২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বিজিএমইএর ব্যাখ্যাই টিআইবি প্রতিবেদনের যথার্থতা প্রমাণ করে

-

পোশাকশ্রমিকদের মজুরির বিষয়ে তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর ব্যাখ্যা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) গবেষণা প্রতিবেদনের যথার্থতাই প্রমাণ করে বলে মনে করে সংস্থাটি। গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে টিআইবি ‘তৈরি পোশাক খাতে সুশাসন : অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে বিজিএমইএর ব্যাখ্যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশের পর এই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সংস্থাটি।
বিজিএমইএর ব্যাখ্যায় দাবি করা হয়েছে, ৫ শতাংশ হারে বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট প্রদান করা হলে ৫ বছর শেষে সামগ্রিক ইনক্রিমেন্টের হার দাঁড়ায় ২৭.৬৩ শতাংশ, সেখানে মজুরি বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত মজুরি কাঠামোতে মূল মজুরি বৃদ্ধি করা হয়েছে ২৮.৭ শতাংশ থেকে শুরু করে ৩৬.৭ শতাংশ পর্যন্ত।
এ প্রসঙ্গে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলছেন, ‘বিজিএমইএর এই বক্তব্য টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদনের যথার্থতাই প্রমাণ করে। যেসব শ্রমিক ২০১৩ হতে ২০১৮ পর্যন্ত কর্মরত রয়েছেন তাদের মূল মজুরি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আইনসিদ্ধভাবে ৫ শতাংশ হারে বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট আমলে নেয়ার বাধ্যবাধকতা (শর্ত ৪, বেতন বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন, এস, আর, ও নম্বর ৩৪৮-আইন/২৫ নভেম্বর ২০১৮) না মানার ফলে, মূল মজুরির ওপর বার্ষিক ৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধির সাথে ঘোষিত বেতন বৃদ্ধি যুক্ত হলে নতুন মূল মজুরি যে পরিমাণ হওয়ার কথা তার তুলনায় শ্রমিকরা বিভিন্ন গ্রেডে ২৩ থেকে ৩৬ শতাংশ এবং গড়ে ২৬ শতাংশ কম পাচ্ছেন।’
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেছেন, ‘আমরা আমাদের তথ্য-উপাত্তের ওপর শতভাগ আস্থা রাখি। নমুনাও যথেষ্ট। প্রতিবারের মতো এবারও গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশের আগে বিজিএমইএর মন্তব্য ও পরামর্শের জন্য খসড়া প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছিল গত ১৮ এপ্রিল। কিন্তু নির্বাচন ও কার্যালয় স্থানান্তর নিয়ে ব্যস্ততার কারণে তারা সময় দিতে পারেননি। এ ছাড়া লিখিত জবাব পাঠানোর কথা বলা হলেও এখন পর্যন্ত তা আমাদের হাতে আসেনি। টিআইবি তৈরি পোশাক শিল্প খাতে সুশাসনের অগ্রগতির লক্ষ্যে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষের সাথে যৌথভাবে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে আগ্রহী।’
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ‘রানা প্লাজা দুর্ঘটনা-পরবর্তী ছয় বছরে তৈরি পোশাক শিল্প খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় লক্ষণীয় উন্নতি হয়েছে। তবে শ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় আইনগত দুর্বলতা ও প্রায়োগিক ঘাটতির কারণে প্রত্যাশিত অগ্রগতি ব্যাহত হচ্ছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে টিআইবি দায়িত্বশীল সহায়ক শক্তির ভূমিকা পালন করে যাবে।’


আরো সংবাদ



premium cement