১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলকদ ১৪৪৫
`


সাফে তৃতীয় স্থানের ম্যাচ আয়োজনের দাবি

-

পুরুষদের সিনিয়র সাফে ১৯৯৯ এবং ২০০৩ সালে ছিল তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ। এরপর তা বন্ধ করে দেয়া হয়। অবশ্য এখন বয়সভিত্তিক সাফে আছে এই স্থান নির্ধারণী খেলা। কিন্তু জন্মের পর থেকেই মহিলা সিনিয়র সাফে নেই তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ। এতে সেমিতে হারা দুই দল তাদের একক অবস্থান জানতে পারছে না। তাদেরকে যৌথভাবে তিন নম্বর স্থান শেয়ার করতে হচ্ছে। তা ছাড়া একটি বাড়তি ম্যাচ খেলা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে দু’টি দল।
এমনিতেই সাফ অঞ্চলে মহিলা ফুটবলের চর্চা অনেক কম। তার ওপর এভাবে ম্যাচ কমিয়ে দিলে খেলার সুযোগ আরো স্বল্প হয়ে যায়। লক্ষণীয় বিষয়, এই তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ না থাকায় লোকসান বেশি হয়েছে বাংলাদেশেরই। তারা একটি ম্যাচ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রায় প্রতিবার। সাথে হারাচ্ছে জয়ের সুযোগও। নিশ্চিত করতে পারছে না তাদের অবস্থান। এই ম্যাচ হলে একটি বাড়তি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা পেতেন ফুটবলাররা। এসব ম্যাচ খেলে ফুটবলাররা তাদের গোলসংখ্যাও বাড়িয়ে নিতে পারতেন। এই নিয়ে তিন সাফের সেমিতে বিদায় নেয়া বাংলাদেশ মোটামুটি নিশ্চিত, এই স্থান নির্ধারণী ম্যাচে জিততে পারত।
২০১০ সালে কক্সবাজারে সেমিতে বাংলাদেশের মতোই বিদায় নেয় পাকিস্তান। তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ হলে বাংলাদেশ তাদেরকে বড় ব্যবধানেই হারাতে পারত। ২০১৪ সালের মতো এবারো সেমিতে বিদায় বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কার। ফলে স্থান নির্ধারণী খেলা হলে শেষ ম্যাচে জয় নিয়ে বাড়ি ফেরার সুযোগ মিলত সাবিনাদের। আরেকটি বিষয়, এই ধরনের খেলায় মাঠে নামার সুযোগ তৈরি হয় রিজার্ভ বেঞ্চের ফুটবলারদের। কিন্তু সাফ কর্তৃপক্ষ খরচ বাঁচাতে গিয়ে এই ম্যাচের কোনো শিডিউল রাখছে না। ফলে সাইড বেঞ্চের খেলোয়াড়দের হতাশা নিয়েই বাড়ি ফিরতে হচ্ছে।
তবে এখন সব কোচেরই দাবি সাফে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ রাখা হোক। ভারতীয় কোচ মায়মল রকির যুক্তি, ‘সেমিতে হারায় বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কাকে এখন যৌথভাবে তৃতীয় স্থান শেয়ার করতে হচ্ছে। এতে তো তারা তাদের একক অবস্থান জানতে পারছে না। তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ হলে বুঝা যেত কোন দল তিন নম্বর এবং কোন দল চতুর্থ।’ আরো জানান, ‘এই ম্যাচের ফলে দলের খেলোয়াড়রা বাড়তি একটি ম্যাচ পেত। অভিজ্ঞতা আরেকটু বাড়ত আর্ন্তজাতিক ম্যাচে।’
নেপালের কোচ হড়ি খাড়কার বক্তব্য, ‘র্যাংকিংয়ের উন্নতির জন্য সাফে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ হতে হবে। এতে দলগুলো বাড়তি একটি ম্যাচ পাবে। সাথে ফুটবলাররাও। তা ছাড়া আমরা জানছি কে সাফের চ্যাম্পিয়ন, কে রানার্সআপ। কিন্তু জানা হচ্ছে না কোন দল তৃতীয়, কোন দল চতুর্থ।’ তার অভিমত, সেমিতে হারা দুই দলের একটি দল স্থান নির্ধারণী ম্যাচ জিতে খুশি মনে বাড়ি ফিরতে পারত।
বাংলাদেশ কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন অবশ্য জয়-পরাজয়ের বিষয় সামনে আনছেন না এই খেলায়। তার পাল্টা প্রশ্ন, ‘সাফের বয়সভিত্তিক আসরে যদি তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ থাকতে পারে তাহলে সিনিয়র ফুটবলে কেন তা থাকবে না।’ তার যুক্তি, ‘বিশ্বকাপ, অলিম্পিক গেমসে এমনকি এশিয়ান গেমস এবং এসএ গেমসে পর্যন্ত যদি তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ থাকতে পারে তাহলে কেন সাফে তা থাকবে না।’ জানান, ‘এই ম্যাচ ফুটবলারদের আরেকটু অভিজ্ঞ করত।’


আরো সংবাদ



premium cement

সকল