১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলকদ ১৪৪৫
`


‘এই দিনটার জন্যই ২৮ বছর ধরে আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করছি’

- ছবি : সংগৃহীত

যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে এক সপ্তাহ আগে। সেই মতোই কারাবাখের কিছু কিছু এলাকা ছেড়ে যাচ্ছেন দখলদার আর্মেনীয়রা। সেইসব জায়গায় ফিরে যাচ্ছেন আজারবাইজানিরা। ২৮ বছর পর নিজভূমে ফেরার স্বপ্ন সফল হচ্ছে তাদের।

যদিও চুক্তিতে লেখা ছিল ১৫ নভেম্বর থেকে এলাকা ছাড়বে আর্মেনীরা। কিন্তু তা পুরোপুরি না হওয়ায় আর্মেনিয়ার প্রতি মানবিকতার নজির রেখে আরো ১০দিন সময় দিয়েছেন আজেরি প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ।

তবে ইতোমধ্যেই নাগার্নো-কারাবাখের শুশা এবং কালবাজার অঞ্চল ছেড়ে চলে গেছে প্রায় হাজার তিরিশেক আর্মেনীয়।

উল্লেখ্য, শুশা শহর ভৌগোলিকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে রক্তাক্ত ইতিহাস। ১৯৯৩ সালের যুদ্ধে কয়েক হাজার আজেরিকে উৎখাত করে এই শহরের দখল নেয় আর্মেনীয়রা।

অন্যদিকে ক’দিন আগেই একটা ভিডিও ভাইরাল হয়। যাতে দেখা যায় শুশার এক ভগ্নপ্রায় মসজিদের মিনারে উঠে আজান দিচ্ছেন এক আজেরি সেনা। আবার অন্যদিকে দেখা যায় নিজেদের বসতবাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দিয়ে এলাকা ছাড়ছে কালবাজারের আর্মেনীয়রা। যাতে আজেরিরা ফিরে এসে ওইসব বড়িতে বসবাস করতে না পারেন।

২৮ বছর আগে যুদ্ধ শুরু হলে প্রাণে বাঁচতে স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নিয়ে চৌদ্দ পুরুষের ভিটে ছেড়ে পালিয়ে যান হ্যামলেট মেহেরমোভ। এখন তিনি নাতি-নাতনিদের নিয়ে নিজের ভিটেতেই ফিরতে চাইছেন।

তার স্ত্রী সুগায়েত মেদেতোবা বলেন, এই দিনটার জন্যই ২৮ বছর ধরে আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করেছি। তিনি জানান, কালবাজারেই তার শ্বশুরবাড়ি এবং বাপেরবাড়ি। তাই পাহাড়ের কোলঘেঁষা কালবাজারের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে তাদের আবাল্য স্মৃতি।

তার কথায়, অবশেষে আল্লাহর মেহেরবানিতে আমরা খুব শীঘ্রই কালবাজার ফিরে যাব। এই আনন্দে তার চোখের কোণে চিকচিক করে উঠল একবিন্দু অশ্রু।

সূত্র : পুবের কলম


আরো সংবাদ



premium cement