বৈধ অস্ত্রের দোকানের অস্ত্র সন্ত্রাসীদের হাতে
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১৯ জুন ২০১৮, ০১:০৪
বৈধ অস্ত্রের দোকানের বিপুল পরিমাণ অস্ত্র সন্ত্রাসীদের হাতে চলে গেছে। এসব অস্ত্রের বেশির ভাগ ব্যবহার করেছে সুন্দরবনের জলদস্যুরা। নেত্রকোনার মেসার্স নেত্রকোনা আর্মস দোকানের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ আলী বাবুলকে গ্রেফতারের পর তার কাছ থেকে এ তথ্য জানতে পেরেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। পুলিশের এই ইউনিটি মহাখালীতে অভিযান চালিয়ে ১০টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১১৮৫ রাউন্ড গুলিসহ মোহাম্মদ আলী বাবুল (৫৭) নামে এক অস্ত্র ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে।
গত শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, বৈধ ডিলারের কাছ থেকে অস্ত্র কিনে অবৈধভাবে বনদুস্যদের কাছে অস্ত্র বিক্রি করে আসছিল।
এর আগে গত ১১ জুন মেসার্স নেত্রকোনা আর্মস কোংয়ের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ আলী বাবুলকে বৈধ কাগজপত্রবিহীন একটি পিস্তল, একটি রিভলভার ও ১২৫ রাউন্ড গুলিসহ মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে গ্রেফতার করে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপের একটি টিম। এরপর তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর উঠে আসে অবৈধ অস্ত্র ও গুলি মজুদ ও বিক্রির তথ্য।
সংবাদ সম্মেলনে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, গত ১৫ মে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে ডা: জাহিদুল আলম কাদিরকে ও তার স্ত্রী মাসুমা আক্তারকে গাবতলী এলাকা থেকে অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেফতার করা হয়। জাহিদুল আলম কাদিরের ময়মনসিংহের বাসা থেকে উদ্ধার করা হয় বেশকিছু অস্ত্র ও গুলি।
জাহিদুল আলম কাদির ও তার স্ত্রী মাসুমা আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরো কয়েকজন বৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ীর অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায় জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসে। এরপর গত ১১ জুন গ্রেফতার করা হয় অস্ত্র ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী বাবুলকে। এ সময় ২২ বোরের রাইফেল একটি, এক নলা বন্দুক চারটি, ২২ বোরের পিস্তল ২টি, ৭.৬৫ বোরের পিস্তল একটি, ৩২ বোরের রিভলবার ২টি ও মোট ১১৮৫ পিস গুলি উদ্ধার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য দিয়ে মনিরুল ইসলাম বলেন, অস্ত্র ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী বাবুল আগ্নেয়াস্ত্রের বৈধ ডিলারশিপ থাকলেও বেশি মুনাফার লোভে দীর্ঘদিন ধরে সে অবৈধপন্থায় অস্ত্র কেনাচবেচা করে আসছিল। ময়মনসিংহ ছাড়াও তিনি রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও বিশেষ করে খুলনার সুন্দরবনের বনদস্যুদের কাছে অস্ত্রগুলো বিক্রি করতেন। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তিনি নিজেই পৌঁছে দিতেন সব অস্ত্র ও গুলি। গ্রেফতারের দিনও তিনি যাচ্ছিলেন অস্ত্র বিক্রি করতে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা