২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নেতানিয়াহুর নির্বাচন ‘কাহোল লাভান’কে ভয়

-

১৭ সেপ্টেম্বর, ইসরাইলে জাতীয় নির্বাচন। গত এপ্রিলে নেতানিয়াহু ২১তম নেসেট গঠনে ব্যর্থ হওয়ায় এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইসরাইলি সংসদ নেসেটে প্রত্যক্ষ ভোটে ১২০ জন প্রতিনিধি নির্বাচিত হন চার বছরের জন্য। তবে চার বছর পার করা সরকারের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ে। তাই সাধারণ নির্বাচন দিতে হয় ঘন ঘন। আসন্ন নির্বাচনও তেমন একটি নির্বাচন। গত নির্বাচনে লিকুদ পার্টি এবং ব্লু হোয়াইট কোয়ালিশন বা কাহোল লাভান ৩৫টি করে আসন পেয়েছিল। এবারের নির্বাচন কঠিনতর হবে উভয় পক্ষের জন্য, এমনই বোঝা যাচ্ছে। নির্বাচনের আগমুহূর্তে নেতানিয়াহু গোঁড়া ইহুদি এবং ‘রাইট উইং’য়ের দিকে ঝুঁকেছেন। ব্লু অ্যান্ড হোয়াইটকে হিব্রু ভাষায় ‘কাহোল লাভান’ বলা হয়। এটি তিনটি দলের এক জোট, এখানে সাবেক জেনারেল এবং নেতানিয়াহুর সাবেক স্টাফ মেম্বারও রয়েছেন। বামপন্থী ভোটারদের সমর্থনে দলটি আস্তে আস্তে জনপ্রিয়তা পেয়ে আসছে।

কাহোল লাভানের অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল বেনি গান্টজ নেতানিয়াহুকে পরাজিত করতে উঠে পড়ে লেগেছেন। গান্টজ এক ভাষণে বলেছেন, নেতানিয়াহু ক্ষমতায় থাকতে (বছরের শুরুর দিকে) গাজার কিছু অংশে বোমাবর্ষণ করে ‘প্রস্তর যুগে’ পাঠিয়েছেন। গান্টজ বামপন্থী দল, সেন্টার-লেফট, ব্লু অ্যান্ড হোয়াইট কোয়ালিশন নিয়ে প্রচারণা শুরু করেছেন।

আহমদ তিবি ও ইউসুফ জাবারিন নির্বাচনে জেতা ও সরকার গঠনের জন্য গান্টজকে কিছু শর্ত দিয়েছেন। আগে কোনো আরব দল ইসরাইলের ক্ষমতাসীন দলের অংশ ছিল না। তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী আইজাক রবিন ১৯৯২-১৯৯৫ সময়ে মাইনরিটিদের বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেন; তখন ইসরাইল সরকারকে আরব দলগুলো সহায়তা দিয়েছিল। জয়েন্ট লিস্টের মূল উদ্দেশ্য হলো সংখ্যালঘু আরব কমিউনিটির সার্বিক উন্নয়ন। তিবি বলেন, ‘এটি করতে হলে নেতানিয়াহু ও ডানপন্থীদের পরাজিত করতে হবে।’ তিনি শর্ত দিয়েছেন, সংখ্যালঘু আরবদের সার্বিক উন্নয়নের জন্য ১০ বছরে কমপক্ষে ১৮ বিলিয়ন ডলার বাজেট রাখতে হবে। আরো একটি দাবি হলো, আল আকসার ওপর ইসরাইলি সার্বভৌমত্ব মানা হবে না। ‘জয়েন্ট লিস্ট’ রাজনীতিকরা ইসরাইলি আরবদের সরকারিভাবে ‘মাইনরিটি কমিউনিটি’ হিসেবে আইনি বিধানে নিয়ে আসার কথা বলেছেন। নেতানিয়াহুকে তাড়াতে চাই, তবে গান্টজও আরবদের কাছে গ্রহণীয় নয়।’ এবারের নির্বাচনে বাইরেরও সরকারি কোয়ালিশন দু’টিই গুরুত্বপূর্ণ। উল্লেখ্য, ইসরাইলে ফিলিস্তিনিরা এর মোট বাসিন্দার ২০ শতাংশ।

আহমদ তিবি একজন ইসরাইলি আরব মুসলিম রাজনীতিবিদ। তিনি ইসরাইলে আরব মুভমেন্ট ফর চেইঞ্জের নেতা। তার দলের নাম তা’ল। জেরুসালেমের হিব্রু ইউনিভার্সিটিতে লেখাপড়া করেছেন। তিনি ১৯৯৯ সালে এবং ২০০৩ সালের নেসেটে সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ইসরাইলি আরবদের তিনি এক বড়মাপের নেতা। নেসেটে তিনি আরব ইসরাইলি জোটের পক্ষ থেকে ডেপুটি স্পিকার। আহমদ তিবি নেতানিয়াহু ও গান্টজ উভয়কেই তাদের ভুল ও বাড়াবাড়ির জন্য সমালোচনা করে থাকেন। আরবদের ভোটের জন্য উভয়ই তিবিকে সমীহ ও সম্মান করেন।

নেতানিয়াহু তুরস্কসহ পার্শ্ববর্তী দেশগুলো লক্ষ্য করে নতুন করে রণহুঙ্কার দিয়েছেন। বলেছেন, পশ্চিম তীরে যারা বসত করছে, তাদের সেসব এলাকাকে ইসরাইলের সাথে সংযুক্ত করা হবে। তার নির্বাচন নিয়ে এবার অনেক হইচই। লেবাননের হিজবুল্লাহ ইসরাইলের ভেতরে সেনাছাউনিতে মিসাইল নিক্ষেপ করেছে। এতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং একজন কমান্ডার নিহত হয়েছেন। গাজা, লেবানন ও আরো কয়েক স্থানে বিমান ও বোমা হামলার জবাবে এই আক্রমণ চালানো হয় বলে জানা যায়। নির্বাচনে ইসরাইলিদের আকৃষ্ট করতে নেতানিয়াহু মাত্র দুই দিনের মধ্যে সিরিয়া, লেবানন, ইরাক ও গাজায় আক্রমণ চালান। বিভিন্ন সময়ে ইসরাইল এসব দেশে শতবার আক্রমণ করেছে, কিন্তু এবার একই সাথে আক্রমণ করা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। শুধু নিজের লাভের জন্য তিনি ‘ক্রস বর্ডার টেররিজমে’ পা রাখলেন। তবে এই বোমা বর্ষণ ও আক্রমণে অনেক ইসরাইলি উদ্বিগ্ন, দেশটির পত্রপত্রিকাই এই অভিমত প্রচার করেছে।

একই সময় নেতানিয়াহু ইরান ও তুরস্ককে শাসিয়েছেন। এমনভাবে বিষয়গুলো মিডিয়ায় আসছে, যেন তিনি আঞ্চলিক পরাশক্তির অপ্রতিরোধ্য নেতা। ইসরাইলের ইতিহাসে যুদ্ধকে নির্বাচনে ব্যবহার নেতানিয়াহুর আগে আরো একজন করেছেন। তিনি হলেন শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত শিমন পেরেজ। তিনি ১৯৯৬ সালে দক্ষিণ লেবাননের গ্রাম কানায় ১০০ জনকে হত্যা করেছিলেন। সেখানে জাতিসঙ্ঘের শান্তি রক্ষা বাহিনীর কিছু কর্মীও ছিল। যুদ্ধ বা হত্যাযজ্ঞ চালিয়েও পেরেজ নির্বাচনে জিততে পারেননি। নেতানিয়াহুর ক্ষেত্রেও এই পলিসি হয়তো আরো খারাপ পরিণতি ডেকে আনতে পারে। এতগুলো প্রতিপক্ষের সাথে একসাথে যুদ্ধ করে পরমাণু বোমা ব্যবহার ছাড়া জেতা এখন আর সম্ভব নয়।

নেতানিয়াহু ৪ সেপ্টেম্বর হেবরন গিয়েছেন নির্বাচনী সফরে, ফিলিস্তিনের জমি অবৈধভাবে দখল করার বার্তা নিয়ে। তিনি সমাবেশে বলেন, ‘আমরা কাউকে তাড়াতে চাই না। কেউ যেন আমাদেরকেও না তাড়ায়।’ এ কথাটির প্রথম অংশ মিথ্যা, দ্বিতীয় অংশ সত্য। লাখ লাখ ফিলিস্তিনিকে বিতাড়ন করেই ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত, এটা সবাই জানেন। হেবরনে ইসরাইলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে মারামারি নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। বছরের পর বছর হেবরনের ফিলিস্তিনিদের, নির্যাতন করা হচ্ছে। নেতানিয়াহুর সফরের সময় ইব্রাহিমী মসজিদে চরমপন্থী সন্ত্রাসীদের গুলিতে ২৯ জনের হত্যার বিষয়টি তুলে ধরা হয় জনসভার স্থানটি ইব্রাহিমী মসজিদের কাছেই ছিল। জোরপূর্বক মুসলমানদের উচ্ছেদ করা নেতানিয়াহুর রুটিন কাজ। বিশ্ব সংস্থাসহ আন্তর্জাতিক বিবিধ ফোরামে ফিলিস্তিনি ভূমি দখলের বিরুদ্ধে অগণিত নিষেধাজ্ঞা ও সতর্কবাণী ইসরাইল উপেক্ষা করে আসছে। হেবরনে নেতানিয়াহু ঘোষণা দেন। ‘এখানে আমরা চিরজীবন থাকব।’

ভাবতে কষ্ট হয়, নির্বাচনে জেতার জন্য কে কতটুকু আগ্রাসন ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে করতে পেরেছে বা করবে, আল খলিল বা হেবরন দখল করবে না, এসবই এখন ইশতেহারের মূল অংশজুড়ে রয়েছে। এর মধ্যে দুই সপ্তাহ ধরে গাজা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় চলছে বিমান হামলা। সাধারণ মানুষ, যাদের একটি বন্দুকও নেই তাদের ওপর বিমান থেকে গোলা বর্ষণ করে ভোটের পারদ উঠানোর চেষ্টা করছেন কট্টরপন্থী নেতানিয়াহু। বামদলীয় ইহুদি অ্যাক্টিভিস্ট নিমরদ যিনি সোশ্যালিস্ট হাদসা পার্টির ক্যাম্পেইন ম্যানেজার বলছেন, তারা হেবরন নিয়ে টানাটানি করবে না, অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য ‘নিউলিবারেল ইকোনমিক মডেল’ চালু করবেন।

লেবার পার্টি এবং নতুন ডেমোক্র্যাটিক ক্যাম্প দৃশ্যত ‘কাহোল লাভান’ থেকে আরো বেশি বামঘেঁষা। তবে তাদের একরোখা ইহুদিবাদী চরিত্রে অনেক বাম ভোটার অস্বস্তি বোধ করেন। নিমরদ মনে করেন, আসল বামপন্থী হলো ফিলিস্তিনি ইসরাইলিরা। ওয়াহাত আল সালামের ‘স্কুল ফর পিস রিসার্চ সেন্টারের’ প্রধান আমির ফখরি বলেছেন, ইহুদিবাদ যেভাবে এখন চর্চিত, তাতে ইসরাইলি ইহুদি ও আরব দলগুলো একমত পোষণ করছে না। বামপন্থী কোয়ালিশনে ইহুদিবাদ বা জিওনিজম একটি বড় বাধা। তাই তারা বিজয়ী হতে পারেননি। ডানপন্থী জিওনিস্টরা কট্টর ইহুদিদের সাথে ভিড়েছে। এদিকে, বামপন্থীরা আরব ফিলিস্তিনিদের সাথে প্রয়োজনীয় সমঝোতা করতে পারেনি। এবার ইহুদি-আরবদের কোয়ালিশন গুরুত্বপূর্ণ, যদি নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টিকে হারাতে হয়। উভয় শিবিরের মধ্যে ‘রাষ্ট্রের ধরন’ নিয়ে বিরোধ রয়েছে।

‘ইসরাইলি রাষ্ট্র’ আইন গত বছর নেসেটে পাস হয়েছে, সেখানে ফিলিস্তিনিরা ‘দ্বিতীয়’ শ্রেণীর নাগরিকে পরিণত। আইনে শুধু ইহুদিদের অধিকার ও স্বাধিকারের কথা বর্ণিত হয়েছে। ফিলিস্তিনি আইনপ্রণেতারা মনে করেন, এই আইনে ফিলিস্তিনিদের রাজনৈতিক ক্ষমতা অনেক নিচে নেমে গেছে। কেউ কেউ বলেছেন, বামপন্থী দলগুলো তাদের সাথে কাজ করতে চায় না এবং সেন্টার লেফট আরব ভোটিং ব্লক নিয়ে ভীত। কারো কারো মতে, কাহোল লাভান ও লিকুদ পার্টির পর নেসেটে ‘জয়েন্ট লিস্ট’ তৃতীয় বৃহত্তম দল।

জয়েন্ট লিস্ট লিডার আইমান ওদেহ বলেন, ব্লু অ্যান্ড হোয়াইটের সাথে কোয়ালিশন করতে কোনো অসুবিধা নেই; তবে শর্ত এই যে, ইসরাইলে ফিলিস্তিনিদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক হিসেবে গণ্য করা যাবে না। ডান দলের আরব ভূমি সংযুক্তিকরণকেও তারা সমর্থন করে না।

মোশে জালুন ইসরাইলের প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং ব্লু অ্যান্ড হোয়াইট কোয়ালিশনের তৃতীয় ব্যক্তি ওদেহকে লক্ষ্য করে তিনি তীর ছুড়েছেন। ‘আমি আরব মুসলিম মন্ত্রীর বিপক্ষে নই, কিন্তু তাকে মেনে নিতে হবে যে, ইসরাইল ইহুদিদের রাষ্ট্র এবং গণতান্ত্রিক।’ এ অবস্থায় বাম ও আরব পার্টির ঐক্য হলে সেটি ফিলিস্তিনিদের উপকারে আসতে পারে। এতে ইসরাইলি ইহুদি জনসাধারণও গণতান্ত্রিক উপায়ে শান্তিতে থাকতে পারবে, এমনই মনে করা হচ্ছে। ইসরাইলিদের সার্বিক রাজনীতি দেখে মনে হয় না, তারা বসতির নামে যেসব জায়গা দখল করেছে, সেগুলো আরবদের হাতেই রাখবে।

ইসরাইলি শাসকেরা বহু বছর ধরে বসত নির্মাণ করছেন এবং কিছু ফিলিস্তিনিকে রাষ্ট্রে বৈধভাবে বসবাস করতে দিচ্ছে। যারা প্রতিবাদ করতে চায় তাদের ধরপাকড় করে, ফরমায়েশি আইন ও আদালতের মাধ্যমে নিঃশেষ করে ফেলা হচ্ছে। অনেকে বলছেন, নেতানিয়াহু একটি বিষয়ে সার্থক। তিনি ইসরাইলিদের বোঝাতে পেরেছেন, ফিলিস্তিনি সমস্যা ইসরাইলিদের আর ভোগাতে পারবে না, মানে তিনি তাদের ‘কোমর ভেঙে দিয়েছেন।’

ইসরাইলি রাজনীতিতে এখন কাহোল লাভান বা ব্লু অ্যান্ড হোয়াইট গুরুত্বপূর্ণ। কেননা জয়েন্ট লিস্টও এই দলে শেষ মুহূর্তে যোগদানের চিন্তা করছে। নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, নিজের সুবিধা আদায়ের রাজনীতি, বেশ কয়েকটি দুর্নীতির মামলা, তৃতীয় স্ত্রী সারার বিরুদ্ধে তহবিল তসরুপের অভিযোগ রয়েছে। কিছু রাজনীতিবিদ নেতানিয়াহুর লাগাম টেনে ধরতে চান। নেতানিয়াহু যেকোনো মূল্যে ডানপন্থীদের সাথে আঁতাত করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চান। ৯ এপ্রিলের নির্বাচনে তিনি এ রকম চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। তাই আবার নির্বাচন। ইসরাইলের রাজনীতি এখন টলটলায়মান, এত অল্প সময়ের ব্যবধানে দু’টি সাধারণ নির্বাচন ইসরাইলের ইতিহাসে নেই। নেতানিয়াহু চাচ্ছেন রাজনৈতিক স্ট্যান্টবাজি করে জনগণকে চমকে দিতে। এখন তার বড় প্রতিপক্ষ বেনিয়ামিন গান্টজ যিনি, ব্লু অ্যান্ড হোয়াইট কোয়ালিশনের নেতা। তবে গান্টজও অবৈধ বসতি নির্মাণ এবং গাজায় বোমা বর্ষণের পক্ষে।

লিকুদ এবং ব্লু অ্যান্ড হোয়াইট (কাহোল লাভান) কোয়ালিশনের মধ্যে বাঘে-মোষে লড়াই হবে, এটাই সর্বশেষ পরিস্থিতি। নির্বাচন-পূর্ব ভোটাভুটিতে দেখা গেছে, উভয় দল ১২০ আসনের মধ্যে ৩২টি করে পেয়েছে; লিবারম্যানের দল পেয়েছে ১১টি। ইয়ামিনা লিসট ১০টি আসন, ইউনাইটেড তোরা জুদাইজম আটটি আসন। এ ছাড়া আরো কয়েকটি দল রয়েছে, যারা ৫-৭ আসন পেয়েছে। ইসরাইলি পত্রিকা হারেৎজ এই তথ্য প্রকাশ করেছে। এসব পরিসংখ্যান দেখে অনুমান করা সহজ, নেতানিয়াহুর লিকুদ বা বেনি গান্টজের কাহোল লাভান কারো পক্ষেই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করা সম্ভব হবে না। এমন অবস্থায় ইসরাইলি আরবদের সমর্থন এক বিশেষ ভূমিকা নেবে। নেতানিয়াহুর আমলে দু’টি বড় ধরনের ‘অর্জন; রয়েছে লিকুদ পার্টির। একটি জেরুসালেমে রাজধানী স্থানান্তর, অপরটি গোলান মালভূমি দখল। তবে নির্বাচনের আগে আরো একটি যুদ্ধ বাধিয়ে ভোটব্যাংক স্ফীত করা সম্ভব নয়।

লেখক : অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব, বাংলাদেশ সরকার ও গ্রন্থকার


আরো সংবাদ



premium cement