দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, হ্যালোউইন উৎসবের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছিল। শুক্রবার সৌলের বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
২৯ অক্টোবর সৌলের ওই দুর্ঘটনায় ১৫৬ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন ১৯৮ জন। মৃতদের বেশিরভাগের বয়স ২০ থেকে ৩০-এর মধ্যে বলে জানায় স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। দক্ষিণ কোরিয়ার ইটায়েওন জেলায় সরু রাস্তায় হ্যালোউইন উৎসবের ভিড়ে পদপিষ্ট হয়ে ব্যাপক এই হতাহত হয়।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তার বিবৃতি উল্লেখ করে ইয়োনহাপ জানায়, কর্মকর্তারা শুধুমাত্র উপাধি জিয়ং দিয়েই ওই মৃত পুলিশ কর্মকর্তাকে শনাক্ত করেন। ইয়ংসান পুলিশ স্টেশনে গোয়েন্দা বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন জিয়ং। ইটাওয়েন ইয়ংসানেরই অন্তর্ভুক্ত। সৌলের বাড়িতে শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে পরিবারের এক সদস্য তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান।
সংবাদসংস্থা রয়টার্স ওই পুলিশ স্টেশনে বারবার ফোন করলেও কেউ ফোন ধরেননি।
৫৫ বছরের জিয়ংয়ের বিরুদ্ধে সম্প্রতি গুরুতর অভিযোগ ওঠে। হ্যালোউইনে পদপিষ্ট হয়ে দেড় শতাধিক মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শুরু হওয়ার পর চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে। জানা যায়, ওই দুর্ঘটনা সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছিল আগেই। অভিযোগ ওঠে, সেই সংক্রান্ত তদন্তমূলক রিপোর্টগুরো সরিয়ে ফেলেছিলেন জিয়ং।
সোমবার সংসদীয় অধিবেশনে আইনপ্রণেতারা এই নথি সরানো নিয়ে তীব্র নিন্দা করেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্তাদের গ্রেফতার করে শাস্তির দাবি তোলেন।
দেশটির পুলিশ প্রধান ইয়ুন-হে-কেওন আইনপ্রণেতাদের বলেন, ইয়ংসান স্টেশনের গোয়েন্দা প্রধান ওই রেকর্ডগুলো মুছে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন, তা নিয়ে তদন্ত করা হবে।
ঘটনার পর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে পুলিশ বিভাগ। বিশেষ করে, আপৎকালীন কলগুলোর ট্রান্সস্ক্রিপ্ট, অর্থাৎ প্রতিলিপি প্রকাশের পরে জানা যায়, বিপদের আশঙ্কা করে অনেক মানুষ পুলিশকে সতর্ক করার চেষ্টা করেছিলেন। দুর্ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগে থেকে এ বিষয়ে সাহায্য চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
তারপরই পুলিশকর্মকর্তার লাশ উদ্ধার ঘিরে রহস্য আরো বাড়ছে।
সূত্র : ডয়চে ভেলে
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা