১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলকদ ১৪৪৫
`


জয়ের কৌশল বাংলাদেশের জানা!

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আজ দ্বিতীয় ওয়ানডে
-

বাংলাদেশ জেনে গেছে কী করতে হবে সিরিজ জয়ের জন্য। মাশরাফি বলেছিলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ যত ছোট ফরম্যাট তত বেশি ভয়ঙ্কর।’ দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ জয়ের পরই তিনি ওই কথা বলেছিলেন। কিন্তু ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়েও বাংলাদেশ যে গুছানো তার প্রমাণ তারা দিয়ে রেখেছেন ইতোমধ্যে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে ২-১ এ সিরিজ জিতে আসার পর থেকে হোমে কিছুটা হলেও টেনশন ছিল! টেনশন অবশ্য প্রতিপক্ষ নিয়ে নয়। নিজেদের কাজগুলো ঠিকভাবে হবে কি না, সে বিষয়ে। প্রথম ম্যাচে যার যার কাজগুলো সঠিকভাবে পালন করতে পারায় ম্যাচটা তো জেতা গেছে। ক্যাচ নিয়ে কিছু দুশ্চিন্তা আছে এটা ঠিক। এরপরও ওই বিশাল জয়ে যে আত্মবিশ্বাস জন্মেছে, সেটা সিরিজের বাকি দু’টি ম্যাচেও কাজে লাগবে। আজ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ। এ ম্যাচে জয় পেলে সিরিজ জেতা হয়ে যাবে। বাংলাদেশ সে লক্ষ্যে আজই পৌঁছাতে চায়। ওয়েস্ট ইন্ডিজ শেরেবাংলার উইকেটের সাথে অ্যাডজাস্ট হতে পারেনি প্রথম ম্যাচে। বিশেষ করে, বিকেএসপিতে যে উইকেটে তারা খেলেছিলেন, মিরপুরেও তেমনটাই হবে এমনটাই ছিল ভাবনায়। বাস্তবতা ছিল ভিন্ন। এমন উইকেটে ব্যাটিং করে রান সংগ্রহ করতে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। বাংলাদেশের মুশফিক-সাকিবরা যেটা প্রদর্শন করেছেন। ক্যারিবীয়রা সেটা পারেননি। স্বভাবসুলব ব্যাটিং করতে গিয়ে একের পর এক আউট হয়ে ২০০ রানই করতে ব্যর্থ ছিলেন তারা। ১৯৫ রান নিয়ে কি আর ওয়ানডে ক্রিকেটে লড়াই হয়? বোলিংটা ভালো করলেও ব্যাটিংয়েই যে সব শেষ হয়ে যায় তাদের। এ ম্যাচেও সফরকারীদের দুশ্চিন্তা নিজেদের ব্যাটিং নিয়েই। শেরেবাংলার উইকেটে অ্যাডজাস্ট হয়ে ব্যাটিংটা করতে পারবেন তো তারা? তা না হলে তো আর প্রতিদ্বন্দ্বিতাও হয়নি। বিশেষ করে প্রথম ম্যাচে এতটা বাজেভাবে তারা হেরেছে। সেখান থেকে উত্তরণের উপায় কী, সেটা ভেবেই সময় কেটেছে। এমনিতেই টেস্ট সিরিজে ব্যর্থতার আর অন্ত ছিল না। দু’টি ম্যাচেই হেরে সিরিজ হারাতে হয়েছে। এরপর ছিল ওয়ানডেতে ভালো কিছু করার প্রত্যাশা। সেটাও যেভাবে শুরু হয়েছে তাতে দুশ্চিন্তার আর অন্ত নেই দলটির। দলে রয়েছেন শাই হোপ, হেটমায়ার, ব্রাভোসহ এক ঝাঁক প্রতিভাবান ক্রিকেটার। যাদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে প্রতিপক্ষ বোলারদের ঘুম হারাম হয়ে যাওয়ার উপক্রম। কিন্তু তারাই কেমন যেন ফিঁকে হয়ে গিয়েছিল মুস্তাফিজ, মাশরাফিদের সামনে। টস একটা ফ্যাক্টর ছিল। কিন্তু সেটা ব্যাটিংয়ের ওপর কোনো প্রভাব ফেলা কথা না। ফেলেওনি। চরম ব্যাটিংব্যর্থতা ও মাশরাফিদের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে বিধ্বস্ত হয়েছে তারা। না হয় ৫০ ওভারে ১৯৫ হলো যেখানে ৯ উইকেটে। সে উইকেটেই বাংলাদেশ ওই রান টপকে যায় ৩৫.১ ওভারে। মূলত ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিংই ম্যাচে স্পষ্ট চালকের আসনে এনে দিয়েছিল বাংলাদেশকে। এ ম্যাচেও বাংলাদেশ একই ফর্মুলাতেই খেলবে, এটাই তো স্বাভাবিক। মাশরাফির প্রয়োজন সিরিজ জয়। সিলেট ভেনুর জন্য অপেক্ষায় থাকতে তারা রাজি নয়। এ ম্যাচেই জিতে তারা সিলেটে যেতে চায়।
বাংলাদেশ স্কোয়াড নতুনভাবেই সেজেছে। ওই ম্যাচে খেলানো হয়েছে চার ওপেনারকে। তামিম ইকবাল, লিটন কুমার দাসের সাথে স্কোয়াডে রাখা হয় সৌম্য সরকার ও ইমরুল কায়েসকে। যেহেতু উইনিং কম্বিনেশনে সাফল্য এসেছে। এ ম্যাচে ওই কম্বিনেশন আর ভাঙতে যাবে না এটাই তো স্বাভাবিক। মুস্তাফিজ যেমন চমৎকার বোলিং করেছেন। তার চেয়েও ভালো বোলিং করেছেন মাশরাফি। ম্যাচ সেরা পারফরম্যান্স বিশ্লেষণে সবাইকে ছাড়িয়ে মাশরাফির হাতেও স্বস্তি এসেছে। মুস্তাফিজ, সাকিবরা প্রতিনিয়ত ভালো করছেন। মাশরাফিরও অমন একটা পারফরম্যান্স প্রদর্শনের প্রয়োজন ছিল। সেটা তিনি দেখাতে পেরেছেন। ১০ ওভার বোলিং করে ৩০ রানের বিনিময়ে সফরকারীদের ড্যাসিং তিন ব্যাটসম্যানের উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি।
এ দিকে, আগের রাতে যেহেতু শেষ হয়েছে খেলা। এ জন্যই সেভাবে প্রস্তুতির কোনো সিডিউল ছিল না। তবু বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ভালো কিছুর প্রত্যাশা নিয়েছিল ব্যস্ততা। আর সেটা ঘরের মাঠেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজটাও জয় তুলে নেয়া। আজ দল মাঠে নামবে ওই একই টার্গেটে।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল