গণতন্ত্র, স্বাধীনতা কখনো কোনো স্বৈরাচারী সরকার এমনি এমনি দেয় না উল্লেখ করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও কৃষকদলের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, অতীতে লড়াই করে যুদ্ধ করে স্বাধীনতা, গণতন্ত্র এনেছি। আবার দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে লড়াই করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী চালক দলের উদ্যোগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
চালক দলের সভাপতি জসিম উদ্দিন কবিরের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন কৃষক দল নেতা শাহজাহান মিয়া সম্রাট, আহবায়ক কমিটির সদস্য কেএম রকিবুল ইসলাম রিপন, সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মানিক তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক বি এম শাহজাহান প্রমুখ।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন,বাংলাদেশ একটি শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। কোনো জায়গায় জবাবদিহিতা নাই। আইনের সুশাসন নাই। সুষ্ঠু বিচার ব্যবস্থা নাই। এই দেশ একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে রূপান্তরিত হতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, এ দেশ মুক্তিযোদ্ধারা স্বাধীন করেছেন। এই স্বাধীনতা অর্জন করতে ৩০ লাখ লোক শহীদ হয়েছে, ২ লাখ মা-বোনের আব্রু হারিয়েছে। রাস্তাঘাট ,ঘরবাড়ি, জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। এতকিছু ক্ষতির মধ্য দিয়ে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য ,সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য। কিন্তু আজ দেশের যে পরিস্থিতি এই পরিস্থিতির জন্য দেশ স্বাধিন হয় নাই। এখন দেশে কোনো গণতন্ত্র নাই ।স্বাধীনতা নয়, সু্-শাসন নাই ,মানুষ ভোট দিতে পারে না । দেশে এমন কোন প্রতিষ্ঠান নাই যেখানে দখল নাই ,দূর্নীতি নাই। এটা একটি শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি।
বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, প্রধানমন্ত্রী অসুস্থ হয়ে বিদেশে যান চিকিৎসার জন্য তিনি যেতেই পারেন। কিন্তু সাবেক প্রধানমন্ত্রী অসুস্থ হলে তার চিকিৎসার জন্য কোর্টের অনুমতি নিতে হয় অনুমতি দিলেও সরকার ও জেলের কর্তৃপক্ষ তালবাহানা করে। এ কেমন বিচার? এ কেমন গণতন্ত্র? নিজের চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাবে অথচ সাবেক প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা করবে না চিকিৎসা নিতে দেবে না।
কৃষকদল সভাপতি বলেন, দেশে এমন কোনো প্রতিষ্ঠান নেই যেখানে দুর্নীতি হয় না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে যাবেন টাকা ছাড়া কোনো কাজ হবে না। সম্প্রতি ২৭ হাজার কোটি টাকা, এর আগে ৯৬ হাজার কোটি টাকা শেয়ার মার্কেট থেকে লুটপাট হয়েছে। সরকারের এ বিষয়ে কোনো মাথাব্যথা আমরা দেখি না। কোনো মামলাও হয়নি। অর্থমন্ত্রী ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এই লুটপাটের সাথে যারা জড়িত তারা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাই এই দুর্নীতি বন্ধ করার জন্য সবাইকে এক জায়গায় দাঁড়াতে হবে।