দেশের তিন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। বাংলাদেশের আকাশপথে যোগাযোগ আগের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্য দিকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা করার জন্য বিমানবন্দরগুলোর বিদ্যমান নিরাপত্তা সুবিধাদি যথেষ্ট নয়। তাই শাহজালালসহ তিন বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার করতে প্রায় সোয়া শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে দু’টি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
সূত্রের তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানন্দরে ভিজ্যুয়াল বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে যাত্রী এবং তাদের মালামাল অনুসরণ করা হয়। কিন্তু যা যথেষ্ট নয়। এই সীমাবদ্ধতা দূর করতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার করা জরুরি। এ জন্য জাইকার অনুদানে দু’টি আলাদা প্রকল্প নেয়া হচ্ছে। দেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জন্য নিরাপত্তা সরঞ্জাম সরবরাহ ও সংস্থাপনের লক্ষ্যে জাইকা থেকে একটি জরিপ করা হয়। সেই জরিপ অনুযায়ী বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা আধুনিকায়ন করা হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, কুর্মিটোলাতে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৮০ সালে। এক হাজার ৯৮১ একর এলাকা বিস্তৃত এই বিমানবন্দর দিয়ে দেশের প্রায় ৫২ শতাংশ আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট উঠানামা করে। চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে ২১ শতাংশ বিভিন্ন ফ্লাইট উঠানামা করে।
শাহজালাল বিমানবন্দরের জন্য পৃথকভাবে ৬৩ কোটি ৬৯ লাখ ৭৪ হাজার টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। যেখানে প্রকল্প সহায়তা থাকবে ৩৮ কোটি ২৭ লাখ ৮১ হাজার টাকা। এই প্রকল্প সাহায্য অনুদান হিসেবে প্রদান করবে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। ২০২০ সালের জুনের মধ্যে এই বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আধুনিকায়ন ও জোরদার সংক্রান্ত কাজ সম্পন্ন হবে। এই বন্দরের জন্য বিস্ফোরক শনাক্তকরণ সিস্টেম কেনা হবে দু’টি, বডি স্ক্যানার কেনা হবে ছয়টি। এই প্রকল্পের মাধ্যমে এক্সসেস কন্ট্রোল সিস্টেম কেনা হবে এক সেট। সিসি টিভি ক্যামেরা কেনা হবে ৩৮১টি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, জাইকার জরিপ অনুযায়ী শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জন্য রফতানি কার্গো স্ক্রিনিংয়ে এক্সপ্লোসিভ ডিটেকশন সিস্টেম বা ইডিএস এবং আন্তর্জাতিক বহির্গমন যাত্রী স্ক্রিনিংয়ের জন্য চারটি বডি স্ক্যানার, শাহ আমানত বিমানবন্দরের জন্য বহির্গমন যাত্রী স্ক্রিনিংয়ের জন্য বডি স্ক্যানার এবং ওসমানী বিমানবন্দরে বহির্গমন যাত্রী স্ক্রিনিংয়ের জন্য বডি স্ক্যানার সংগ্রহ করা হবে।
পরিকল্পনা কমিশন প্রশ্ন তুলেছে, বাংলাদেশের বিমানবন্দরগুলোর সেফটি ও সিকিউরিটি ব্যবস্থার উন্নয়ন নামে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে শাহজালাল বিমানবন্দরের জন্য একটি এক্সেস কন্ট্রোল সিস্টেম সংগ্রহ করা হয়েছে। আবার একই প্রকল্পের মাধ্যমে এক্সেস কন্ট্রোল সিস্টেম কেন সংগ্রহের প্রস্তাব করা হয়েছে। এই বিমানবন্দরের জন্য ক’টি কন্ট্রোল সিস্টেম প্রয়োজন?
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা