২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মৌমাছির গুঞ্জণে মুখরিত হলুদ মাঠ

-

মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত হয়ে উঠছে টাঙ্গাইলের নাগরপুরের হলুদ রাঙা সরিষার মাঠ। এখানকার সরিষার মাঠে বাণিজ্যিকভাবে মধু উৎপাদন শুরু হওয়ায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। ফলে এক সাথে সরিষা ও মধু চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে এ বছর প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। উচ্চ ফলনশীল ও স্থানীয় উভয় জাতের সরিষা চাষ করেছেন কৃষকরা। দুই জাতের সরিষা নভেম্বরের দিকে আবাদ শুরু করতে হয়। জাত ভেদে এ ফসল ঘরে উঠতে সময় লাগে ৭৫ থেকে ৯০ দিন।

এবার উপজেলার গয়হাটা, ধুবড়িয়া, ভাদ্রা, মোকনা, দপ্তিয়র, মামুদনগর, বেকড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় সরিষার সাথে মধু চাষ করেছেন কৃষকরা। এখন স্থানীয় কৃষকরা সরিষার সাথে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন। বাক্সে রাখা মৌচাক নিয়ে মাঠেই সময় পার করছেন তারা।

সূত্র আরো জানায়, প্রতি বাক্স থেকে সপ্তাহে ৫ থেকে ৭ কেজি মধু সংগ্রহ করা যায়। তবে অগ্রাহায়ণ ও পৌষ মাসে মধু সংগ্রহ বেশি হয়। গড়ে ৩০টি বাক্স থেকে ১৫০ থেকে ১৭০ কেজি মধু সংগ্রহ করতে পারেন কৃষকরা। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা।

আব্দুর রহমান নামে এক মৌ চাষী জানান, আমরা প্রতি বছর সরিষা থেকে খাঁটি মধু সংগ্রহ করে থাকি। এসব মধুর অনেক চাহিদা আছে, বেশ ভাল দামে মধু বিক্রিও করা যায়। আগে মনে করতাম এভাবে মধু সংগ্রহ করলে সরিষার ক্ষতি হয় কিন্তু এখন দেখছি মধু সংগ্রহে সরিষার ফলন আরো ভাল হয়।

স্থানীয় কৃষক গণি মিয়া বলেন, উপজেলা কৃষি অফিস মৌ চাষ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিলে আমরা আরো লাভবান হতে পারতাম। পরিবার পরিজন নিয়ে স্বচ্চলভাবে জীবন যাপন করতে পারতাম।

নাগরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আ. মতিন বিশ্বাস জানান, ফসলের সাথে মৌ চাষে উদ্বুদ্ধ করতে উপজেলার ভাদ্রা, বেকড়া, ধুবড়িয়া ও মামুদনগরসহ ৪টি ইউনিয়নে কৃষকদের মাঝে বড় মৌ বাক্স বিতরণ করা হয়েছে। 


আরো সংবাদ



premium cement