২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


এখনো বিয়ে না করার কারণ জানালেন মায়াবতী

মায়াবতী - ছবি : সংগ্রহ

উত্তরপ্রদেশে তার সময়ে তিনি তার মূর্তি তৈরি করে কোনো ভুল করেননি। সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা জমা দিয়ে এমনটাই দাবি করলেন ভারতের উত্তর প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও বিএসপি সুপ্রিমো মায়াবতী। তার শাসনকালে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় তার এবং দলিত নেতাদের মূর্তি বসানো হয়েছিল। এমনকী দলের প্রতীক হাতির মূর্তি বসানো নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় তাকে। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টকে মায়াবতী এ বিষয়ে জবাব দিয়েছেন।

মায়াবতী তার হলফনামায় জানিয়েছেন, তিনি তার গোটা জীবন নিপীড়িত মানুষের উন্নয়নের জন্য অতিবাহিত করেছেন। সেই কারণে তিনি বিয়ে পর্যন্ত করেননি। উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় মায়াবতী ও দলের প্রতীক হাতির মূর্তি বসানো হয়েছিল তারই শাসনকালে। জনগণের ইচ্ছেকে সম্মান জানাতে তার এবং তার দলের প্রতীক হাতির মূর্তি স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মায়াবতী।

সুপ্রিম কোর্ট এ বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি মায়াবতীকে জানিয়ে দেয় যে, লখনউ ও নয়ডাতে নিজের ও তার দলের প্রতীক হাতি স্থাপনের জন্য জনসাধারণের যে টাকা তিনি ব্যয় করেছিলেন তা ফেরত দিতে হবে। মায়াবতী তার হলফনামায় বলেন, ‘‌সারাজীবন দলিত–নিপীড়িতদের উন্নয়নের জন্য আমি কাজ করে গিয়েছি। এমনকী এ জন্য আমি বিয়েও করিনি।’‌

তিনি আরো বলেন, ‘‌স্মৃতিস্তম্ভগুলো সামাজিক সংস্কারকদের মূল্যবোধ ও আদর্শ উন্নয়নের উদ্দেশ্য তৈরী করা হয়েছে, বিএসপির প্রতীক উন্নয়নের জন্য নয়। নির্মাণকার্যের জন্য যে অর্থ ব্যয় হয়েছে তা বিধানসভা থেকে পাশ হওয়া নির্মাণ তহবিলের বরাদ্দ অর্থ থেকে নেয়া হয়েছে।’‌

বিগত ২০০৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে মায়াবতী সরকার একাধিক দলিত নেতার স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করে, যার মধ্যে বিএসপি প্রতিষ্ঠাতা কাশীরাম ও বিএসপির নির্বাচনী প্রতীক ‘হাতির’ মূর্তি ছিল। ফেব্রুয়ারিতে এক আইনজীবীর দায়ের করা পিটিশনে উল্লেখ করা হয় যে, লখনউ, নয়ডা এবং রাজ্যের কয়েকটি স্থানে ২,৬০০ কোটি রুপিরও বেশি অর্থ ব্যয়ে স্মৃতিস্তম্ভ ও মূর্তি নির্মিত হয়েছিল। আবেদনকারীর যুক্তি ছিল যে নিজের মূর্তি নির্মাণের জন্য এবং রাজনৈতিক দলের প্রচারের জন্য জনসাধারণের অর্থ ব্যবহার করা যাবে না।


আরো সংবাদ



premium cement