একজন ব্যাটসম্যানকে রান করতে, সঙ্গীকে রান করতে দিতে যে ধৈর্য-সহযোগিতা প্রয়োজন, নিজেদের প্রথম সাদা পোশাকের ক্রিকেটে সেটাই দেখাচ্ছেন তামিম-সাকিবের উত্তরসূরিরা। প্রথম ইনিংসে আশাজাগানিয়া ব্যাটিংয়ের পর দ্বিতীয় ইনিংসে বিপর্যয়। তবে প্রথম ইনিংসে করা বোলিংয়ের চেয়ে পরের ইনিংসের বোলিং হলো দুর্দান্ত। তাতে শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপে ১৩ রানে টেস্ট জিতে সিরিজ শুরু করলেন বাংলাদেশের যুবারা।
শ্রীলঙ্কা সফরে যুব টেস্টে একসাথে অভিষেক হয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পুরো একাদশের। সাদা পোশাকে প্রথমবার নেমেই তারা দেখাচ্ছেন নিজেদের সমতা। ধৈর্যের পরীায় ভালো নম্বর পেয়েই উতরে গেল দলটি। তাতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল ইয়ং টাইগাররা।
বাংলাদেশ যখন টেস্ট স্ট্যাটাস পেয়েছিল তখন বর্তমান যুবদলের অনেকেরই জন্ম হয়নি। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক তৌহিদ হৃদয়ের জন্ম বাংলাদেশ অভিষেক টেস্ট খেলে ফেলার পর। সাদা পোশাকে কী করবে বাংলাদেশ, শুরুতে এমন প্রশ্ন উঠলেও হাবিবুল বাশার সুমন-আমিনুল ইসলাম বুলবুলদের পথ ধরে সাকিব-তামিমরা ক্রমেই সরিয়ে দিয়েছেন সেই শঙ্কা। বাংলাদেশ এখন টেস্টে জিতছে-লড়ছে। বড়দের দেখানো পথে হেঁটে মজবুত ভবিষ্যতের আগমনী জানাচ্ছেন যুব টাইগাররাও।
কলম্বোয় নন্দীস্ক্রিপট ক্রিকেট কাব গ্রাউন্ডে চার দিনের যুব টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৩০৯ রান করে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে তিন শ’ পেরোনো স্কোর পায় তানজিদ ৪২, নাবিল ৪৫, অধিনায়ক তৌহিদ ৫৪, শামিম ৪৩ ও অমিতের ৬৪ রানে। জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৮৮ রানে গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দল। শ্রীলঙ্কা পৌনে তিন শ’ স্পর্শ করতে পারে দিনুশার সেঞ্চুরিতে। ওই ইনিংস থেকে রাকিবুল ও তৌহিদ ৩টি করে উইকেট তুলে নেন। ২টি করে উইকেট নেন শরিফুল ও শাহীন।
টাইগার যুবারা দ্বিতীয় ইনিংসে বিপর্যয়ে পড়ে মাত্র ১১৫ রানেই গুটিয়ে যান। দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে বাংলাদেশ নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে। দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন কেবল চার ব্যাটসম্যান। যার মধ্যে ২০-এর কোটা পেরিয়ে সর্বোচ্চ ৪২ রান করেন আকবর আলি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৯ আসে শামিমের ব্যাট থেকে। প্রথম ইনিংস থেকে পাওয়া ২১ রানের লিড মিলিয়ে স্বাগতিকদের ১৩৬ রানের ল্য ছুড়ে দিতে পারেন লাল-সবুজের যুবারা।
এবারো জবাব দিতে নেমে ১২৩ রানে অলআউট হন লঙ্কান যুবারা। ছোট রান তাড়া করতে নেমে লঙ্কানদের ছয় ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের কোটা পার হতে পেরেছেন। কার্যকর জুটি বা ম্যাচজয়ী ইনিংস গড়তে পারেননি কেউই। শাহীন আলম ও রকিবুল হাসান ৩টি করে উইকেট নিয়ে জয়ের রাস্তা তৈরি করেন। শরিফুল ও শামীম একটি করে উইকেট নিয়ে তাদের সঙ্গ দেন। বাকি দুই লঙ্কান যুবা রানআউটে কাটা পড়েন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা