২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কম যাননি লিটনও

-

বিশ্বকাপে নিজেদের পঞ্চম ও রবিন লিগে ২৩তম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ৭ উইকেটের বড় জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। টস জিতে বাংলাদেশ ফিল্ডিং নিলে জয়ের জন্য মাশরাফিদের ৩২২ রানের লক্ষ্য দেয় উইন্ডিজ।
ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় বাংলাদেশ। দলীয় ৫২ রানে সৌম্য আউট হলে ক্রিজে আসেন সাকিব। ১৯তম ওভারের শেষ বলে থমাসের বলে মুশফিক আউট হলে মাঠে নামেন লিটন দাস। মুশফিকের পরে লিটন যখন মাঠে নামেন তখন অন্য প্রান্তে ৩৩ বলে ৪৪ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে সাকিব। বাংলাদেশের তখন ১৯ ওভারে ৩ উইকেটে ১৩৩ রান। সেখান থেকে লিটন দাস ও সাকিব ১৮৯ রানের জুটি বেঁধে জয়ের জন্য ৫১ বল হাতে রেখেই ৩২২ রান করে অবিচ্ছিন্ন থাকেন। সাকিব করেছেন অপরাজিত ১২৪, লিটন অপরাজিত ৯৪।
এটিই এখন পর্যন্ত চলতি বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রানের জুটি। তবে গতকাল ইংল্যান্ড ও আফগানিস্তানের ম্যাচে ইয়ন মরগ্যান ও জো রুট ছুঁয়ে ফেলেন সাকিব-লিটনের ১৮৯ রানকে। এর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার অ্যারন ফিঞ্চ ও স্টিভেন স্মিথের ১৭৩ রানের জুটিই ছিল এই বিশ্বকাপের সেরা জুটি। কিন্তু সাকিব ও লিটন জুটি ছাড়িয়ে গেলেন তাদের। এ ছাড়া এটি চলতি বিশ্বকাপে চতুর্থ উইকেট জুটিতেও সর্বোচ্চ রান। তবে মরগ্যান ও রুট করে তৃতীয় উইকেট জুটিতে।
লিটন যখন প্রথম নামলেন তখন ১৪-১৫টি বল খেলতে গিয়ে দোদুল্যমান ছিলেন। ব্যাটে বলে সংযোগ হচ্ছিল না। ফুটওয়ার্ক ছিল না। কোনো মতে সামলে নেয়ার পর সাকিব প্রথম ইশারায় কী যেন বললেন। লিটনও কয়েকবার মাথা একটু কাত করে সায় দিলেন। এরপর ক্রিজে ডেকে কিছু একটা বলার পরই খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এলেন লিটন। গ্যাব্রিয়েল শ্যাননের বলে চার মেরে বাংলাদেশকে এনে দেন অবিস্মরণীয় জয়। এর আগে শ্যাননকে টানা তিন ছক্কা হাঁকান। ৬৯ বলে ৯৪ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৪ ছয় ও ৮ চারে। লিটনের হাত খুলে ব্যাটিং করতে দেখে মুগ্ধ সাকিব বলেন, ‘প্রথম ১০-১৫ বল পর ও (লিটন) যেভাবে ব্যাট করল তা রীতিমতো চোখধাঁধানো। অন্য প্রান্ত থেকে ওই ব্যাটিং খুব উপভোগ করেছি।’
টার্গেট বড় হওয়ায় দ্রুত রান তোলার তাড়া ছিল। কিন্তু লিটনের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে সেই চাপটা সামাল দিতে সুবিধা হয়েছে বলেই জানান সাকিব, ‘ওকে স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে বলেছিলাম। ও সেটাই করেছে। বিশাল রান তাড়ায় ওর জন্য কোনো চাপ অনুভব করিনি। এটাই ওর ইনিংসের সেরা দিক। প্রথমবার বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলতে নামা, তাও কয়েকটি ম্যাচ দলের বাইরে থাকার পর। যেটি মোটেই সহজ ছিল না।
লিটন নিজেও জানালেন শুরুতে নার্ভাস ছিলেন। সাকিব বারবার কথা বলে নার্ভানেস কাটিয়েছেন। স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে বলেছেন। জোরাজুরি না করে সিঙ্গেল নিয়ে খেলতে বলেছেন। ম্যাচের একপর্যায়ে ২৮ বলে ২৩ রান ছিল লিটনের। সাকিবকে সঙ্গ দেয়ার মাঝে নিজেও হাত খুলে খেলার চেষ্টা করেছে। ‘৩০ রান করার পর মনে হয়েছে আমি নিজের মতো করে খেলতে পারছি। এর আগে আমি অনেক চাপে ছিলাম। সাকিব বলেছেন, উইকেট সহজ, স্বাভাবিক খেলা খেলতে।’

 


আরো সংবাদ



premium cement