২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আশায় গুঁড়ে বালি : পুরনো মিত্রের দুয়ারে ভারত

আশায় গুঁড়ে বালি : পুরনো মিত্রের দুয়ারে ভারত - ফাইল ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের সাথে অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল ভারত। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি সে আশায় গুঁড়ে বালি দিয়েছে। উপরন্তু চীনের আগ্রাসী উন্নয়ন নীতি ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলোকে নিয়ে যাচ্ছে এমন এক উচ্চতায় যেখান থেকে দেশটি পিছিয়ে পড়ছে। ফলে আবার পুরনো পথে ফেরার চেষ্টা। নতুন ভরসা পুরনো মিত্র রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক ঝালিয়ে তোলা। এর অংশ হিসেবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন।

পাকিস্তানের সাথে চীন ও রাশিয়ার সম্পর্কের গতি ভারতকে বাধ্য করছে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে। ভারত দেখতে পাচ্ছে তার প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে চৈনিক মিত্রতা কি সুগভীর হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে। মালদ্বীপ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার পাত্তাই দিচ্ছে না ভারতকে, পাকিস্তান তো নয়ই। তাই অর্থনৈতিক, সামরিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক রাশিয়ার সাথে বৃদ্ধি করার কোনো আপাতত বিকল্প নেই ভারতের কাছে। রাশিয়ার সাথে ঠাণ্ডা যুদ্ধের আগের সম্পর্ক ফিরে পেতে চায় ভারত।

চীনের সাথে সিল্ক রুটে যোগ না দিয়ে নিজেকে গুটিয়ে রেখে যে ভুল করেছে ভারত তা শোধরাতেই রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের পরিকল্পনা নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাশিয়া সফরের পর দুই দেশের মধ্যে এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কমপ্লেক্স নির্মাণে চুক্তি হয়েছে ৪০ হাজার কোটি টাকার।

রাশিয়ার ওপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতা থেকে এই চুক্তিকে মুক্ত রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ভারত। আগামী অক্টোবরে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের বার্ষিক সম্মেলনেই চুক্তিটির পূর্ণাঙ্গ ঘোষণা দেয়া হবে। দিল্লি এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চীনের সাথে তাদের সীমান্ত ঘেঁষে মোতায়েনের পরিকল্পনা করেছে।

রাশিয়া বঙ্গোপসাগরে বড় ধরনের নৌ সামরিক শক্তি হিসেবে মিয়ানমারকে সাহায্য করার পাশাপাশি চীনের ধীরগতির সামরিক সহায়তা পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এমনকি মালদ্বীপেও বাড়ছে। এর পাশাপাশি পাকিস্তানের নৌশক্তির চার পাশে ভারত পাল্টা নৌশক্তি গড়ে তুলছে। গত বছর ভারত পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন থেকে ব্যালেস্টিক মিসাইল ছোড়ার পর এখন দেশটি হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করছে কিভাবে এ অঞ্চল অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে। কারণ পাকিস্তানও এরই মধ্যে সাবমেরিন থেকে ক্রুজ মিসাইল ছুড়ে পরীক্ষা করেছে, যা পারমাণবিক শক্তি পরীক্ষার প্রতিযোগিতাকে এ অঞ্চলে আরো ত্বরান্বিত করবে। এ দিকে রাশিয়া ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার পর ২০২৫ সালে তা ৩০ বিলিয়নে উন্নীত করতে গত মার্চে দুই দেশের মন্ত্রীরা সব ধরনের বাধা অপসারণ করতে একমত হন। রাশিয়ার সহায়তায় ইউরাশিয়ান ইকোনোমিক ইউনিয়নেও ভূমিকা রাখতে চায় ভারত। জাহাজ নির্মাণ, জ্বালানি, এভিয়েশন, ইলেক্ট্রোনিকস, ভারী শিল্প, ওষুধ ও কম্পিউটার শিল্প নিয়ে এ দু’টি দেশের আন্তঃসরকার কমিশন ব্যাপকভাবে কাজ শুরু করেছে। দু’টি দেশের মধ্যে স্থল সীমান্ত না থাকায় ৮০ শতাংশ পণ্য সেন্টপিটার্সবার্গ থেকে সুয়েজখাল হয়ে নৌপথে আনতে হয়। এ জন্য রাশিয়া, ভারত, ইরান ও আজারবাইজান একটি বিকল্প রুট ‘ইন্টারন্যাশনাল ট্রান্সপোর্ট করিডোর’ তৈরিতে কাজ করছে। মধ্য এশিয়ার দেশগুলোকে রেলপথের মাধ্যমে এ করিডোরে সংযুক্ত করলে ভারত বিকল্প একটি বাণিজ্য রুট পাবে। যা রাশিয়ার সাথে ভারতের নৌপথের ওপর নির্ভরশীলতা বেশ কিছুটা কমাবে।

ভারত মহাসাগর বা দক্ষিণ চীন সাগর ছাড়াও দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগর, আফ্রিকা ও ভূমধ্যসাগরে চীনের সরব সামরিক উপস্থিতি ভারতকে রাশিয়ার দিকে আরো ঝুঁকতে এক ধরনের তাড়া করেছে।
যদিও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাশিয়ার সাথে সম্পর্ককে বিশেষ ও কৌশলগত বলছেন, একই সাথে রাশিয়া ভারতের চিরশত্রু হিসেবে বিবেচিত পাকিস্তানের সাথে সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করছে। আবার যুক্তরাষ্ট্রের যে অবরোধ রয়েছে রাশিয়া ও ইরানের ওপর সেখানে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে ভারত চাইছে সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে। সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের সদস্য হতে রাশিয়ার সহযোগিতা চেয়েছে ভারত, যা পেলে ইউরাশিয়ান রাজনীতি, অর্থনীতি ও নিরাপত্তায় ভারত সম্পৃক্ত হয়ে তার পররাষ্ট্রনীতিকে আরো ক্ষুরধার করে তুলবে। গত পাঁচ বছরে ভারত তার ৬২ শতাংশ অস্ত্রশস্ত্র আমদানি করেছে রাশিয়া থেকে।

যদিও গত দেড় দশকে ভারতের সাথে রাশিয়ার তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের পরিধি বেড়েছে। ২০০৪ সালে মনমোহন সিংয়ের উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক দ্রুত বৃদ্ধি পায়। কিন্তু এখন উল্টোরথে চলতে চাচ্ছে ভারত। যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র ক্রয়, ভারতীয় কর্মকর্তাদের দেশটি সফর, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি, সফটওয়্যার ক্ষমতা, যৌথ সামরিক মহড়ায় এতদিন প্রিয় অংশীদার বলেই মনে হতো ভারতকে। কিন্তু ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট নীতি’ এ সম্পর্কে ছেদ টেনেছে। যতটা আশা করা হয়েছিল ততটা কাক্সিক্ষত মার্কিন বিনিয়োগ ভারতে আসেনি।

রাশিয়ার সাথে প্রতিরক্ষা সম্পর্কে ভারত কিছুটা পিছিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দিকে বেশি ঝুঁকেছিলেন। এখন প্রায়শ্চিত্য শুরু করেছে ভারত। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা কমিয়ে এনে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও কাজাখাস্তান ছাড়াও মধ্য এশিয়ার আরো দু’টি দেশের সাথে যে নতুন বাণিজ্যিক সম্পর্ক ও যোগাযোগব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাচ্ছে। তাতে ইরান ও রাশিয়াকে কাছে চান নরেন্দ্র মোদি। পাকিস্তানের সাথে রাশিয়ার যৌথ সামরিক মহড়ার সিদ্ধান্তে ভারতের টনক নড়ে গেছে। কারণ চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া থেকে অস্ত্র সংগ্রহের পর পাকিস্তান তা যদি সম্মিলিতভাবে ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহারের সুযোগ পায় তা মোকাবেলার উপযুক্ত সময় এখন। ফলে উল্টোপথে চলা বা পুরনো মিত্রকে নতুন করে আঁকড়ে ধরা ছাড়া ভারতের কোনো পথ খোলা নেই।


মাদকবিরোধী অভিযানে নিরীহ কেউ হয়রানির শিকার হয়নি : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে নিরীহ কেউ হয়রানির শিকার হয়নি। আর এ অভিযান হঠাৎ করে শুরুও হয়নি।

সম্প্রতি ভারত সফর সম্পর্কে অবহিত করতে আজ বুধবার বিকেল চারটায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তিনি সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন। এর আগে তিনি ভারত সফর সম্পর্কে সাংবাদিকদের মাধ্যমে জাতির কাছে বিস্তারিত তুলে ধরেন।

মাদকবিরোধী অভিযান নিয়ে প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, এ অভিযানে এ পর্যন্ত ১০ হাজারের ওপর গ্রেফতার হয়েছে। কোন পত্রিকায় কত গ্রেফতার হয়, তা বলা হয় না।

শেখ হাসিনা বলেন, যখন কোথাও পুলিশ, র‍্যাব কোথাও অভিযানে যায়, আর সেখানে যদি কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে থাকলে, কোনো নিরীহ ব্যক্তি শিকার হলে অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা নেব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যদি বলেন, ভেজালবিরোধী-মাদকবিরোধী অভিযান বন্ধ করে দিই। ছেলে মাকে, বাবাকে হত্যা করছে মাদকের কারণে। এ ধরনের অভিযান চালাতে গেলে কিছু ঘটনা ঘটে।


বসনিয়ার এক এতিম বালকের বিশ্বজয়
আনিসুর রহমান এরশাদ

যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশ থেকে দারিদ্র্যতা ও শত প্রতিকূলতা ঠেলেও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে সাফল্য অর্জন করা যায় তারই প্রতীক আলমির কাপিক। ৩৮ বছর বয়সী আলমির কাপিক বসনিয়ার নাগরিক। তিনি বসনিয়ার গর্ব, অহঙ্কার। বসনিয়া-হার্জেগোভেনিয়ার পতাকা তিনি ধরে রেখেছিলেন গর্বিতভাবে, যা গভীর সম্মান ও বিনম্র শ্রদ্ধায় আবুধাবিতে পতপত করে উড়িয়েছেন। গত মাসে আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত ‘ওয়ার্ল্ড প্রফেশনাল জাইউ-জিতসু চ্যাম্পিয়নশিপে’ বাদামি বেল্ট ডিভিশনে আল্ট্রা হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন শিরোপা জয়ের শীর্ষে উঠে এসেছেন তিনি। আলজাজিরাকে বিজয়ের অনুভূতি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাসই করতে পারছি না... আমি অতি আনন্দে কাঁদতে শুরু করেছিলাম। বছরের পর বছর প্রশিক্ষণ এবং কঠোর অধ্যবসায়ের মাধ্যমে জাইউ-জিতসু চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছি। আমি অর্জন করেছি মাস্টার বেলটি বাঁধার যোগ্যতা।’

১৯৯০-এর দশকের শুরুতে বসনিয়ার রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের সময় প্রাণে বেঁচে থাকার জন্য ছোটো শহর বনোভিচিতে আলমির কাপিককে কঠিন সংগ্রাম করতে হয়েছে। তখন তার বয়স ছিল ১৩ বছর। প্রায় চার বছরব্যাপী যুদ্ধের সময় তার বাবা সার্বিয়ান স্নাইপার দ্বারা গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। মায়ের সাথে লাইনে দাঁড়িয়ে রেড ক্রিসেন্ট থেকে খাবার নিয়ে তাদের বেঁচে থাকতে হয়েছে। সে সময় খাবার এতই দুর্লভ ছিল যে, অনেকেই বেঁচে থাকার জন্য ঘাস-পাতা খেয়েছে। কপিক বলেন,
‘আমরা জীবিত থাকার জন্য লড়াই করছিলাম, টিকে থাকতে চেয়েছিলাম।’

কাপিক পরিশ্রমী ও স্বপ্নদর্শী ছিলেন। যে কাজই করতেন মনোযোগ দিয়ে করতেন। বিশ^াস করতেন মন দিয়ে চেষ্টা করলে ফল একদিন আসবেই। জীবন যুদ্ধে শত প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েও তিনি সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য হাল ছাড়েননি। খেয়ে না-খেয়ে, অনেক বাধা অতিক্রম অতিক্রম করে সফল ক্যারিয়ার গড়েছেন।

বসনিয়ায় কাপিকের মতো ক্রীড়াবিদদের জন্য রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে খুব সামান্যই সহায়তা রয়েছে। দৈনিক প্রশিক্ষণ নিতে অনুশীলনকারীরা বসনিয়ার রাজধানী সারায়েভোয় ব্যক্তিগতভাবে ভাড়া দিয়ে থাকত। পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা কিছুই ছিল না। এমনকি সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানীতে সাম্প্রতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য কাপিকের বন্ধুরা আর্থিকভাবে তাকে সাহায্য করেছিলেন।
কাপিক বলেন, ‘বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা এমন একটি দেশ যেখানে অনেক বিষয়ে বিভ্রান্তি রয়েছেÑ আইনত, সামাজিকভাবে এবং খেলাধুলার ক্ষেত্রেও। ক্রীড়াবিদদের চিন্তা করতে হয় কিভাবে খারাপ অবস্থার মধ্যেও নিজেদের প্রশিক্ষণ চালিয়ে যেতে হবে। তার কোচ ফুয়াদ মুজভিচ বলেন, চ্যালেঞ্জিং অবস্থা দৈনন্দিন জীবনেরই অংশ। আমরা এমন লোক নই; যারা কিছু না পেলেই অভিযোগ করে, অজুহাত পেশ করব। আমরা আবুধাবিতে সোনার পদক পেয়েছি, এই সম্মান এমন কিছু যা আপনি টাকা দিয়ে কিনতে পারবেন না। সফলতার নিয়ম একটাই যে, যত কঠিন প্রশিক্ষণ নেবেন, সে তত সহজে জয় করতে পারবেন। কাপিক অত্যন্ত অধ্যবসায়ী, পরিশ্রমী ও সুশৃঙ্খল। তার বুদ্ধি এবং দৃঢ়তার সীমানা বিস্তৃত।

কাপিক মিসর ও সিরিয়ায় পড়াশোনা করেছেন, তিনি আরবিতে কথা বলেন, বই অনুবাদক হিসেবে কাজ করেন। তিনি একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমান, তিনি বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইনে কুরআন ক্লাস নেন। দশ বছর আগে কাপিক মিসরের রাজধানী কায়রোয় আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন এবং ‘হাফিজ’ হন।

তিনি বলেন, একজন ক্রীড়াবিদ হিসেবে আমার বিশ্বাস থেকেই আমি মানসিক শক্তি ও উৎসাহ পাই। আমি যখন নবী ও রাসূলদের সম্পর্কে জানি, তাদের জীবনী পড়ি; তখন আমি অনুপ্রাণিত হই। আপনার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টাও বিরাট সার্থকতা পেতে পারে, ক্ষুদ্র থেকেও বড় কিছু করতে পারেন যদি দৃঢ়তা থাকে, সৎ উদ্দেশ্য ও স্বপ্ন থাকে।

জুলাই মাসে, কাপিক তার মাস্টার বেল্ট পাওয়ার জন্য ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোয় যাবে।
আবুধাবিতে জয়ী হওয়ার পর কাপিক একটি জাতীয় উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে যে কিভাবে একজন ব্যক্তি সফলতা লাভের জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে পারে। বসনিয়ার যুবকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাকেই কাজ করতে হবে। যারা প্রাণপণ চেষ্টা করে তাদের জন্য ফলাফল অবশেষে আসবেই। এর প্রমাণ হলো কয়েক বছরের সাধনার ফলে যা আবুধাবিতে ঘটেছে; যেখানে আমরা শক্তিশালী দেশ ও শক্তিশালী যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি; কিন্তু বসনিয়া এবং হার্জেগোভিনায়ই পদক এসেছে। আপনার জীবনে ব্যর্থতা আসা হতাশার নয়, হতাশা হচ্ছে ব্যর্থতা এলে আবার উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা না করা।

 


আরো সংবাদ



premium cement