‘আবেদন করলেই খালেদা জিয়ার মুক্তি দেয়া হবে বিষয়টি সেরকম নয়’

আবেদন করলেই যে খালেদা জিয়াকে প্যারেলে মুক্তি দেয়া হবে বিষয়টি সেরকম নয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। রোববার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবি সমিতির অডিটরিয়ামে একটি অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার প্যারেলে মুক্তি আদৌ প্রয়োজন আছে কিনা সেটাও দেখতে হবে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন। তার শারীরিক সমস্যাগুলো বহু পুরনো, সেই সমস্যা গুলোকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখিয়ে তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করার বহু চেষ্ঠা করেছে।

বিএনপির পক্ষ থেকে দাবী করা হচ্ছে সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে প্যারেলে মুক্তি দিতে চাই সেটাকে বিএনপি আন্দোলনের বিজয় বলছে। যদি খালেদা জিয়ার প্যারেলে মুক্তির বিষয় প্রতিষ্ঠিত হয় সেটা কি আন্দোলনের ফল নাকি মানবিকতা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথমত বেগম খালেদা জিয়ার পরিবার কিংবা তার দল কোনটার পক্ষ থেকে প্যারেলে মুক্তির আবেদন জানানো হয়নি। তারা মুক্তির কথাটা বলছেন টেলিভিশনের সামনে ও গণমাধ্যমে। আমরা পত্রপত্রিকার মাধ্যমে জেনেছি পরিবারের পক্ষ থেকে প্যারেলে হলেও তার মুক্তি চায়।

মন্ত্রী আরো বলেন, প্যারেলে হচ্ছে বিশেষ ব্যবস্থায় মুক্তি। বিভিন্ন বন্দিদের পেরুলে মুক্তি দেয়া হয়। এটি কোন ভাবেই আইনের মাধ্যমে মুক্তি নয় এটি একটা প্রশাসনিক ব্যবস্থা। কারো নিকটাত্মীয় স্বজন মৃত্যুবরণ করলে বা অন্যকোন বিশেষ কারণে নানা সময় প্যরেলে মুক্তি দেয়া হয়। বেগম খালেদা জিয়া স্বাস্থ্যগত কারণে প্যারেলে মুক্তি চান কিনা, তাদের দল বারবার বলছে আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবে। গত ১১ বছরে বিএনপির পক্ষে কোন আন্দোলন করা সম্ভবপর হয়নি।

তিনি বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার কোন ক্ষমতা বিএনপির নাই। বেগম খালেদা জিয়া কোন রাজবন্দি নন। তাকে মুক্ত করতে হলে আইনের মাধ্যমেই মুক্ত করতে হবে। তারা যে প্যারেলের কথাগুলো বলছেন তারা যখনই আবেদন করবে তখনই শুধুমাত্র এটি নিয়ে কথা বলার সুযোগ তৈরী হবে, তার আগে নয়। তাদের পক্ষ থেকেতো এখনো পেরুলে মুক্তির কোন আবেদন জানানো হয়নি।

স্মরণসভা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক এডভোকেট ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুলের সভাপতিত্বে ও এডভোকেট নিখিল কুমার নাথের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক, বিশেষ অতিথির ছিলেন সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য এডভোকেট মো. দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট সৈয়দ মোক্তার আহমদ, সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন মো. জিয়াউদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবি সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট মুজিবুল হক, আ ক ম সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুর রশিদ, আয়ুব খাঁন, অশোক কুমার দাশ, মহানগর পিপি এডভোকেট ফখরুদ্দিন চৌধুরী, জেলা পিপি নাজমুল আহসান খাঁনও এডভোকেট কামরুন নাহার বেগম।

উল্লেখ্য, ওই দিন তথ্যমন্ত্রীর পিতা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাবেক জেলা পিপি মরহুম এডভোকেট আলহাজ্ব নুরুচ্ছাফা তালুকদারের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়। (প্রেস বিজ্ঞপ্তি)