বিআইডব্লিউটিএ’র সিবিএ নেতাদের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:১৫
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি আবুল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে দুদকে অভিযোগ করা হয়েছে।
লিখিত অভিযোগে সিবিএ নেতা রফিকুল ইসলাম, তার স্ত্রী শাহীদা বেগম ও ছেলে মোহাম্মদ ইব্রাহিম হোসেনের নামে বেআইনিভাবে শীতলক্ষ্যা নদীতীরে জমি ইজারা নিয়ে ডকইয়ার্ড নির্মাণ, সিবিএ সভাপতি আবুল হোসেনের ছোট ভাইকে কম বয়স দেখিয়ে বিআইডব্লিউটিএ তে চাকরি দেয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ করা হয়েছে। দুদক চেয়ারম্যানের কাছে এ অভিযোগ করেন বিআইডব্লিউটিএ’র নারায়ণগঞ্জ বন্দরের মেডিক্যাল অ্যাটেন্ডেন্ট মুজিবর রহমান। চার পৃষ্ঠার লিখিত অভিযোগে সিবিএ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, অবৈধ সম্পদ অর্জন, শ্রমিকদের আর্থিক হয়রানি ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ করা হয়েছে।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, বিআইডব্লিউটিএ’র সিবিএ সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম নিজের নামে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা ও মানিকগঞ্জের শিবালয়ে প্রায় ১৩ কোটি টাকার জমি কিনেছেন। তিনি ৩২ লাখ টাকা মূল্যের নোয়া গাড়ি ব্যবহার করেন। রফিকুল ইসলামের স্ত্রী শাহীদা বেগমের নামে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে একটি ডকইয়ার্ড এবং নাবালক ছেলে মোহাম্মদ ইব্রাহিম হোসেনের নামে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার গন্ধকুল এলাকায় আরেকটি ডকইয়ার্ড রয়েছে। এছাড়া রফিকুল ইসলাম কর্তৃপক্ষের ওপর প্রভাব বিস্তার করে তার মেঝ ছেলে ওমর ফারুককে বিআইডব্লিউটিএতে মার্কম্যান পদে চাকরি দিয়েছেন।
অভিযোগে আরো বলা হয়, সিবিএ সভাপতি আবুল হোসেন প্রভাব খাটিয়ে তার জামাতাকে দিয়ে বিআইডব্লিউটিএতে রমরমা ঠিকাদারি ব্যবসা করছেন। এছাড়া তিনি প্রভাব খাটিয়ে আপন ছোট ভাই চল্লিশোর্ধ্ব বয়সী মেহেদী হাসানকে অষ্টম শ্রেণী পাস দেখিয়ে বিআইডব্লিউটিএতে মার্কম্যান পদে চাকরি দিয়েছেন। এ ছাড়া আবুল হোসেন ও রফিকুল ইসলামের অবৈধ আয়ের অন্যতম উৎস কর্মচারী নিয়োগ ও বদলি। গত আড়াই বছরে বিআইডব্লিউটিএ’র প্রধান কার্যালয়, ড্রেজারসহ বিভিন্ন জলযান, নদীবন্দর ও শাখা কার্যালয়গুলোতে বিভিন্ন পদে চার শতাধিক কর্মচারী নিয়োগ হয়েছে। এতে তারা কয়েক কোটি টাকা বাণিজ্য করেছেন। সিবিএ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের এসব অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করলে তাদের শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয় বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এ ব্যাপারে সিবিএ সভাপতি আবুল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামের টেলিফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা