তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনে ঐক্যফ্রন্টের কার্যালয়ে জোটের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে ঐক্যফ্রন্টফন্ট নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না এই কর্মসূচি ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, আগামী ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা সকাল ৯ টায় সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
তিনি বলেন, নতুন নির্বাচনের দাবি, নিরাপদ সড়ক দাবি, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন এবং ডাকসু নির্বাচনে ও ব্যবস্থাপনা , গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক বৈষম্যের প্রতিবাদে আগামী ৩০ মার্চ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সকাল ১১ টায় মানববন্ধন। ৩১ মার্চ বিকেল তিনটায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভা।
এছাড়াও এপ্রিল মাস জুড়ে বিভাগীয় এবং জেলা পর্যায়ে কর্মী সমাবেশ করার ঘোষণা দেন মান্না।
জেএসডির সভাপতি আসম আব্দুর রব বলেন, কালো টাকার মালিক, ঋণখেলাপীদের এক পার্সেন্টের বিনিময়ে সমস্ত টাকা মওকুফ করে দেয়ার বিষয়ে সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমরা এই বিষয়টিকে প্রত্যাখ্যান করেছি।
এময় তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতা দিবসকে বিভিন্নভাবে খন্ডিত করা হচ্ছে। সরকারের বিভিন্ন মহল থেকে বলা হচ্ছে। ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুকে দিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা স্বাধীনতা ঘোষণা করতে চেয়েছিল। তাহলে কি আমরা ধরে নেব বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা করতে চান নাই।
আ স ম রব বলেন আমাদের গণশুনানি যে রিপোর্ট, আমরা চেষ্টা করছি আগামী এক সপ্তার মধ্যে ইংরেজি এবং বাংলায় বই আকারে প্রকাশ করে জনগণের মাঝে বিতরণ করতে। এবং এই গণশুনানির প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটায় রাজধানীর পুরানা পল্টনের জামান টাওয়ারে ফ্রন্টের কার্যালয়ে এক ঘন্টার বৈঠক করে স্টিয়ারিং কমিটি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না ড.কামাল ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডঃ আব্দুল মঈন খান, গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরী,জেএসডি সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন,নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, শহীদুল্লাহ কায়সার, মোঃ মমিন উল্লাহ, ডাক্তার জাহিদ, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, কৃষক শ্রমিক জনতালীগের হাবিবুর রহমান খোকা বীর প্রতীক প্রমুখ উপস্থিত রয়েছেন।