২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রাজ পরিবার ছাড়ছেন হ্যারি-মেগান

-

ব্রিটিশ রাজ পরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্যের দায়িত্ব থেকে সরে আসার ঘোষণা দিয়েছেন ডিউক অব সাসেক্স প্রিন্স হ্যারি এবং ডাচেস মেগান মার্কেল। রানি বা প্রিন্স চার্লসের সাথে কোনো ধরনের আলোচনা না করেই বুধবার এ ঘোষণা দেন তারা।

এক বিবৃতিতে তারা বলেন, আমরা রাজ পরিবারের 'জ্যেষ্ঠ' সদস্যের দায়িত্ব থেকে সরে আসতে চাচ্ছি। আমরা চাচ্ছি আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হওয়ার জন্য কাজ করতে। পাশাপাশি মহামান্য রানির প্রতি আমাদের পূর্ণ সহযোগিতা থাকবে।

বহু মাস ধরে চিন্তাভাবনা আর নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেই তারা এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন বলেও জানান তারা।

আগামী দিনগুলোতে তারা বছরের কিছুটা সময় যুক্তরাজ্যে এবং বাকিটা উত্তর আমেরিকায় কাটানোর পরিকল্পনা করেছেন।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হঠাৎ হ্যারি ও মেগানের এই সিদ্ধান্তে বাকিংহাম প্যালেস অপ্রস্তুত অবস্থায় পড়েছে। রাজ পরিবারের অন্য জ্যেষ্ঠ সদস্যরাও ওই ঘোষণায় মনোক্ষুন্ন সহয়েছেন।

হ্যারি ও মেগান গত অক্টোবরে বলেছিলেন, রাজ পরিবারের সদস্য হিসেবে সারাক্ষণ গণমাধ্যমের নজরে থাকতে হয় বলে ব্যক্তিগত জীবন কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এর তিন মাসের মাথায় নিজেদের ইনস্টাগ্রাম পাতায় রাজ পরিবার ছাড়ার ঘোষণা দিলেন তারা।

হ্যারি ও মেগান বলেছেন, 'রানি, কমনওয়েলথ ও অভিভাবকদের প্রতি দায়িত্বের বিষয়ে পূর্ণ সম্মান রেখেই' তারা তাদের সময় যুক্তরাজ্য ও উত্তর আমেরিকার মধ্যে ভাগ করে নিতে চান।

সন্তান আর্চির বেড়ে ওঠার পাশাপাশি নতুন একটি দাতব্য সংস্থা খোলার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে 'এই ভৌগলিক ভারসাম্য' সহায়ক হবে বলে যুক্তি দিয়েছেন তারা।

বিবিসির রয়্যাল করেসপনডেন্ট জনি ডায়মন্ড লিখেছেন, হ্যারি-মেগানের ওই ঘোষণা বাকিংহাম প্রসাদকে বেশ বড় ধাক্কাই দিয়েছে। রাজপরিবার তাদের সিদ্ধান্তের কারণে যতটা না আহত হয়েছে, তার চেয়ে অনেক বেশি আহত হয়েছে তারা যেভাবে আলোচনা না করে ওই ঘোষণা দিয়েছেন- তা নিয়ে।

বাকিংহাম প্রাসাদের একজন মুখপাত্র বিবিসিকে বলেছেন, হ্যারি-মেগান যে আলাদা জীবন চাইছেন, সেটা তারা বুঝতে পারছেন। তবে এখানে জটিল অনেক বিষয় আছে, আর তার সমাধান করা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।


আরো সংবাদ



premium cement