৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


রাজশাহীতে কলেজ শিক্ষককে ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগ ২ পুলিশের বিরুদ্ধে

-

এক কলেজ শিক্ষককে ব্ল্যাকমেইল করে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) দুই সদস্যের বিরুদ্ধে। গত রাত সাড়ে ৮টার দিকে নগরীর চন্দ্রিমা থানায় রেলওয়ে মাঠের পাকা রাস্তার ওপর এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষকের নাম আশরাফুল আলম। তিনি নগরীর চকপাড়া বটতলা এলাকার বাসিন্দা এবং জেলার বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জ সরকারি ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক।
অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্যের মধ্যে একজন হলেন, নগরীর চন্দ্রিমা থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) এবং অপরজন হলেন একই থানার কনস্টেবল।
সূত্র জানায়, অভিযুক্ত এএসআই আরএমপির পুলিশ লাইনে প্রশিক্ষণে থাকলেও এক কনস্টেবলকে নিয়ে থানা এলাকায় ওই কলেজ শিক্ষককে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষক আশরাফুল আলম সাংবাদিকদের জানান, গত মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে তিনি শিরোইল এলাকায় হাঁটতে বের হয়েছিলেন। তখন দেখেন, রাস্তার পাশে দুই ব্যক্তি এক মেয়েকে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। তারা হঠাৎ করে তাকে ডেকে বলেন, তিনি নাকি তাদের সাথে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটিকে নিয়ে খারাপ মন্তব্য করেছেন। এ সময় ওই দুই ব্যক্তি পুলিশের পরিচয় দিয়ে তাকে থানায় নিতে চান। আমি প্রতিবাদ করলে তারা ২০ হাজার টাকা দাবি করেন।
ওই শিক্ষক জানান, তিনি ২০ হাজার টাকা দিতে রাজি না হলে তার কাছে ১২ হাজার টাকা চাওয়া হয়। টাকা দেয়ার নামে তিনি কৌশলে তাদের নগরীর ভদ্রা মোড়ে নিয়ে যান। এরপর পরিচিত লোকদের নিয়ে তাদের আটক করেন। পরে পুলিশে খবর দেয়া হয়। এরপর চন্দ্রিমা থানার একদল পুলিশ গিয়ে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার আশ^াস দিয়ে ওই দুই পুলিশকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (সিটিএসবি) ইফতেখায়ের আলম নয়া দিগন্তকে বলেন, আমি ঢাকায় আছি। বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে দেখছি।
নগরীর চন্দ্রিমা থানার ওসি হুমায়ুন কবীর নয়া দিগন্তকে বলেন, এ ব্যাপারে থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযুক্ত দুই পুলিশের বিরুদ্ধে আইনি কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে জানতে চাইলে ওসি বলেন, পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখবে।


আরো সংবাদ



premium cement