২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

অযোধ্যার বিতর্কিত জমির সবটাই কেন হিন্দুদের দিল সুপ্রিম কোর্ট?

- ছবি : সংগৃহীত

অবশেষে ভারতের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদের জায়গায় মন্দির গড়ার জন্যই রায় দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। মন্দির গড়ার জন্য সরকারকে একটি ট্রাস্ট গঠন করতেও বলা হয়েছে। তবে অযোধ্যাতেই অন্যত্র একটি মসজিদ গড়ার জন্যও সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে পাঁচ একর জমি বরাদ্দ করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

অযোধ্যার যে ২.৭৭ একর জমিকে বিরোধের মূল কেন্দ্র বলে গণ্য করা হয়, তা বরাদ্দ করা হয়েছে 'রামলালা বিরাজমান' বা হিন্দুদের ভগবান শ্রীরামচন্দ্রের বিগ্রহকে। যার অর্থ সেখানে রাম মন্দিরই তৈরি হবে।

ভারতের শীর্ষ আদালতে পাঁচ সদস্যের একটি সাংবিধানিক বেঞ্চ সর্বসম্মতভাবে এই রায় দিয়েছে। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক আদালত এই রায় দেয়।

এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কোনো সুযোগ নেই। কারণ এটিই ভারতের সর্বোচ্চ আদালত।

সুপ্রিম কোর্ট বলেছে রাম চবুতরায় “দীর্ঘ নিরবচ্ছিন্ন অব্যাহত পূজার্চনা” এবং অন্যান্য তাৎপর্যপূর্ণ ধর্মীয় ক্রিয়াকলাপ চালানোর মাধ্যমে বাইরের অংশে দখলিস্বত্ব প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে।

হিন্দু সাক্ষীদের বয়ান অনুসারে মসজিদের ভিতরে কসৌটি পাথরের স্তম্ভে হিন্দুরা পূজা করতেন বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।

সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, “মুসলিম সাক্ষীরা স্বীকার করেছেন, মসজিদের ভিতরে এবং বাইরে হিন্দু ধর্মের প্রতীক বর্তমান ছিল।”

তিন গম্বুজের সৌধে যে প্রবেশপথ তা নিয়ে শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ। “পূর্ব ও উত্তর দিকের দুটি দরজার সম্ভাব্য একমাত্র কারণ এই যে বাইরের চবুতরা হিন্দু ভক্তদের দখলে ছিল।”

এর ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, “সম্ভাব্যতার ভারসাম্য বিচার করলে প্রমাণাদি থেকে স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলছে যে হিন্দুরা বাইরের চবুতরায় ১৮৫৭ সালে ইট ও জাফরির দেওয়ান তৈরি করা সত্ত্বেও নিরবচ্ছিন্ন ভাবে পূজা চালিয়ে গিয়েছেন।”

সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, “সমস্ত ঘটনাপ্রবাহ মিলিয়ে দেখলে বাইরের চবুতরায় তাদের দখল স্পষ্ট প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে।”

ভেতরের অংশ নিয়ে শীর্ষ আদালত বলেছে, “১৮৫৭ সালে ব্রিটিশরা অযোধ্যা দখলের আগে পর্যন্ত হিন্দুরা যে সেখানে পূজা করত এ সম্ভাবনাই ভারী।”

“ষোড়শ শতাব্দীতে নির্মাণের সময়কাল থেকে ১৮৫৭ সালের আগে পর্যন্ত একমাত্র তারাই যে ভেতরের অংশের কর্তৃত্ব ভোগ করত, সে কথা প্রমাণ করতে পারেনি মুসলিম পক্ষ।” ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।


আরো সংবাদ



premium cement