২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নেইমার+ডিফেন্স+তিতে= হেক্সা কাপ

-

ফুটবলের সোনালি ট্রফি দখলের লড়াইয়ে ৩২টি দেশ। ১৫ জুলাই মস্কোর লুঝনিকিতে হবে যার চূড়ান্ত মীমাংসা। এবারের বিশ্বকাপে ফেবারিট দল হিসেবে শুরুর দিকেই আছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। গতবার ঘরের বিশ্বকাপের দুঃসহ স্মৃতি পেছনে রেখে শক্তিশালী দল হিসেবেই রাশিয়ায় অবস্থান করছে তিতের শিষ্যরা। তবে ব্রাজিলের হেক্সা বিশ্বকাপ জয় নির্ভর করছে তিনটি বিষয়ের ওপর। প্রথমত. নেইমারের পারফরম্যান্স, দ্বিতীয়ত. দলটির রক্ষণভাগ অর্থাৎ ডিফেন্স এবং সর্বশেষ কোচ তিতের ম্যানেজমেন্ট ও পরিচালনা। এই তিনটির সমন্বয়েই ব্রাজিল তাদের পতাকায় কিংবা জার্সিতে যোগ করতে পারে ছয়টি নক্ষত্র।
প্রথমত. ব্রাজিলের হেক্সা মিশনের প্রধান সারথি নেইমার। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ইনজুরিতে পড়ে সেমিফাইনাল খেলতে পারেননি তিনি। সেই সেমিফাইনালে নেইমারহীন ব্রাজিলকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করে জার্মানি। সেদিন ঘরের মাঠে ৭-১ গোলে হারে ব্রাজিল। সেই তিক্ত ধারা থেকে বেরিয়ে এসেছে হলুদ জার্সিধারীরা। বর্তমানে তারা দল হিসেবে অনেক পরিণত, অনেক সুসংহত। চিরায়ত ছন্দও ফিরে পেয়েছে। তবে দলের বিশ্বকাপ জয়ে নেইমারকেই নিতে হবে প্রধান ভূমিকা। যদিও মার্চে ইনজুরিতে পড়ে দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে ছিলেন তিনি। কিন্তু ব্রাজিলের জার্সি গায়ে প্রস্তুতি ম্যাচে ফিরেই নিজের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে ভয় ঢুকিয়ে দিয়েছেন প্রতিপক্ষ শিবিরে। বিশ্বের দামি এই ফুটবলার মাঠে জ্বলে উঠলেই মিশন কামিয়াব হতে পারে সাম্বার দেশটির।
দ্বিতীয়ত. রক্ষণভাগের দেয়াল নিশ্চিত করতে হবে ব্রাজিলীয় সেনাদের। গত বিশ্বকাপে রণভাগের দুর্বলতায় ভালোই ভুগতে হয়েছে সাম্বা ফুটবলারদের। সেবার সেমিতে জার্মানির কাছে লজ্জাজনক হারের পর তৃতীয়স্থান নির্ধারণী ম্যাচেও নেদারল্যান্ডসের কাছে ৩ গোল হজম করতে হয়েছে। যেখানে রক্ষণভাগের সমন্বয়হীনতাই ফুটে উঠেছে। তবে সেই দুর্বলতা কাটিয়ে উঠেছে ব্রাজিল। বাছাইপর্বের ১৮ ম্যাচে ১১ গোল ঢুকেছে তাদের জালে। বিশ্বকাপে ডিফেন্সের এই জমাট সংহতি ধরে রাখতে হবে ব্রাজিলকে। বিশেষ করে সেইসব দলের বিপে যাদের দুর্দান্ত আক্রমণভাগ প্রতিপরে সামান্য ভুলেও সর্বনাশ করতে ছাড়ে না। ইনজুরির কারণে ছিটকে পড়েছেন দানি আলভেস। ফলে ব্রাজিলীয় রণের দায়িত্ব এখন মার্সেলোর। রিয়াল মাদ্রিদের এই তারকার নেতৃত্বেই রণদুর্গ সামলাতে হবে ব্রাজিলকে।
তৃতীয়ত টনিক হিসেবে কাজ করবে তিতের ম্যানেজমেন্ট। ব্রাজিল দলের ওপর কোচ তিতের গভীর প্রভাব রয়েছে। তার হাতেই বদলে যায় ব্রাজিল। ছন্নছাড়া ব্রাজিল সুসংহত ও আগ্রাসী হয়েছে তার হাত ধরেই। তিতের মন্ত্রেই বাছাইপর্বের ১৮ ম্যাচের ১৭টিতে জিতে প্রথম দল হিসেবে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করে ব্রাজিল। বিশ্বকাপেও তিতেকে সেই দতায় ব্রাজিল দলকে পরিচালনা করতে হবে। ডাগ আউটে তার দুই-একটি টোটকাও হতে পারে জয়ের মূলমন্ত্র। তা ছাড়া উদ্দীপনা ছড়িয়ে দিতে তিতের কারিকুরি তো থাকছেই।


আরো সংবাদ



premium cement
ঈশ্বরদীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪২.৪ ডিগ্রি তাপমাত্রার রেকর্ড ‘মুক্ত সাংবাদিকতা চরম সঙ্কটে’ ‘রাফা হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরাইলি সেনারা’ ৪৬তম বিএসএস প্রিলি পরীক্ষা : শুরুতেই স্বপ্নভঙ্গ ৮১ শিক্ষার্থীর মরুর উষ্ণতায় ক্ষতির মুখে কৃষি ছেলেদের কারণে বিপাকে মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির দুই বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে ফ্রান্স, ব্রাজিল ও প্যারাগুয়ে সফরে যাচ্ছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ড সফরকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে মাইলফলক বললেন প্রধানমন্ত্রী লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী যুবক নিহত এখনো শেষ হয়নি বিতর্কিত আউটের রেশ, ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ মুশফিকের

সকল