২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শীর্ষস্থান কি পুনরুদ্ধার হবে আবাহনীর

-

এই অভ্যাস ঢাকা আবাহনীর নতুন নয়। অ্যাওয়ে মাঠে জিতে এসে হোমে গোত্তা খাওয়া। গত বছরের এএফসি কাপে আবাহনীর গ্রুপের সবচেয়ে দুর্বল দল ছিল ভারতের আইজল এফসি। আসামের গৌহাটিতে তাদের বিপক্ষে ৩ গোলে জিতেও ঢাকায় তাদের সাথে গোলশূন্য ড্র। এবার ঠিক অনুরূপ। এবারের এএফসি কাপে প্রথম অ্যাওয়ে ম্যাচে বাংলাদেশের ক্লাবটি ১-০তে হারিয়েছিল নেপালের মানাং মার্সিয়ান্দিকে। সে দিন অন্য ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করে দুই ভারতীয় ক্লাব মিনার্ভা পাঞ্জাব ও চেন্নাইয়ান এফসি। নেপালি ক্লাবের বিপক্ষে জয়ের পর সবার প্রত্যাশা ছিল প্রথম হোম ম্যাচেও জয়ের ধারায় থাকবে তারা। অথচ হলো উল্টো। গত পরশু ঢাকায় তাদের কোনো মতে ড্র ভারতীয় ক্লাব মিনার্ভা পাঞ্জাবের বিপক্ষে। এই ড্র-ই আকাশি-নীল শিবিরকে ছিটকে ফেলেছে ‘ই’ গ্রুপের শীর্ষস্থান থেকে।
গত পরশু অপর ম্যাচে নিজ মাঠে চেন্নাইয়ান এফসি ২-০ গোলে হারের স্বাদ দেয় মানাং মার্সিয়ান্দিকে। এতে তারাই চলে এসেছে গ্রুপের শীর্ষে। আবাহনীর মতো তাদেরও পয়েন্ট দুই খেলায় চার; কিন্তু গোল পার্থক্যে এগিয়ে ভারতীয় ক্লাবটি। আবাহনীর স্থান দ্বিতীয়। এখন মারিও লোপেজের দলকে পুনরায় শীর্ষে উঠতে জিততে হবে চেন্নাইয়ান এফসির বিপক্ষে। আপাতত এই দুই ক্লাবের মধ্যেই গ্রুপ সেরার লড়াই। টানা দুই ড্রয়ের রেসে আছে মিনার্ভাও। জানালেন তাদের কোচ শচীন তানাজিও। ৩০ এপ্রিল এই দুই দলের ম্যাচ ভারতের আহমেদাবাদে। ১ মে মিনার্ভা ও মানাংয়ের ম্যাচ।
আবাহনী যে দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের সুযোগ হারিয়েছে তা স্বীকারও করলেন ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রুপু। তার মতে, ‘আমাদের জেতা উচিত ছিল এই খেলায়। গোল মিস আর ডিফেন্ডারদের ভুলে গোল হজমই জিততে দেয়নি। মিনার্ভা পাঞ্জাবের বিপক্ষে জয় পেলে ছয় পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ক্ষেত্রে বেশ এগিয়ে থাকতাম’। নিজ মাঠে এই দুর্দশার জন্য ফুটবলারদের ইনজুরিকেই দায়ী করলেন সাবেক এই ফুটবলার। ‘স্টপার ব্যাক তপু আগে থেকেই ইনজুরিতে। আর ম্যাচের আগে ওয়ার্মআপের পর অপর স্টপার ব্যাক বাদশা জানায় তার পক্ষে খেলা সম্ভব নয়। এতে বাধ্য হয়ে একাদশে শেষ মুহূর্তে পরিবর্তন আনতে হয়।’ ডিফেন্ডার রায়হানের ভুলে দ্বিতীয় গোল হজম দলের জিততে না পারার আরেকটি কারণ। জানালেন তিনি। উল্লেখ্য, বাদশার বিকল্প হিসেবে তখন মিডফিল্ড থেকে ব্রাজিলিয়ান ওয়েলিংটনকে ডিফেন্সে খেলানো হয়। তাতেও গ্যাপ পূরণ হয়নি রক্ষণভাগে।
এরপরও রুপু গোল মিসকে সবার আগে সামনে আনলেন। তার মতে, স্কোর লাইন ১-১ হওয়ার পর সানডে চিজোবা যে সহজ গোলের সুযোগটি নষ্ট করেছে তা জালে গেলে তো মিনার্ভা আর দাঁড়াতেই পরত না। একই সাথে ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে বেলফোর্ডের হেড বার উঁচিয়ে না গেলে দ্বিতীয় জয়ই পেত আবাহনী। তিনি যোগ করেনÑ দুই গোল খেয়ে বসলে এই ধরনের ম্যাচে জেতা কঠিন। তারপরও চান্স কাজে লাগাতে পারলে জিততে পরতাম।
আবাহনীর এখনো গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ শেষ হয়ে যায়নি। তাদের যেমন চার খেলা বাকি তেমনি বাকি তিন দলেরও। কোচ মারিও লেমসের মতে, অন্য ম্যাচগুলোতে বাকি দলগুলো পয়েন্ট হারাতে পারে। আর আমাদের জিততে হবে পরের ম্যাচগুলোতে।
নিজ ম্যাচে জিততে ব্যর্থ হয়ে লিগ ও ফেডারেশন চ্যাম্পিয়নরা এখন তৈরি হচ্ছে ৩০ তারিখের ম্যাচের জন্য। এই ম্যাচের আগে সুস্থ হয়ে উঠবেন তপু ও বাদশা। আশাবাদ রুপুর। চেন্নাইয়ানদের বিপক্ষে জয় পেতে ২৭ এপ্রিল রওনা হবে আবাহনী।

পয়েন্ট তালিকা
দ খে জ ড্র পরা গো গো/পা প
চেন্নাইয়ান ২ ১ ১ ০ ২/০ +২ ৪
আবাহনী ২ ১ ১ ০ ৩/২ +১ ৪
মিনার্ভা ২ ০ ২ ০ ২/২ ০ ২
মানাং ২ ০ ০ ২ ০/৩ -৩ ০


আরো সংবাদ



premium cement