১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলকদ ১৪৪৫
`


দাবি-দাওয়া মেনে নেয়ার জন্য প্রস্তুত পাপন

-

প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, আলোচনার জন্য তারা প্রস্তুত হলেও ধর্মঘটী ক্রিকেটারদের সাড়া পাচ্ছেন না। ক্রিকেটারদের জবাবের অপেক্ষায় রয়েছেন। আলোচনার বিষয় জানতে চাইলে পাপন বলেন, ‘এখানে সমাধান তো দেয়াই। আমি তো কালকেই (গত মঙ্গলবার) বললাম, ওদের কোন দাবিটা আছে? এখানে এমন কোনো দাবি নেই, যেটা মানা যাবে না। দাবি নিয়ে কথা বলতে এলে সাথে সাথেই শেষ। কিন্তু ওদের আসতে হবে তো।’
জাতীয় দলের ভারত সফরের আগে ক্রিকেটারদের আকস্মিক ধর্মঘটের বিষয়ে গতকাল দুপুরের পর গণভবনে গিয়ে শেখ হাসিনার সাথে দেখা করেন সংসদ সদস্য নাজমুল। দুপুরের পর তিনি যখন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে যান তখন তার সাথে বিসিবি পরিচালক ও ক্রিকেটারস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশেন অব বাংলাদেশে (কোয়াব) সভাপতি নাইমুর রহমান দূর্জয়ও ছিলেন।
বেলা ৩টায় গণভবন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় পাপন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা খেলোয়াড়দের সব দাবি-দাওয়া মেনে নেয়ার জন্য প্রস্তুত আছি। কিন্তু তাদের সাথে যোগাযোগের পরেও ফোন ধরছে না। আমরা বলছি, সব দাবি মানার মতো, এটা কোনো সমস্যাই নয়। আমরা যোগাযোগ করছি কিন্তু তারা ফোন ধরছে না, যোগাযোগ করছে না। তাহলে কী করব বলেন?’
প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের বিষয়ে জানতে চাইলে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘উনি তো সবই জানেন। গত পরশুদিনও উনার সাথে ছিলাম। কাল সকালে মাশরাফি এসেছিল। এখন আমি উনাকে জাস্ট আপডেট জানাতে এলাম।’
জাতীয় ক্রিকেট দলের ভারত সফরের আগে গত সোমবার মিরপুরে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমি মাঠে প্রায় ৬০ জন ক্রিকেটারকে সাথে নিয়ে ১১ দফা দাবিতে ধর্মঘটের ঘোষণা দেন জাতীয় দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। পরদিন সংবাদ সম্মেলন করে ক্রিকেটারদের আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিসিবি সভাপতি। তিনি এটাও বলেন, এই ধর্মঘটের পেছনে চক্রান্ত রয়েছে এবং ক্রিকেটারদের কেউ কেউ এতে জড়িত।
প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করার পর আলোচনায় আগ্রহ দেখিয়ে পাপন বলেন, ‘আজকে আমরা আবার তাদের ডেকেছি। আমরা যেহেতু কন্টাক্ট করে পারছি না, সেহেতু আমাদের সিইও তাদের মিডিয়ার মাধ্যমে জানিয়েছে। আমরা জানিয়েছি, তারা যেন যেকোনো সময় আমাদের সাথে বসতে পারে।’
বিসিবিকে না জানিয়ে ধর্মঘটের কর্মসূচি ডাকার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এই বিসিবি কর্তা। পাশাপাশি ভারত সফরে না গেলে বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য সমস্যার কথাও বলেন তিনি। ‘ওরা কি এই জিনিসটা বোঝে না যে এই সফরে না গেলে বাংলাদেশ স্যাংশনে পড়ে যাবে। এক বছরের জন্য খেলা বন্ধ হয়ে গেলে খেলোয়াড়দের কী লাভ। এই বিষয়টি তো তাদের আগে বুঝতে হবে। এরকম একটা গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টের আগে এই ধরনের সিদ্ধান্ত কেউ নিতে পারে? সেটি আমি ভাবতেই পারি না। আমার ধারণা, বেশির ভাগ প্লেয়ারই হয়তো জানে না। এটার মধ্যে ডেফিনেটলি একটা ষড়যন্ত্র আছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কারো কাছে কিছু না বলে খেলা বন্ধ করবে কেন? এটা তো ক্রিকেটকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র। কোনো দাবি না দিয়েই খেলা বন্ধ। এটা তো পৃথিবীর কোথাও নেই। শুধু টাকার জন্য ওরা এটি করেনি।’


আরো সংবাদ



premium cement