২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ব্রিটেনে না গিয়েই ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে পারবে বাংলাদেশীরা!

ব্রিটেনে না গিয়েই ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে পারবে বাংলাদেশীরা! - ছবি : সংগ্রহ

কমনওয়েলথভুক্ত কোনো দেশের কোনো নাগরিক কখনই ব্রিটেনে না এলেও, তার দেশে বসেই ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে পারবেন।

ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে সৈন্যের ঘাটতি দিনে দিনে এতটাই বাড়ছে যে নিয়োগের রীতি শিথিল করার এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ফলে, ভারত এবং বাংলাদেশ সহ ৫৩টি কমনওয়েলথভুক্ত দেশের নাগরিকরা জীবনে কখনো ব্রিটেনে বসবাস না করলেও ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে যোগদানের জন্য আবেদন করতে পারবেন। নিজের দেশে বসেই আবেদন করা যাবে।

এ ব্যাপারে সরকারের সিদ্ধান্ত আগামী সপ্তাহেই ঘোষণা করা হতে পারে।

ব্রিটেনের সেনাবাহিনীতে কমনওয়েলথের নাগরিকরা সবসময়ই যোগ দিতে পারেন। তবে শর্ত রয়েছে যে আবেদন করার আগে তাকে অন্তত পাঁচ বছর ব্রিটেনে বসবাস করতে হবে।

১৯৯৮ সালে এই বাধ্যবাধকতা তুলে দেয়া হলেও ২০১৩ সালে সেই নীতি আবারো কার্যকর করা হয়।

অবশ্য কমপক্ষে পাঁচ বছর বসবাসের শর্ত কিছুটা শিথিল করা হয় ২০১৬ সালে। সে বছর থেকে পাঁচ বছর বসবাস না করেও বছরে বড়জোর ২০০ জন কমনওয়েলথ নাগরিককে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে যোগদানের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।

তবে সেই শর্তও এখন তুলে নেয়া হচ্ছে।

ব্রিটেনের সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনীতে লোকের ঘাটতি ৮,০০০ ছাড়িয়ে গেছে।

কমনওয়েলথ দেশগুলো থেকে নিয়োগের শর্ত শিথিলের ফলে বছরে অতিরিক্ত ১৩৫০ জন সৈন্য নিয়োগ করা সম্ভব হবে বলে ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আশা করছে।

২০১৭ সালে এমপিদের এক রিপোর্টে সেনাবাহিনীতে লোক নিয়োগের সঙ্কট সম্পর্কে সাবধান করা হয়েছিল।

কারণ হিসাবে তখন বলা হয়েছিল, ব্রিটেনে শারীরিক স্থূলতার প্রবণতা বেড়ে যাওয়া এবং জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সেনাবাহিনীতে নিয়োগ দিন দিন কঠিন হয়ে পড়েছে।

এশীয় এবং কৃষ্ণাঙ্গদের সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার বিষয়ে উৎসাহিত করার সুপারিশ করা হয়েছিল ঐ রিপোর্টে । পরিস্থিতি সামাল দিতে এখন কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলো থেকে নিয়োগের শর্তও শিথিলের সিদ্ধান্ত হলো।

ব্রিটিশ তরুণ-তরুণীদের মধ্যে মদ্যপানের প্রবণতা কমছে
মাহবুব আলী খানসুর, লন্ডন থেকে

২০০৫ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত দশ হাজার মানুষের উপর মদ্যপান নিয়ে এক গবেষণা জরীপ পরিচালিত হয়েছে বৃটেনে। জরীপের ফলাফলে দেখা যায়, ব্রিটিশ তরুণদের মধ্যে মদপানের প্রবণতা ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে।

জরীপের প্রতিবেদনে দেখা যায় ২০০৫ সালে ১৬ থেকে ২৪ বছর বয়সী তরুণ-তরুণীরা বলেছিল তাদের পাঁচ জনের একজন মদপান করে। ২০১৫ সালে একই বয়সীরা বলেছে তাদের তিন চতুর্থাংশ বলছে তারা মদপান করে না। আর মদ খেয়ে মাতাল হাওয়ার হারও কমেছে অনেক।


২০০৫ সালে প্রায় ২৭ শতাংশ তরুণী- তরুণী মাতাল হলেও ২০১৫ সালে এই সংখ্যা কমে হয়েছে ১৮ শতাংশ।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ২০০৫ সালের দিকে বিয়ার বা ওয়াইন না খেলে সামাজিকতা নষ্ট হচ্ছে বলে অনেক ব্রিটিশ তরুণ-তরুণী মনে করতো। পক্ষান্তরে ২০১৫ সালের দিকে মদপান না করে অনেক ব্রিটিশ তরুণ-তরুণী গর্ব করে।


আরো সংবাদ



premium cement