২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মির্জা আজমের নগদ টাকা ১৮ লাখ থেকে বেড়ে ৬ কোটি, সম্পদ বেড়েছে স্ত্রীর

জামালপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মির্জা আজম - নয়া দিগন্ত

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মির্জা আজমের নগদ ও ব্যাংকে জমা টাকার পরিমাণ বেড়েছে এবং পরিবর্তন হয়েছে ব্যবসা। পাঁচ বছর আগে তার বাৎসরিক আয় ছিল ১৫ লাখ ৭২ হাজার ৭৮৬ টাকা। এখন তার বাৎসরিক আয় ১ কোটি ২৮ লাখ ৯৯ হাজার ৩৪২ টাকা। পাঁচ বছরের ব্যবধানে তার স্ত্রীর হাতে নগদ টাকা কমলেও ব্যাংকে জমা টাকাসহ সম্পদ বেড়েছে।

পাঁচ বছর আগে মির্জা আজমের হাতে নগদ ছিল ১৮ লাখ টাকা এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ছিল ১১ লাখ ১৮ হাজার ৪১৪ টাকা। এখন তার হাতে নগদ আছে ৬ কোটি ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৫৩১ টাকা এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ২৩ লাখ ১৩ হাজার ৬৩৮ টাকা।

এছাড়া আগে তার ব্যবসা ছিল মির্জা রাইস মিল এন্ড পোল্ট্রি ফিড ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে চাল ও পোল্ট্রি ফিডের ব্যবসা এবং মির্জা পোল্ট্রি এণ্ড ফিস ফিড ট্রেডার্সের মাধ্যমে চাল ও পোল্ট্রি ফিডের ব্যবসা।

বর্তমানে তিনি অপি প্রোপার্টিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মির্জা সিজনস সুয়েটারস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও জামালপুর প্রোপার্টিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান। তবে পাঁচ বছর আগে ব্যবসা থেকে তার বাৎসরিক আয় ছিল ৬ লাখ ৩৭ হাজার ৪০১ টাকা। বর্তমানে ব্যবসা থেকে তার বাৎসরিক আয় ৩ লাখ ১০ হাজার ৫৪০ টাকা।

পাঁচ বছর আগে মির্জা আজমের স্ত্রীর হাতে নগদ ছিল ১৮ লাখ ৪ হাজার ৭১৯ টাকা এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কোনো টাকা ছিল না। এখন তার স্ত্রীর হাতে নগদ টাকা আছে ১ লাখ ২৮ হাজার ৫৪২ এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ৪ লাখ ৩৩ হাজার ৮০৯ টাকা। একাদশ ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্রের সাথে দেয়া হলফনামায় এসব তথ্য উল্লেখ করেছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী মির্জা আজম।

নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, পাঁচ বছর আগে মির্জা আজমের স্ত্রীর নামে কোনো দালান ও ফ্লাট ছিল না। কিন্তু এখন তার স্ত্রীর নামে রয়েছে ২টি দালান, যার মূল্য ৩ কোটি ৪১ লাখ ১৮ হাজার ৫৭ টাকা এবং একটি ফ্ল্যাট, যার মূল্য ২ কোটি ৩৬ লাখ ৮১ হাজার ৬৮০টাকা।

পাঁচ বছর আগে তার স্ত্রীর নামে কৃষিজমি ছিল ৪ একর, যার মূল্য ৯ লাখ ৯৫ হাজার ৫০০টাকা। বর্তমানে তার স্ত্রীর নামে কৃষিজমি ৫.৫০২৫ একর, যার মূল্য ৩০ লাখ ৭৮ হাজার ৯০০টাকা। পাঁচ বছর আগে তার স্ত্রীর গয়না ছিল ৬২ ভরি। এখন তার স্ত্রীর গয়না রয়েছে ২০০ ভরি, যার মূল্য জানা নেই বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

পাঁচ বছর আগে তার স্ত্রীর নামে সঞ্চয়পত্রে ও স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ ছিল ৬০ লাখ ৬২ হাজার ৯২২ টাকা। আর এখন তার স্ত্রীর নামে সঞ্চয়পত্রে ও স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ ১ কোটি ৮৫ লাখ ৬৭ হাজার ১৮টাকা।

মির্জা আজমের শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএ পাশ। বর্তমানে বাড়ি/এপার্টমেন্ট/ দোকান বা অন্যান্য ভাড়া থেকে তার বাৎসরিক আয় ৯১ লাখ ৮ হাজার ৫৪৯টাকা। কিন্তু পাঁচ বছর আগে বাড়ি/এপার্টমেন্ট/ দোকান বা অন্যান্য ভাড়া থেকে তার কোনো আয় ছিল না।

এছাড়া বর্তমানে তার বাৎসরিক আয়-কৃষিখাতে ৭৭ হাজার ৯৮০টাকা, ব্যবসা থেকে ৩ লাখ ১০ হাজার ৫৪০টাকা, শেয়ার/সঞ্চয়/ব্যাংক আমানত থেকে ৪ লাখ ২০ হাজার ৬৯৩ টাকা, অন্যান্য- প্রতিমন্ত্রী হিসেবে ভাতা ১১ লাখ ৪ হাজার ও করমুক্ত আয় ১৮ লাখ ৭৭ হাজার ৫৮০টাকা।

মির্জা আজমের নামে শেয়ার আছে ২ লাখ ৫৮ হাজারটি, যার মূল্য ২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। স্ত্রীর নামে শেয়ার আছে ২ লাখ ৩০ হাজার ৮৫০টি, যার মূল্য ২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।

পাঁচ বছর আগে মির্জা আজমের নামে সঞ্চয়পত্রে ও স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ ছিল ২৪ লাখ টাকা। এখন তার নামে সঞ্চয়পত্রে ও স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ শূন্য। পাঁচ বছর আগে তার বাৎসরিক আয় ছিল কৃষিখাতে ৬৬ হাজার টাকা, ব্যবসা থেকে ৬ লাখ ৩৭ হাজার ৪০১ টাকা, শেয়ার/সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৭৮৫ টাকা ও অন্যান্য (সংসদ সদস্য হিসেবে ভাতা) ৫ লাখ ৭৩ হাজার ৬০০ টাকা।


আরো সংবাদ



premium cement
কুষ্টিয়াতে মসজিদ কমিটি নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৫ চেয়ারম্যান তপন ও অজিত মেম্বারকে ধরিয়ে দিতে পারলে পুরস্কার ঘোষণা নারায়ণগঞ্জে ২৪ ঘণ্টায় ১৪ ডাকাত সদস্য গ্রেফতার রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছাড়াল যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশী শ্রমিকদের ভিসা সহজ করার আহ্বান প্রবাসী প্রতিমন্ত্রীর চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী না হয়ে অংশীদার হওয়া উচিত : শি জিনপিং ওকাব সভাপতি নজরুল ইসলাম, সম্পাদক জুলহাস আলম পাবনায় ১০ কোটি টাকার অনিয়মে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে চুয়েট ১১ মে পর্যন্ত বন্ধ, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে শিশুর মৃত্যু হিলিতে ভটভটি-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ২

সকল