২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরও হুদায়দায় সংঘর্ষ

-

ইয়েমেনের বন্দর নগরী হুদায়দায় আবারো সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার জাতিসঙ্ঘ সমর্থিত শান্তিচুক্তিতে সবপক্ষ রাজি হলেও এক স্থানীয় সূত্র জানিয়ছে এখনো লড়াই চলছে সেখানে।
বৃহস্পতিবার জাতিসঙ্ঘের মধ্যস্থতায় লোহিত সাগরের বন্দর শহর হুদায়দায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইয়েমেনে যুদ্ধরত পক্ষগুলো। জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস জানিয়েছেন, হুদায়দায় নিরপেক্ষ বাহিনী মোতায়েন ও একটি মানবিক করিডোর প্রতিষ্ঠার বিষয়েও সম্মত হয়েছে। এ ছাড়া সঙ্কট সমাধানে একটি রাজনৈতিক কাঠামো গঠনের আগামী বছরের জানুয়ারিতে পরবর্তী ধাপের আলোচনার সময় নির্ধারণ করা হয়।
তবে শনিবার এক স্থানীয় সূত্রকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানায়, শহরটির পূর্বাঞ্চলে এখনও গুলির আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। ওই স্থানের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের কাছে। অস্ত্রবিরতি চুক্তির পর সেখান থেকে সেনা সরিয়ে নেয়ার ব্যাপারেও সম্মতি প্রকাশ করেছিল হাউছি বিদ্রোহীরা।
২০১৫ সালে ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট মনসুর হাদিকে উচ্ছেদ করে রাজধানী দখলে নেয় ইরান সমর্থিত হাউছি বিদ্রোহীরা। সৌদি রাজধানী রিয়াদে নির্বাসনে যেতে বাধ্য হন হাদি। হাউছিদের ক্ষমতা দখলের পর থেকেই হাদির অনুগত সেনাবাহিনীর একাংশ তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে। ২০১৫ সালের মার্চে হাউছি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে মিত্রদের নিয়ে ‘অপারেশন ডিসাইসিভ স্টর্ম’ নামে সামরিক অভিযান শুরু করে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। সৌদি জোটের অভিযান শুরুর পর এ পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে অনেক নারী ও শিশুও রয়েছে। অক্টোবরে তুরস্কের ইস্তাম্বুল কন্স্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার পর এই যুদ্ধের সমালোচনা তীব্র হতে থাকে। ডিসেম্বরের গোড়ার দিকে জাতিসঙ্ঘের পক্ষ থেকে বলা হয়, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনে মানবিক সহায়তার জন্য ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার প্রয়োজন।

 


আরো সংবাদ



premium cement