৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


নির্বাচনের নামে খেলায় অংশ নেবে না বিএনপি : নজরুল ইসলাম খান

-

নির্বাচনের নামে কোনো পাতানো খেলায় বিএনপি অংশ নেবে না জানিয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনা হবে। তিনি সোমবার দুপুরে এক সভায় বলেন, আমরা সরকারের পতন চাই, এটা যেমন কোনো গোপন কথা না; ঠিক তেমনি এই সরকারকে সরিয়ে আমরা দেশ শাসন করতে চাই, এটাও গোপন কথা না। সুতরাং আমরা কোনো ষড়যন্ত্রও করি না। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং তার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস ও সমাজকর্মী মেহরুন্নেছাসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবে এই সভার আয়োজন করে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন। সংগঠনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে এবং শিক্ষক নেতা সেলিম মিয়ার সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ আবদুল আউয়াল খান, ডিএল’র সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, ছাত্রদলের সহসাধারণ সম্পাদক আরিফা সুলতানা রুমা প্রমুখ।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, দেশের মধ্যে দুজন হলেন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্য ব্যক্তি। একজন খালেদা জিয়া আর একজন শেখ হাসিনা। এখন এরমধ্যে একজন প্রধানমন্ত্রী থেকে নির্বাচন করবেন, আর একজন জেলে থেকে নির্বাচন করবেন- এটাকে তো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বলা যায় না। একজন এমপি থেকে নির্বাচন করবে আর আমরা এমপি না থেকে নির্বাচন করবো সেটাও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নয়।

তিনি বলেন, আমরা নির্বাচনের মাধ্যমেই সরকার পরিবর্তন চাই। আমরা নির্বাচন করতে চাই। কিন্তু নির্বাচনের নামে কোনো খেলায় অংশ নিতে চাই না। আমরা ঐক্যবদ্ধ গণতান্ত্রিক আন্দোলন করতে চাই, এর কোনো বিকল্প নেই। সেই আন্দোলন সফল হবে, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে জনগণ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনবে।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, দেশে যদি আজ সত্যিকারে নির্বাচিত সরকার থাকতো তাহলে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হতো। এই সরকার জনগণের কাছে দায়বদ্ধতা নেই, যা ইচ্ছা তাই করছে। তাদের জবাবদিহিতা করতে হয় না, কারণ বর্তমান সরকার এমন একটি সংসদ গঠন করেছে যে সংসদের বিরোধীদল প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এবং সেই দলের তিনজন সরকারি দলের মন্ত্রী। এরা সারাদিন সরকারি অফিস করে সংসদে গিয়ে বিরোধীদলীয় আসনে বসে। বিরোধীদলের আসনে বসে সরকারি বিল পাস করে। পৃথিবীর কোথাও এমন হাস্যকর সংসদ নেই, যা বাংলাদেশের চলছে। পৃথিবীর কোথাও সংসদে গণতন্ত্র নিয়ে ইয়ার্কি ফাজলামি চলেনা, কিন্তু বাংলাদেশে যেটা চলছে। আমরা বলব এটা এক ধরনের ইয়ার্কি ফাজলামি।
তিনি বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জেলে নেওয়ার দিন সরকার যতটা ভয়ে ছিল, এখন তার চেয়েও বেশি ভয়ে আছে, তাকে ছেড়ে দিলে কী হয়। সে জন্য জামিনযোগ্য মামলায়ও তাকে জামিন না দিয়ে অন্যায়ভাবে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে।

বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এত নোংরা অভিযোগ আছে যে অন্য কেউ হলে বা অন্য কোনো সরকার হলে অনেক আগেই পদত্যাগ করত। কিছু দিন আগে জার্মানির একটি সংস্থা বলেছে, স্বৈরাচারী দেশের মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। সরকার মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে, কিন্তু সারা বিশ্বের সবাই বলে স্বৈরাচার।

 


আরো সংবাদ



premium cement