০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`


স্বর্গীয় সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি নীলাদ্রি লেক

-

বাংলার কাশ্মিরখ্যাত নীলাদ্রি লেক। যা শহীদ সিরাজ লেক নামেও সর্বমহলে পরিচিত। সুনামগঞ্জ তাহিরপুর উপজেলা সীমান্তের মেঘালয়ের কোলঘেঁষা পাহাড়সংলগ্ন শহীদ সিরাজ লেকটি আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে দিনকে দিন। স্বর্গীয় সৌন্দর্য আর নয়নাভিরাম দৃশ্যে ভরপুর নীলাদ্রি লেক পর্যটকদের কাছে হয়ে উঠছেÑ প্রিয় থেকে আরো প্রিয়। সোস্যাল মিডিয়া ফেসবুকে পর্যটকদের তোলা ছবি দেখে নীলাদ্রি সফরের তীব্র আকাক্সক্ষা জন্মায় হৃদ মাঝারে। সময় আর সুযোগের সন্ধানে থাকতাম সবসময়। অবশেষে গত শুক্রবার (৯ অক্টোরব ২০২১) সুযোগ পেয়ে হৃদয়ের বাসনা পূরণে বেরিয়ে পড়লাম নীলাদ্রির পথে। শ্রীমঙ্গল থেকে বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) সকাল ৮টায় বেরিয়ে পড়লাম আমরা তিন বন্ধুÑ আরিফ হোসেন, মনিরুল ইসলাম ও আমি। হবিগঞ্জের বাসে চড়ে সিলেট।
পরদিন শুক্রবার সকাল ৯টায় আমরা এক কাফেলা বেরিয়ে পড়লাম নীলাদ্রির পথে। কাফেলায় ছিলেন- প্রিয় বন্ধু আরিফ হোসেন, মনিরুল ইসলাম, আবু মুসা সাফওয়ান চাচা, আবু সাঈদ ইসহাক ও আফজল হোসাইন। মোটরসাইকেল যোগে হাওর বাঁওড়, সবুজে ঘেরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং বাংলাদেশ সীমান্ত মেঘালয় থেকে উঁচু পাহাড় হতে বৃষ্টির ফোঁটার মতো পড়া মেঘালয়ের সৌন্দর্য অবলোকন করতে করতে আনুমানিক ২ ঘণ্টায় গিয়ে পৌঁছলামÑ আমাদের বহুল কাক্সিক্ষত স্বর্গীয় সৌন্দর্য আর নয়নাভিরাম দৃশ্যে ভরপুর নীলাদ্রি লেকে।
ছোট-বড় টিলা আর পাহাড়ের সমন্বয় নীলাদ্রি লেককে করেছে অপার্থিব সৌন্দর্যের অধিকারী। লেকের মাঝের টিলাগুলো আর ওপাড়ের পাহাড়ের নিচের অংশটুকু বাংলাদেশের শেষ সীমানায়। মেঘালয় রাজ্যের চেরাপুঞ্জির পাহাড়গুলোর ওপর মেঘমালা ভেসে থাকে, যা প্রকৃতিপ্রেমী যে কাউকে বিমুগ্ধ করবে। বড় উঁচু পাহাড়গুলোর সীমানায় কাঁটাতারের বেড়া দেখতে পেলাম। বিশেষত লেকের পানির রঙ এতটা নীল আর প্রকৃতি এতটা মায়াবী হয়! নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাসই করতে পারতাম না। বিভিন্নজনের তোলা ছবিতে নীলাদ্রি লেক অনেকবার দেখেছি, তখন ভেবেছি হয়তো এসব এডিটিং করা। কিন্তু বাস্তবে নীলাদ্রির রূপ যে আরো বেশি সুন্দর, তা হয়তো স্বচোখে না এলে অজানাই থেকে যেত!
নীলাদ্রির পাশে রয়েছে রেলস্টেশনের পুরনো জংধরা ইঞ্জিন ও বগি, যা দিয়ে একসময় পাথর নেয়া হতো। এখানে দাঁড়িয়ে আপনি চাইলে ছবিও তুলে নিতে পারেন। অবশ্য ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলার জন্য দক্ষ ফটোগ্রাফারের দল সেখানে পাওয়া যায়। ফটো প্রতি ৩ থেকে ৫ টাকা। নীলাদ্রি গেলে আপনি চাইলে টাংগুয়ার হাওর, যাদুকাটা নদী, শিমুল বাগানও দেখে আসতে পারেন। যাকে একের ভেতর চারও বলা যেতে পারে। তবে হাতে বেশি সময় নিয়ে যেতে হবে। যাতে সব ঘুরে আসা যায়। সেজন্য সকাল সকাল পৌঁছলেই ভালো হয়।
১৯৯৬ সালে এই প্রকল্পটি একটি লোকসানি প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোয়ারি থেকে চুনাপাথর উত্তোলন বন্ধ করে দেয়।
এরপর এই কোয়ারিতে পানি জমে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে। তবে দৃষ্টিনন্দন এই লেকটি (চুনাপাথর পরিত্যক্ত কোয়ারি) সীমান্তঘেঁষা পাহাড় ও হাওর সংলগ্ন হওয়ায় হাজার হাজার পর্যটকদের আগমন ঘটছে প্রতিনিয়ত।
কিভাবে যাবেন : রাজধানী ঢাকা থেকে যেকোনো বাস দিয়ে সুনামগঞ্জ। এরপর মোটরসাইকেল অথবা সিএনজি দিয়ে (জনপ্রতি ১০০ টাকা) তাহিরপুর উপজেলায় অথবা লাউড়েরগড়। এরপর হেঁটে লাউড়েরগড় গেলেই যাদুকাটা নদী, বারিক্কা টিলা। এরপর আবার ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে সীমান্ত এলাকা দিয়ে ট্যাকেরঘাট। মোটরসাইকেল ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন নেই। তাই ওই পথে মোটরসাইকেলই একমাত্র যানবাহন। ভাড়া জনপ্রতি ৮০-১০০ টাকা। উল্লেখ্য যে, যেকোনো যানবাহনে ওঠার আগে ভাড়া আলোচনা করে ওঠাই শ্রেয়।


আরো সংবাদ



premium cement
গ্রিড লাইনের ত্রুটিতে সিলেট বিভাগে বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ভুক্তভোগী নারী ও তার পাশে দাঁড়ানো ব্যক্তিদের হয়রানির প্রতিবাদ বাড্ডায় নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার কথিত স্বামী পলাতক গ্রেফতারকৃতদের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করবে খতমে নবুওয়ত ঝিনাইদহ-১ আসনে উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নায়েব আলী জাতীয় গ্রিডে ত্রু‌টি, সিলেট বিভাগে বিদ্যুৎ বিপর্যয় ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাবিতে নিয়মিত ২০ আসন বরাদ্দ রেকর্ড গড়ে সাদিক খান আবারো লন্ডনের মেয়র আগামী ২ মাসের মধ্যে ভাঙ্গা-খুলনা-যশোর পর্যন্ত ট্রেন চালু হবে : জিল্লুল হাকিম ফতুল্লায় ব্যবসায়ী অপহরণ, গ্রেফতার ৭ তাপদাহের কারণে গোসল করতে গিয়ে কলেজছাত্রের মৃত্যু

সকল