পর্যাপ্ত টয়লেটের ব্যবস্থা। কখনো জোয়ারের পানি এসে শ্রেণিকক্ষ ডুবে যায়।
এ ছাড়া কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে স্কুলটি যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে। স্কুলের পরিবেশ নাজুক থাকায় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়। ভবন না থাকায় নেই কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ফলে প্রায়ই বিঘœ ঘটে শিক্ষার্থীদের পাঠদান।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নিখিলচন্দ্র হাওলাদার বলেন, বিদ্যালয়টি নতুনভাবে জাতীয়করণ করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে বিদ্যালয়টিতে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। আশা করি শিগগিরই নতুন ভবনের কাজ শুরু হবে।
উল্লেখ্য ২০০৫ সালে ৩৩ শতাংশ জমির উপর স্কুলটি নির্মাণ করা হয়। ২০১৩ সালে বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ করা হয়। বর্তমানে দুই শিফটে বিদ্যালয়ে চারজন শিক্ষক দিয়ে পরিচালিত হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা