২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

অলরাউন্ড সাকিবে জয়ে ফিরল ঢাকা

-

ওয়ার্নার নিজের কাজটা ঠিকই করেছেন। খেলেছেন ৬৩ রানের ইনিংস। কিন্তু দলের অন্যদের পারফরম্যান্সটা আর হয়ে ওঠেনি। শিরোপাপ্রত্যাশী ঢাকার বিপক্ষে লড়তে শুধু ওয়ার্নারের একটা হাফ সেঞ্চুরিই তো আর যথেষ্ট নয়! বাস্তবেও হলো তা-ই। হেরে যেতে হয়েছে তাদের এ ম্যাচে। অপর দিকে জয়ে ফেরার দৃঢ়তা ছিল সাকিবদের। দায়িত্বটা অধিনায়ক হিসেবে নিজেই তুলে নেন কাঁধে। প্রথম ব্যাটিং করতে নামা সিলেটকে ১৫৮ রানে আটকে দিয়ে ১৮ বল হাতে রেখেই সাকিব তুলে নেন জয় অপরাজিত থেকেই। খেলেন তিনি ৬১ রানের দায়িত্বপূর্ণ এক ইনিংস। এর সাথে খেলিয়েছেন আন্দ্রে রাসেলকেও। রাসেল অনেকটা বেপরোয়া ব্যাটিং করেছেন এ ম্যাচে। ২১ বলে ৪০ রানের এক ইনিংস খেলেন চার ছক্কা ও ২ চারের সাহায্যে। ম্যাচটা দুশ্চিন্তামুক্ত জেতার কাজটা রাসেলই সম্পাদন করে দিয়েছেন।
ম্যাচে প্রথম ব্যাটিং করতে নেমে সিলেট ইনিংস সূচনা করলেও রংপুরের ইনিংসে যে আগ্রাসী ব্যাটিং করছিলেন লিটন। সেটা ছিল অনুপস্থিত। শুরুটা করেছিলেন। কিন্তু ১৪ বলে ২৭ রানের এক ইনিংস খেলে আউট। এরপর ওয়ার্নার দায়িত্ব নিয়ে যতটা খেলেছেন ওই যা। চার নম্বরে নেমে প্রায় শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ব্যাটিং করে ওই রান করেছেন তিনি। তার ইনিংসে রয়েছে এক ছক্কা আট চারের মার। ৪৩ বলে ওই রান করেছেন তিনি। শেষের দিকে জাকের আলীর ২৫ রান ইনিংস উল্লেখ করার মতো স্কোর। ১৮ বলে ওই রান করেছিলেন তিনি। ৮ উইকেটে ওই রান করেন তারা। বার্চ নেন তিন উইকেট। এ ছাড়া সাকিব নেন দুই উইকেট। ৩৪ রানে ওই উইকেট নেন তিনি।
এরপর ১৫৯ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ডায়নামাইটসের ওপেনার মিজানুর ২৩ রানে আউট হওয়ার পর ওই রানেই আউট হন সুনিল নারিনও। ইরফান ও তাসকিন নেন উইকেট দুইটি। এতে কিছুটা চাপে পড়ে ঢাকা। কিন্তু এটা কাটিয়ে ওঠার আগে আউট হন রনি তালুকদার। দলের রান তখন ৩৭। এ সময় বেশ চাপে পড়ে ঢাকা। এমনি মুহূর্তে সাকিব ও রসুলি দায়িত্ব নেন ইনিংস। এরাই দেখেশুনে খেলতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত ৭৫ রানের এক পার্টনারশিপ খেলে দলের অবস্থান পরিবর্তন করে ফেলেন তারা। এ সময় আউট হন রসুলি। ১৯ করেছিলেন তিনি। এ সময় ক্রিজে আসেন রাসেল। সাকিবকে নিয়ে মূলত তিনিই খেলে দেন ম্যাচের বাকি অংশ। প্রথমে কিছুটা দেখেশুনে খেললেও সুযোগ পেলেই রাসেল বল উড়িয়ে বাইরে পাঠান। তাসকিনের এক ওভারে পরপর দুইটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন তিনি। আর তা তিন ওভার হাতে রেখেই। সাকিব ৪১ বলে করেন ওই রান, যাতে ছিল দুইটি ছক্কা ও আটটি চারের মার। সাকিব তার অল রাউন্ড পারফরম্যান্স দেখিয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন। ডায়নামাইটসের এ সাফল্যে জয়ের ধারায় আবার ফিরল ঢাকা। আগের ম্যাচে এ সিলেটেই রাজশাহী কিংসের কাছে অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবে হেরে যাওয়ার পর সাকিবই বলেছিলেন, বিপিএল অনেক দীর্ঘ পরিসরের। ফলে এক হারে সমস্যা হওয়ার কথা না। এ ম্যাচে জিতে তিনি ফেরালেন দলকে জয়ে। ছয় ম্যাচে ডায়নামাইটসের পয়েন্ট এখন ১০। হেরে সিলেটের পয়েন্ট আগের সেই ৪।


আরো সংবাদ



premium cement
নোয়াখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি দেখিয়ে চাঁদা আদায় দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না : কাদের আশুলিয়ায় বাঁশবাগান থেকে নারী পোশাক শ্রমিকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার মিয়ানমারের কর্মকর্তারা ফেরত গেলেন, কিন্তু রোহিঙ্গা সঙ্কট কি আরো জটিল হচ্ছে দিনাজপুরে দুই ট্রাকের সংঘর্ষ, চালক-হেলপার নিহত মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ সখীপুরে বৃষ্টির জন্য অঝোরে কাঁদলেন মুসল্লিরা দক্ষিণ ভারতে কেন কাজ করেনি বিজেপির হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নতুন আংশিক কমিটি বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসায় বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে থাইল্যান্ডের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান ট্রাম্পের বিচার নিয়ে বিভক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট

সকল