তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেব তায়্যেপ এরদোগান বলেছেন, তুরস্ক শুধুমাত্র প্রতিরক্ষা শিল্পে স্বয়ংসম্পূর্ণই হবে না, বরং দুনিয়ার শীর্ষস্থানীয় প্রতিরক্ষা সামগ্রী রফতানিকারক দেশে পরিণত করা হবে।
২৪ জানুয়ারির প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন উপলক্ষ্যে আঙ্কারায় ক্ষমতাসীন দল জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (একে) পার্টির ‘স্ট্রং পার্লামেন্ট, স্ট্রং গভর্নমেন্ট, স্ট্রং তুর্কি’শীর্ষক নির্বাচনি ইশতিহারে এ প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
এরদোগান অঙ্গীকার করেন, ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ ৪০ শতাংশে উন্নীত করা হবে। টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে তুরস্কের অংশীদারিত্ব আরো বাড়ানো হবে।
এরদোগান বলেছিলেন, সিরিয়া ও ইরাক পরিস্থিতি যত দ্রুত সম্ভব অনিশ্চয়তা মোকাবিলায় তুরস্ককে বাধ্য করেছে। এসব কারণে দেভলেট বাহসেলি’র সঙ্গে আলোচনার পর আমরা ২০১৮ সালের ২৪ জুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
জেরুসালেম প্রসঙ্গে এরদোগান বলেছিলেন, জেরুসালেমে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস স্থানান্তরের কোনো মূল্য নেই। এই পদক্ষেপের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতি প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইল যৌথভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ট্রাম্পের জেরুজালেম প্রদক্ষেপ নিয়ে জাতিসঙ্ঘের ভোট আমাদের দেখিয়ে দেয় যে, এই সমস্ত পদক্ষেপ বিশ্বব্যাপী অনুমোদিত নয়। যদি আপনি বলেন, আমার কাছে টাকা আছে, আমার ক্ষমতা রয়েছে এবং এগুলো ব্যবহার করে আমি সবাইকে ভয় দেখাতে পারি, আপনি এটা করতে পারবেন না এবং কেউ আপনাকে গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করবে না। এখন আপনি সেখানে আপনার দূতাবাস স্থানান্তরিত করেছেন। তাতে কি হয়েছে? ফিলিস্তিন রাজধানী শহর জেরুসালেম এবং এটা পৃথিবীর সবাই জানে। এ সম্পর্কে কারো কোনো দ্বিধা নেই। তা আপনি স্বীকার করেন বা না করেন, এতে আামদের কিছু আসে যায় না।
এরদোগান বলেছিলেন, ইসরাইলি দস্যুতার বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে পদক্ষেপ গ্রহণ পুরো বিশ্বকে এটা দেখাচ্ছে যে মানবতা এখনো মরে যায়নি।ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি বর্বরতা ও হত্যাযজ্ঞ দস্যুতাবৃত্তি, পাশবিক এবং রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা