২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


অবন্তিকার আত্মহত্যা

জবি প্রশাসনকে লালকার্ড দেখাল শিক্ষার্থীরা

জবি প্রশাসনকে লালকার্ড দেখাল শিক্ষার্থীরা - ছবি : নয়া দিগন্ত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার বিচার ও যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেল কার্যকর করা দাবিতে প্রশাসনকে লাল কার্ড দেখিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বরে ‘নিপীড়ন বিরুদ্ধে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়' এর ব্যানারে আয়োজিত প্রতীকী সমাবেশে এ লাল কার্ড প্রদর্শন করেন।

প্রতীকী সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টরিয়াল বডি বহু অন্যায়ভাবে মুচলেকা নিয়েছে। এবার এই বডিকে আগামী সাত দিনের মধ্যে শিক্ষার্ধীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে মুচলেকা জমা দিতে হবে। সাত দিনের মধ্যে মুচলেকা না দিলে প্রক্টর অফিসের নামে যে টর্চার সেল তারা করে রেখেছে, সেখানে তালা ঝুলিয়ে দিব। এছাড়াও যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেল কার্যকর করারও দাবি জানানো হয়।

সমাবেশে ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষার্থী শাহ সাকিব সোবহান বলেন, প্রক্টরিয়াল বডি করোনার সময় কুকুরের জন্য বরাদ্দ দেয়া টাকা মেরে খেয়েছে। আজকে সেই প্রক্টরিয়ার বডি নিপীড়ন বিরোধী সেলের নামে ডামি সেল গঠন করে রেখেছে। শুধু তাই নয় প্রক্টরিয়াল বডি যখন তখন ক্যাম্পাস থেকে শিক্ষার্থীদের ধরে নিয়ে মুচলেকা সংগ্রহ করতো। এখন থেকে সেই খেলা আর চলবে না। যৌন নিপীড়ন সেলে ছাত্র-শিক্ষকসহ বাইর থেকে ম্যাজিস্ট্রেট এনে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। নিপীড়ক বিরোধী সেলের নামে যে টর্চার সেল যারা তৈরি করে রেখেছে, সেই প্রক্টর অফিসে আমরা সাতদিনের মধ্যে তালা ঝুলিয়ে দেবো।

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ইভান তাহসীব বলেন, জগন্নাথে যেকোনো নিপীড়নের বিরুদ্ধে আমরা অবস্থান নিবো। এখানে যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেল থাকলেও তার কেন কার্যক্রম নেই। এটি কার্যকর করতে হবে। এটিকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। সেখানে শিক্ষার্থী প্রতিনিধি যুক্ত করতে হবে। যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে একটি সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। শুধু কিছু প্রতিশ্রুতি দিলে হবে না। যখন একটা ঘটনা সামনে আসছে, তখন তদন্ত কমিটি করে দেয়া হচ্ছে, ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে, আমরা এভাবে আর এগোতে চাই না, আমরা আরেকটি অবন্তিকাকে দেখতে চাই না, আরেকটি অঙ্কনকে দেখতে চাই না। আমাদের আন্দোলন ততদিন পর্যন্ত জারি থাকবে, যতদিন পর্যন্ত এটার একটা স্থায়ী সমাধান না হচ্ছে।

আরেক শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন আল আরাবি বলেন, ভিসিকে নিয়ে মসজিদে গিয়ে শোক সভা করে ঘটনাটিকে হালকা করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমাদের সহপাঠীর মৃত্যু হয়েছে। তাই এ বিষয়ে আমাদের কথাই শোনতে হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement