০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`


সেই কক্ষে নিয়মিত বসতো মদের আসর

আবরারকে হত্যা করা ২০১১ নম্বর কক্ষটি থেকে মদের বোতল ও স্টাম্প উদ্ধার করা হয়েছে - ছবি : নয়া দিগন্ত

বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদকে শেরে বাংলা হলের যে কক্ষটিতে পিটিয়ে মারা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে সে কক্ষটিতে নিয়মিত বসতো মদের আসর। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে মদের বোতল ও স্টাম্প।

আজ সোমবার সকালে ওই কক্ষে যান আবরারের ঢাকার বসবাসরত স্বজনরা। সেখানে গিয়ে তারা স্ট্যাম্প, চাপাতি সদৃশ স্টিলের চাকু এবং মদের বোতল দেখেছেন বলে জানান। ওই রুমে রক্তের ছোপ ছোপ দাগও রয়েছে বলে জানান তারা।

এসব পাওয়া গেলেও আবরারের ব্যবহৃত মোবাইল ও ল্যাপটপ পাওয়া যাচ্ছে না বলেও অভিযোগ করছেন তার স্বজনরা।

জানা গেছে, ২০১১ নম্বর ওই রুমে থাকতেন ছাত্রলীগের চার নেতা। তারা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক উপসম্পাদক ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র অমিত সাহা, উপ-দফতর সম্পাদক ও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র মুজতাবা রাফিদ, সমাজসেবাবিষয়ক উপ-সম্পাদক ও বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র ইফতি মোশারফ ওরফে সকাল এবং প্রত্যয় মুবিন।

ওই হলের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, ওই রুমে সবসময় মদ্যপান চলত। সেই সাথে চিৎকার-চেচামেচি। তাদের কেউ কিছু বলতে পারতো না। আশপাশের রুমে যারা থাকেন, তারা ভালোভাবে ঘুমাতে পারতেন না।

জানা যায়, এটি ছাত্রলীগের রাজনৈতিক কক্ষ হিসেবে ব্যবহার হতো। এমনকি তারা যে কাউকে তুলে নিয়ে এসে নির্যাতন করতেন।

এর আগে রোববার রাত ৮টার দিকে হলের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে আবরার ফাহাদকে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

পরে রাত আড়াইটার দিকে হলের সিঁড়ির পাশে আবরারের লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়।


আরো সংবাদ



premium cement