০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`


বাংলাদেশ দলে সবাই স্ট্রাইকার!

ভুটানে ফাইনাল ম্যাচ সামনে রেখে প্রস্তুতি পর্বের এক পর্যায়ে শিরোপা জয়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ দলের মেয়েদের : ইন্টারনেট -

‘আমরা ভারতের বিপক্ষে আক্রমণাত্মক খেলেছিলাম। কারণ ভারত দলে স্ট্রাইকার ছিল মাত্র দুইজন। কিন্তু বাধ্য হয়েছি বাংলাদেশের বিপক্ষে রক্ষণাত্মক খেলতে। বাংলাদেশ দলে তো গোল স্কোরারের অভাব নেই। মূল স্ট্রাইকিং পজিশনে ৯ নং (আনু চিং)ও ১০ নং (তহুরা) জার্সিধারী আছেন। তাদের দুই উইংগার গোল করছেন। মিড ফিল্ডারেরা গোল পাচ্ছেন নিয়মিত। এমনকি ডিফেন্ডারেরা পর্যন্ত বল জালে পাঠাচ্ছেন প্রতি ম্যাচে। এই দলকে ঠেকাতে ডিফেন্সিভ খেলা ছাড়া আর কোনো উপায় অবশিষ্ট ছিল না আমার।’ সেমিতে বাংলাদেশের কাছে হারের পর এভাবইে লাল-সবুজদের গোল করা ফুটবলারদের প্রশংসা ভুটানের কোরিয়ান কোচ সুং জে লির।
স্ট্রাইকার সঙ্কটে ভুগছে বাংলাদেশে পুরুষ ফুটবল দল। দেশী স্ট্রাইকার তৈরির জন্য বিদেশী ফুটবলার কমানোর দাবি উঠছে। বাফুফে একবার বিদেশী কমাচ্ছে তো পরের বারই বাড়িয়ে দিচ্ছে। তা ক্লাবদের চাপে। দেশের পুরুষ ফুটবলে যখন এই অবস্থা তখন মহিলা ফুটবলে স্ট্রাইকারের ছড়াছড়ি। গোল পাচ্ছেন সবাই। সিনিয়র জাতীয় দলে সাবিনা খাতুন ও সিরাত জাহান স্বপ্নার মধ্যে চলে হ্যাটট্রিক করার লড়াই। গত সিনিয়র সাফে তারা দুইজনই হ্যাটট্রিক করেছিলেন। অনূর্ধ্ব-১৬ দলে একাধিক গোল পাওয়া ফরোয়ার্ড। আর ভুটান আসা অনূর্ধ্ব-১৫ দলে তো প্রতিদিনই যোগ হচ্ছে নতুন নতুন স্কোরারের নাম। তিন ম্যাচে বাংলাদেশ দলের ২২ গোল। এই গোলগুলো ভাগ করে নিয়েছেন ১০ জন মিলে। ভুটানের কোচ কেন মারিয়াদের এই গোল করার দক্ষতার প্রশংসা করবেন না? শুধু আজ সে ধারা অব্যাহত থাকলেই হলো। তাহলেই সব প্রশংসা সার্থক।
দ্বিতীয় মহিলা অনূর্ধ্ব-১৫ সাফে বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে ১৪-০তে হারায় পাকিস্তানকে। ছোট শামসুন্নাহার সেদিন বিরতির বদলি হিসেবে নেমে ১৭ মিনিটের মধ্যে করেন হ্যাটট্রিক। পরে করেন আরেক গোল। এ ছাড়া সাজেদা, তহুরা ও আনাই মগিনি করেন জোড়া গোল। একটি করে গোল আঁখি, মনিকা, মারিয়া ও বড় শামসুন্নাহারের। নেপালের বিপক্ষে ৩-০ গোলের জয়ে স্কোরার মারিয়া, তহুরা ও সাজেদা। সেমিফাইনালে ভুটানের বিপক্ষে ৫-০ গোলের জয়। গোলদাতা তহুরা, আনাই, আনু চিং, মারিয়া এবং অভিষেক হওয়া শাহেদা আক্তার রিপা।
এই গোলদাতাদের মধ্যে আনু চিং মগিনি, শাহেদা আক্তার রিপা ও তহুরা খাতুন স্ট্রাইকার। মিডফিল্ডে খেলেন অধিনায়ক মারিয়া মান্ডা, ছোট শামসুন্নাহার ও মনিকা চাকমা। দুই উইঙ্গার সাজেদা খাতুন ও বড় শামসুন্নাহার। স্ট্রপার ব্যাক আঁখি খাতুন। আনাই মগিনির পজিশন রাইটব্যাক। চারটি করে গোল তহুরা ও ছোট শামসুন্নাহারের। তিন গোল করেছেন মারিয়া, সাজেদা ও আনাই। একটি করে গোল আঁখি, মনিকা, বড় শামসুন্নাহার, আনু চিং ও শাহেদা রিপার।
এভাবে প্রত্যেক ফুটবলার গোল পাওয়ায় দারুণ খুশি বাংলাদেশ কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন। তার মতে, এটা টিম ওয়ার্কের ফসল। তিনি যোগ করেন, প্রথম দুই ম্যাচে গোল পাচ্ছিলেন না আনু চিং। কিন্তু ভুটানের বিপক্ষে ভলিতে দারুণ গোল করে নিজেকে প্রমাণ করেছেন আনু চিং। এই ভুটানের বিপক্ষেই নিজের ডেব্যু ম্যাচে বদলি হিসেবে নেমেই গোল পেয়েছেন শাহেদা রিপা। এভাবে সাবর গোলের মধ্যে থাকাটা দলের জন্য খুবই ইতিবাচক।
এখন আজকের ফাইনালে কে পার করাবেন বাংলাদেশকে? গত সাফে তো স্ট্রাইকারদের ব্যর্থতার পর দল শিরোপা জিতেছিল মিডফিল্ডার বড় শামসুন্নাহারের গোলে। তবে এই ফুটবলারা যদি নিজেরা গোল পাওয়ার জন্য না খেলে টিম ওয়ার্কের পরিচয় দেন তাহলে সহজে জয়ের দেখা মিলবে। স্বার্থপর হলেই বিপদ।

 


আরো সংবাদ



premium cement
গোবিন্দগঞ্জে যুবককে কুপিয়ে হত্যা, আটক ২ টানা ৮ দফা কমার পর আবার বাড়লো স্বর্ণের দাম সুন্দরবনে ২ কিলোমিটার জুড়ে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনার প্রায় ৩২ ঘণ্টা পর আপ লাইন চালু ফের টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে এলো মিয়ানমারের ৪০ বিজিপি রোববার থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস শুরু অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করলেন শিব্বির আহমদ রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের শিডিউল বিপর্যয়, ভোগান্তি যাত্রীদের গণহত্যা বন্ধ করে ফিলিস্তিনকে পূর্ণাঙ্গ স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে : ছাত্রশিবির দোয়ারাবাজারে মইন হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ উপজেলা নির্বাচন : দ্বিতীয় ধাপে ৬১ জনকে বহিষ্কার করলো বিএনপি

সকল