২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

স্পেন অচলাবস্থা কাটাতে ৭ মাসে দ্বিতীয়বার নির্বাচনে

-

গত এপ্রিলেই স্পেনে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী পেষো সাঞ্চেজ নেতৃত্বাধীন স্প্যানিশ সোশ্যালিস্ট ওয়ার্কার্স পার্টি (পিএসওই)। সে নির্বাচনের সাত মাস না পেরোতেই আজ রোববার ফের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে দেশটিতে। এ নিয়ে চার বছরের মধ্যে স্পেনের চতুর্থতম জাতীয় নির্বাচন এটি।
খবরে বলা হয়, এপ্রিলের নির্বাচনে জয়ী হলেও পার্লামেন্টে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই সাঞ্চেজের দলের। সরকার গঠনে অন্যান্য দলের সহায়তা প্রয়োজন তাদের। তবে বহু আলোচনা শেষেও অন্য কোনো দলের সাথে জোট গঠনে ব্যর্থ হয়েছে সাঞ্চেজের দল। বামপন্থী পোদেমস পার্টির সাথে এক আলোচনা বিফলে গেছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো সরকার গঠন করতে পারেনি সোশ্যালিস্টরা। যার ফলে ফের নির্বাচনে ভোট দেবেন স্প্যানিশরা।
অল্প সময়ে এত নির্বাচন কেন?
তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে স্পেনের বেশির ভাগ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ ছিল সোশ্যালিস্ট ও কনজারভেটিভদের মধ্যে। কিন্তু ২০১৫ সালে তাদের প্রভাবে ভাগ বসায় নতুন দু’টি দল : বামপন্থী পোদেমস ও ডানপন্থী সিউদাদানোস। এ ছাড়া জনপ্রিয়তা পেয়েছে ডানপন্থী ভক্স পার্টিও। ফলে দেশটির মধ্যে এখন প্রধান দলের সংখ্যা পাঁচটি। ভোটও ভাগ হচ্ছে পাঁচ দিকে। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে না কোনো পক্ষই। আর নিজেদের মধ্যে মতভেদ থাকার কারণে জোট সরকার গঠনও সম্ভব হচ্ছে না। দেশটিতে সর্বশেষ ২০১১ সালে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল কনজারভেটিভ পপুলার পার্টি (পিপি)।
এই নির্বাচনে কোনো পরিবর্তন আসবে?
বর্তমানে ৩৫০ আসনের পার্লামেন্টে সাঞ্চেজ নেতৃত্বাধীন সোশ্যালিস্টদের দলের দখলে রয়েছে ১২৩টি আসন। জরিপ বলছে, এবারের নির্বাচনেও বাকিদের থেকে এগিয়ে থাকবে সাঞ্চেজের দল। তবে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে ব্যর্থ হবে। গত এপ্রিলের নির্বাচন শেষে বামপন্থীদের সাথে জোট বেঁধে সরকার গঠনের চেষ্টা করেছিলেন সাঞ্চেজ। তবে তাতে ব্যর্থ হয়েছেন। জরিপ অনুসারে, এবারো অনেকটা সে দিকেই ঘুরবে পরিস্থিতি। তবে নতুন পোদেমস পার্টির সাবেক উপপ্রধান ইনিগো এরেজন নেতৃত্বাধীন নতুন একটি দল পরিস্থিতি পাল্টে দিতে পারার অল্প আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, এরেজন খুব একটা বিস্তর পার্থক্য তৈরি করতে পারবেন না। তার দলটি গুটি কয়েক অঞ্চলে লড়াই করবে। কিন্তু এরেজন বলেছেন, তিনি চান একটি বামপন্থী সরকার গঠন করতে। তাই বামপন্থী ভোট যেন অন্য দিকে ধাবিত না হয় সে জন্যই নতুন দল নিয়ে হাজির হয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের সব কিছু নিয়ে একমত হতে হবে না।
কাতালোনিয়ার ভূমিকা
নির্বাচনটি এমন সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন কাতালোনিয়া স্বাধীনতার দাবিতে উত্তাল। স্পেনের সুপ্রিম কোর্ট অঞ্চলটির স্বাধীনতাপন্থী নেতাদের স্বাধীনতা গণভোট আয়োজনের দায়ে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় কারাদণ্ড দিয়েছে। এতে অঞ্চলটিজুড়ে তীব্র সহিংসতা বিরাজ করছে। টানা বিক্ষোভ করছে তাদের সমর্থকরা। ডানপন্থী দলগুলো জানিয়েছে, জয়ী হলে কাতালোনিয়ার স্বাধীনতার দাবি কঠোর হস্তে দমন করা হবে। বর্তমানে অঞ্চলটির নিরাপত্তাবাহিনী যে স্বায়ত্তশাসন উপভোগ করে তা কেড়ে নেয়া হবে। জারি করা হবে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ। এমনকী জরুরি অবস্থাও জারি করা হতে পারে।


আরো সংবাদ



premium cement