২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ব্রেক্সিট চুক্তি আলোচনায় জনসনের সময়ের প্রস্তাব নাকচ

ব্রেক্সিট নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট - সংগৃহীত

ব্রেক্সিট চুক্তির সর্বশেষ খসড়া নিয়ে আলোচনার জন্য তিন দিনের সময়সীমা বেঁধে দিতে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট। ফলে যেকোনো মূল্যে ৩১ অক্টোবর ব্রেক্সিট কার্যকর করার প্রতিশ্রুতি পালন করতে কার্যত ব্যর্থ হলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের পর হতাশা প্রকাশ করে জনসন বলেছেন, এটা ব্রেক্সিটের ভবিষ্যৎকে আরো অনিশ্চয়তায় ঠেলে দিলো।

গত মঙ্গলবার পার্লামেন্ট ব্রেক্সিট চুক্তি কার্যকর করতে তার আনা প্রথম প্রস্তাব অনুমোদন করায় প্রথমে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পেরেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই আনন্দ বেশিক্ষণ টেকেনি। কারণ এর কয়েক মিনিট পর দ্বিতীয় এক প্রস্তাবের মাধ্যমে পার্লামেন্ট গোটা প্রক্রিয়ার জন্য আরো সময় আদায় করতে চেয়েছিল। বিরোধীদের যুক্তি ছিল, মাত্র তিন দিনের মধ্যে এমন জটিল ও গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব নয়। সেই প্রস্তাব অনুমোদনের পর ক্ষুব্ধ জনসন ব্রেক্সিট চুক্তি সংক্রান্ত আইন প্রণয়নের প্রক্রিয়া থামিয়ে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর দফতর জানিয়েছে, ইইউ ব্রেক্সিটের সময়সীমা বাড়ানোর অনুরোধ মেনে নিলে একমাত্র আগাম নির্বাচনের মাধ্যমে পার্লামেন্টে এই অচলাবস্থা কাটানো সম্ভব। অবশ্য সেই পদক্ষেপের জন্যও পার্লামেন্টের অনুমোদনের প্রয়োজন হবে।

লন্ডনের এই ঘটনাপ্রবাহ পর্যবেক্ষণ করে ইউরোপীয় ইউনিয়নও ব্রিটেনের অনুরোধ মেনে ব্রেক্সিটের সময়সীমা তৃতীয়বারের মতো পিছিয়ে দেয়ার তোড়জোড় করছে। ইইউ দেশগুলোর সরকারের পরিষদের প্রধান ডোনাল্ড টাস্ক শীর্ষ নেতাদের সেই পরামর্শ দেবেন বলে জানিয়েছেন। তার মতে, আপাতত চুক্তিহীন ব্রেক্সিট এড়ানোর এটাই একমাত্র পথ। তবে জরুরি শীর্ষ সম্মেলন ডাকার বদলে লিখিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে চান তিনি। নীতিগতভাবে ব্রেক্সিট পিছিয়ে দিতে রাজি হলেও তার সময়সীমা নিয়ে ইইউ নেতাদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। বিশেষ করে ফ্রান্স ব্রেক্সিটের মেয়াদ বড়জোর কয়েক দিনের জন্য বাড়াতে প্রস্তুত। তার মধ্যেই ব্রিটিশ পার্লামেন্টে আইনি প্রক্রিয়া শেষ হবে বলে সে দেশ আশা করছে।

ইইউর সিদ্ধান্তের ওপর ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ার ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। ব্রাসেলস দীর্ঘ বিলম্ব মেনে নিলে ব্রিটেনে আগাম নির্বাচন অথবা দ্বিতীয় গণভোট আয়োজন করা সম্ভব হতে পারে। কিন্তু সেই মেয়াদ কম হলে ব্রিটেনের পার্লামেন্টের ওপর আইনি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার জন্য চাপ বাড়বে।

ঠিক সময়ে সেই কাজ শেষ না করলে চুক্তিহীন ব্রেক্সিট অনিবার্য হয়ে পড়বে। সূত্র : বিবিসি ও রয়টার্স।


আরো সংবাদ



premium cement