২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

১২ নভেম্বরকে উপকূল দিবস ঘোষণার দাবি

১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর উপকূলজুড়ে ঘূর্ণিঝড় ‘ভোলা’র আঘাতে ১০ লক্ষাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটে -

প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে উপকূলের লাখ লাখ মানুষের প্রাণহানীর দিন ১২ নভেম্বরকে ‘উপকূল দিবস’ হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদানের দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন পেশার নাগরিকেরা। সোমবার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের মুক্তি ভবনের প্রগতি হলে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় তাঁরা এই দাবি জানান।

এ সময়ে তারা বলেন, উপকূলের বৃহৎ অংশকে অনুন্নত রেখে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। ‘উপকূল বাংলাদেশ’সহ ১০টি বেসরকারি সামাজিক সংগঠন এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। প্রসঙ্গত, ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর উপকূলজুড়ে ঘূর্ণিঝড় ‘ভোলা’র আঘাতে ১০ লক্ষাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটে।

দিবসটি স্মরণে রাজধানী ঢাকাসহ উপকূলের ১৬ জেলায় ৫৪ স্থানে দ্বিতীয়বারের মতো রোববার পালিত হয়েছে নানা কর্মসূচি। কর্মসূচির মধ্যে ছিল মানববন্ধন, র‌্যালি, আলোচনা সভা, দোয়া মোনাজাত, মোমবাতি প্রজ্জলন ও স্মারকলিপি পেশ। সকল কর্মসূচি থেকেই উপকূলীয় অঞ্চলের সুরক্ষা এবং সেখানকার বৃহৎ জনগোষ্ঠীর অধিকার ও নিরাপদ জীবন নিশ্চিত করতে উপকূল দিবসের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি তুলেছেন বক্তারা।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে। উপকূল দিবস বাস্তবায়ন কমিটির কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী ও উপকূলীয় চারণ সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম মন্টুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) নেতা হোসান ইউসুফ খান, জাতীয় কমিটির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সেকেন্দার হায়াৎ, চিত্রশিল্পী সুজন মাহবুব, সাংবাদিক হরলাল রায় সাগর, মেজবাহউদ্দিন মান্নু, বাংলাদেশ বেতারের ধারা ভাষ্যকার আনোয়ার কবীর, পরিবেশকর্মী জামিল জাহাঙ্গীর, স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছাইফুল ইসলাম মাছুম ও মেজবাহ হাসান, উপকূলবাসী শাহ আলম, ইসমাইল গাজী প্রমূখ।

’৭০-এর প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় স্মরণে ১২ নভেম্বরকে উপকূল দিবস হিসাবে ঘোষণার দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের উপকূলে রয়েছে অফুরন্ত সম্ভাবনা। উপকূলের বিপুল জনগোষ্ঠী জাতীয় অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখছে। তা সত্বেও এ অঞ্চলের প্রায় ৫ কোটি মানুষ চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এই ঝুঁকি দিন দিন বাড়ছে। যুগের পর যুগ বহু এলাকা অরক্ষিত থেকে যাচ্ছে। তারা বলেন, এ দিবসটি রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেলে সরকারের নীতিনির্ধারণী মহল, উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান, সংবাদ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে উপকূলে গুরুত্ব বাড়বে। এর মধ্যদিয়ে উপকূলের সুরক্ষা ও সেখানকার জনগোষ্ঠীর অধিকার ও ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠিত হবে। বক্তারা অবিলম্বে দিবসটির স্বীকৃতি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।


আরো সংবাদ



premium cement