২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দক্ষশ্রমিক তৈরি করে কম খরচে লোক পাঠানো হবে এবারের টার্গেট

প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর সাথে বায়রা নেতাদের বৈঠক
-

নবনিযুক্ত প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমদের সাথে গতকাল রোববার সকালে প্রবাসীকল্যাণ ভবনের সভাকক্ষে অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজ (বায়রা)-এর নেতারা সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন। মতবিনিময় সভায় আলোচনায় উঠে এসেছে, ‘এবার আর বিদেশে কর্মী প্রেরণে কত শ্রমিক গেল- এমন কোনো টার্গেট থাকবে না। দক্ষকর্মী তৈরির পর কম খরচে বিদেশে পাঠানোই হবে এবারের একমাত্র টার্গেট’।
বৈঠকে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব রৌনক জাহান, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মো: সেলিম রেজা, অতিরিক্ত সচিব মো: আমিনুল ইসলাম, যুগ্মসচিব (কর্মসংস্থান) ছাড়াও মন্ত্রণালয়ের শীর্ষপর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অপর দিকে, বায়রা কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি বেনজির আহমদ এমপি, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো: শফিকুল আলম ফিরোজ, সহসভাপতি মনসুর আহমদ কালাম, মহাসচিব শামীম আহমদ চৌধুরী নোমান, জয়েন্ট সেক্রেটারি (জেনারেল-১) মিজানুর রহমান ছাড়াও কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মো: আব্দুল হাই, মো: মোজাম্মেল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। আরো উপস্থিত ছিলেন বায়রার সাবেক সভাপতি গোলাম মোস্তফা ও আবুল বাশার। তবে বিদেশে অবস্থান করায় বায়রার সাবেক সফল সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নুর আলী বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেননি।
জানা যায়, প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমদ বায়রা নেতাদের সাথে খোলামেলা আলোচনা শেষে চারটি বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেন। এর মধ্যে, বিদেশগামী কর্মীদের ক্ষেত্রে অভিবাসন ব্যয় কমানো, নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত, দক্ষশ্রমিক প্রেরণ এবং রেমিটেন্সের হার বাড়ানো। প্রতিমন্ত্রীর কথার সাথে বায়রা নেতাদের একমত পোষণ করেন বলে জানা গেছে।
গতকাল অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজের মহাসচিব শামীম আহমদ চৌধুরী নয়া দিগন্তকে বৈঠকের বিষয়ে বলেন, মন্ত্রী মহোদয়কে বায়রার পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ। তিনি আমাদের সময় দিয়েছেন। আমার দেখা মতে এই বৈঠকটি ছিল অনেক ইন্সট্রাকটিভ। এ ধরনের মিটিং এই প্রথম হলো বলা যেতে পারে। আমাদের পক্ষ থেকে যে প্রস্তাবনাগুলো ছিল সেগুলো শুনে তিনি প্রতিটা সাবজেক্টের নিয়ে কমেন্ট করেছেন। আমরা তার সাথে অনেক ক্ষেত্রেই একমত হয়েছি। আমরা ঐকমত্য হয়েছি, মাইগ্রেশন কস্ট কমানো, অভিবাসন নিশ্চিত করা, দক্ষ শ্রমিক পাঠানো এবং রেমিটেন্স বৃদ্ধি করতে হবে। এই চারটি জায়গায় কোনো দ্বিমত নেই। এগুলো কোন অবস্থায় আছে তা চিহিৃত করে বাস্তবায়ন করার জন্য মন্ত্রী আমাদের পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, বায়রার পক্ষ থেকে একটি উপকমিটি করে তার সাথে অথবা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে বসে দ্রুত এসব বাস্তবায়ন করতে।
বায়রা মহাসচিব বলেন, গর্ভমেন্টের যতগুলো ট্রেনিং সেন্টার আছে সেখানে যাতে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে আমাদের রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো কাজ করতে পারে এ বিষয়টি উপস্থাপন করা হলে মন্ত্রী বলেছেন, এটি তিনি পজিটিভলি দেখবেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের দু’ধরনের মার্কেট আছে। এক্সজিসটিং মার্কেট সব সময় খোলার রাখার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। প্রয়োজনে বায়রাসহ উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি গিয়ে সরেজমিন ভিজিট করার ব্যবস্থা করতে হবে। কেন ও কী কারণে আমাদের শ্রমবাজার বন্ধ আছে এবং কী ব্যবস্থা নিলে তা খুলবে এ ব্যাপারেও মন্ত্রী পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলেছেন। তিনি আমাদের পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, উনি আমাদের সহযোগিতা চান। বায়রা ইজ এ পার্টনার অব বিএমইটি অ্যান্ড মিনিস্ট্রি। বলেছেন, আমরা একসাথে মিলেমিশে দেশের জন্য কাজ করব। প্রধানমন্ত্রীর যে টার্গেট আছে সেগুলো পূরণ করার জন্য আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব। সেই ক্ষেত্রে যেখানে যে সমস্যা আছে সেগুলো তার (প্রতিমন্ত্রী) সাথে শেয়ার করতে বলেছেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement