২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

৬৫ দিন সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ বন্ধ ক্ষতিগ্রস্ত জেলে পাবে মাসে ৪০ কেজি চাল

-

বাংলাদেশ নিয়ন্ত্রিত বঙ্গোপসাগরে গত ২০ মে হতে আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত টানা ৬৫ দিন মাছ আহরণ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সামদ্রিক মাছগুলোর প্রজননকাল হওয়ায় ডিমওয়ালা মাছের নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টিসহ মাছের মজুদ সংরক্ষণ, সুষ্ঠু ও বিজ্ঞানসম্মত সহনশীল আহরণ নিশ্চিত করতেই এই নিষেধাজ্ঞারোপ করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
উপকূলীয় ১২টি জেলাধীন ৪২ উপজেলার চার হাজার ১৪ হাজার ৭৮৪টি জেলে পরিবারের মাছ-আহরণ ব্যতীত বিকল্প আয়ের উৎস না থাকায় এবারই প্রথম নিষিদ্ধকালীন ৬৫ দিনের জন্য ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় পরিবার প্রতি মাসিক ৪০ কেজি করে মোট ৩৬ হাজার মেট্রিক টন চাল সহায়তা প্রদান করা হবে। ঈদের আগেই এ খাদ্যসহায়তা দেয়া হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। গতকাল মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু এ তথ্য জানান। তিনি আশা প্রকাশ করেন ৬৫ দিনের জন্য ভিজিএফ খাদ্যসহায়তার ফলে জেলে পরিবারের খাদ্য সংস্থান হওয়ায় তারা সামুদ্রিক ডিমওয়ালা মাছ ও চিংড়ি আহরণ থেকে বিরত থাকবেন এবং এতে ডিমওয়ালা মাছ ও চিংড়ির নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দেশে মোট ৪২.৭৭ লাখ টন মাছ উৎপাদিত হওয়ার মাধ্যমে দেশ আজ মাছে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। এই উৎপাদনের মধ্যে সামুদ্রিক মৎস্য খাতে অবদান ৬.৫৬ লাখ টন, যা দেশের মোট মৎস্য উৎপাদনের ১৫.৩৩ শতাংশ।
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের সচিব রইছ উল আলম মণ্ডল, মৎস্য অধিদফতরের ডিজি আবু সাইদ মো: রাশেদুল হক, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ডিজি ড. ইয়াহিয়াসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement