২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`
হানিফের কাছে প্রশ্ন ছাত্রলীগ নেত্রীদের

আর কত লাঞ্ছিত হলে মনে হতো যে নারীদের ওপর নির্যাতন হয়েছে?

-

ছাত্রলীগের সদ্য ঘোষিত পূর্ণাঙ্গ বিতর্কিত কমিটির বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করতে গেলে মধুর ক্যান্টিনে সংগঠনটির নেত্রীদের ওপর করা হামলাকে ছোট ও সাধারণ আখ্যা দিয়ে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবউল আলম হানিফের করা মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন ছাত্রলীগের নেত্রীরা। এ সময় হানিফের প্রতি প্রশ্ন ছুড়ে নিপু ইসলাম তন্বী বলেন, আর কত লাঞ্ছিত হলে তাদের মনে হতো যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নারীদের নির্যাতন করা হয়েছে?
গতকাল বুধবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে আয়োজিত মানববন্ধনে এ সমালোচনা করেন শামসুন্নাহার হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সদ্য ঘোষিত কেন্দ্রীয় কমিটির উপসংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক নিপু ইসলাম তন্বী। ‘মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলনে বোনদের ওপর নির্মম হামলা ও শারীরিক লাঞ্ছনার প্রতিবাদে মানববন্ধন’ শীর্ষক কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে নিপু তন্বী বলেন, আর কতটুকু লাঞ্ছিত হলে তাদের মনে হতো যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নারী কর্মীদের ওপর নির্যাতন হয়েছে? প্রশ্ন ওঠেÑ আমরা মারা গেলে কি সত্যতা প্রমাণ হতো যে এখানে একটি বিশাল ঘটনা ঘটেছে? তিনি বলেন, সত্যিকার অর্থে বলতে আজকে দুঃখ লাগছে ছাত্রলীগের নিবেদিতপ্রাণ হিসেবে মধুর ক্যান্টিনের মতো জায়গায় ছাত্রলীগের কিছু ছোট ও বড় ভাই দ্বারা নির্যাতিত হই, এরপরে কোনো মা, বাবা, ভাই, বোন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ করার জন্য তাদের সন্তানকে পাঠাবে না।
তন্বী বলেন, ছাত্রলীগের নেত্রীরা বারবার নির্যাতিত হচ্ছেন। আর কত নির্যাতন হলে তাদের টনক নড়বে? আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের কাছ থেকে আমরা কবে বিবৃতি পাবো ছাত্রলীগের নেত্রীদের ওপর সত্যিকার অর্থে বিশাল রকমের হামলা হয়েছে। সেটি একটি প্রশ্ন থেকে যায়।
মানববন্ধনকারীদের হাতে বিভিন্ন ফেস্টুনে ‘আমাদের বোনদের ওপর হামলা কেন? বিচার চাই, বিচার চাই’, ‘অবৈধ কমিটি মানি না’, ‘অছাত্রদের, আদু ভাইদের কমিটি মানি না’, ‘ক্যাম্পাস থেকে বহিষ্কৃতদের কমিটি মানি না’, ‘বঙ্গবন্ধুর ছাত্রলীগে অছাত্রদের স্থান নেই’, ‘চাকরিজীবী ব্যবসায়ীদের কুটিল কমিটি মানি না’ ইত্যাদি লেখা দেখা যায়।
এ সময় রোকেয়া হলের সভাপতি বি এম লিপি আক্তার বলেন, যাদের কমিটিতে রাখা হয়েছে তাদের ২২ জন আগে কোনো পদে ছিল না। অথচ তাদের পদ দেয়া হয়েছে। আমাদের ছোট পদ দেয়া হয়েছে। আমরা পদ না পাওয়ার জন্য আন্দোলন করছি না, বরং কমিটিতে মাদক মামলার আসামি, বিবাহিত, অছাত্র, ছাত্রদল, রাজাকারের সন্তানদের পদ দেয়া হয়েছে, তার জন্য আমরা আন্দোলন করছি। তিনি আরো বলেন, আমাদের আন্দোলন পদবঞ্চিত হওয়ার জন্য নয়, বরং বিতর্কিত কমিটির মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আস্থাকে ছোট করার, প্রধানমন্ত্রীকে অসম্মান করারও একটি প্রতিবাদ।
মানববন্ধনে সাবেক দফতর সম্পাদক দেলোয়ার শাহজাদা, প্রচার সম্পাদক সাঈফ বাবু, কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক রাকিব হোসেন, উপ-আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক খাজা খায়ের সুজন, সদস্য তানভীর হাসান সৈকত, ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহসভাপতি রুম্মান হোসাইন, বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল আন রহমান, কবি জসীমউদ্দীন হলের সাধারণ সম্পাদক শাহেদ খান, অমর একুশে হলের সাধারণ সম্পাদক এহসান উল্লাহ, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের সভাপতি ফরিদা পারভীন, সাধারণ সম্পাদক শ্রাবণী শায়লা, সুফিয়া কামাল হলের সভাপতি ইফফাত জাহান এশা, সাধারণ সম্পাদক শারজিয়া শম্পাসহ দুই শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement